ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চাঁদপুরে ব্যবসায়ী হত্যার দায়ে ৪ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: ০৯:২৯, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯

 চাঁদপুরে ব্যবসায়ী  হত্যার দায়ে ৪ জনের যাবজ্জীবন

নিজস্ব সংবাদদাতা, চাঁদপুর, ২৯ সেপ্টেম্বর ॥ মতলব উত্তর উপজেলার কাপড় ব্যবসায়ী আব্দুল মতিন প্রধান মেম্বারকে হত্যার দায়ে ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে আদালত। রবিবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ জুলফিকার আলী খান এই রায় দেন। যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মতলব উত্তর উপজেলার কোয়রকান্দি এলাকার আব্দুল কাদির ফকিরের ছেলে আবুল কালাম, মোঃ বাবুল, মোঃ খোকন ও কিশোরগঞ্জ জেলার কাটিয়াদী থানার আশুরকান্দা এলাকার ফল্লু মিয়ার ছেলে মোঃ লিটন। মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৫ জুলাই রাত আনুমানিক ১১টার দিকে নিহত আব্দুল মতিন প্রধান নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সুজাতপুর বাজার থেকে এক অপরিচিত কাপড় ব্যবসায়ীকে এগিয়ে দেয়ার জন্য সুজাতপুর বাজারের উদ্দেশে রওনা হয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে সুজাতপুর থেকে দাসের বাজার সংযোগ ঘোড়াইর কান্দি গ্রামের জনৈক সফিকুল ইসলামের বাড়ির আনুমানিক ৭শ’ গজ দক্ষিণ এসে পৌঁছলে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে মৃত্যু নিশ্চিত করে রাস্তার উপরে ফেলে রেখে যায়। হাসপাতালে তার মৃত্যু ঘটে। সিরাজগঞ্জে স্বামীর মৃত্যুদন্ড স্টাফ রিপোর্টার সিরাজগঞ্জ থেকে জানান, আদালতে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে রশিদুল ইসলাম (৩২) নামে একজনকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক ফজলে খোদা মোঃ নাজির আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় প্রদান করেন। সাজাপ্রাপ্ত রশিদুল জেলার শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে। উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে পোতাজিয়া গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে রশিদুল ইসলামের সঙ্গে একই উপজেলার আন্দাকোটা পাড়া গ্রামের আব্দুস ছালামের মেয়ে সালমা খাতুনের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পর হতেই যৌতুকের জন্য রশিদুল সালমা কে নির্যাতন শুরু করে। এ অবস্থায় সালমা গর্ভবতী হলে তাকে বাবার বাড়ি নিয়ে আসা হয়। ২০১১ সালের ২৩ জানুয়ারি রশিদুল শ্বশুর বাড়িতে এসে রাত ৮টার দিকে বেড়ানোর কথা বলে স্ত্রী সালমাকে বাইরে নিয়ে যায়। পরে বাড়ির পাশে একটি বাঁশ ঝাড়ের নিচে তাকে মারপিট করে এবং শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর রাত ১২টার দিকে পরিবারের লোকজন তার লাশ উদ্ধার করে। মানিকগঞ্জে একজনের যাবজ্জীবন নিজস্ব সংবাদদাতা মানিকগঞ্জ থেকে জানান, চাঞ্চল্যকর নয়ন হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন এবং অন্যজনের ১০ বছর কারাদন্ডের আদেশ দিযেছে আদালত। রবিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় প্রদান করেন জেলা ও দায়রা জজ মমতাজ বেগম। যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি মোঃ রাকিব নূর হৃদয়। সে মানিকগঞ্জ পৌরসভার বান্দুটিয়া এলাকার মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে। ১০ বছরের কারাদন্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি মোঃ রাকিব (১৯)। সে ওই এলাকার আসাদুজ্জামান সালামের ছেলে। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৫ নবেম্বর রাত সাড়ে ১১টায় বান্দুটিয়া গ্রামের মাজেদুল ইসলাম মজিদের ছেলে মারুফ হাসান নয়ন (১৯) তার বাড়িতে হৃদয় ও রাজুসহ- তিন বন্ধু একসঙ্গে ঘুমায়। সকালে ঘুম থেকে উঠে হৃদয় ও রাজু তাদের বাসায় যাওয়ার আগে হৃদয়ের ফোন খুঁজে না পেয়ে হৃদয় নয়নকে তার মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগ করে। নয়ন মোবাইল ফোন নেয়নি বলে জানালে নয়নের সঙ্গে হৃদয়ের কথা কাটাটি হয় এবং একপর্যায়ে হৃদয় নয়নকে দেখে নিবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরের দিন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শাইলীপাড়া এলাকার সামছুলের দোকানের সামনে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হৃদয় ও রাকিব নয়নকে বেধড়ক মারপিট করে। পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু ঘটে। ঝালকাঠিতে স্বামীর আমৃত্যু কারাদন্ড নিজস্ব সংবাদদাতা ঝালকাঠি থেকে জানান, স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীকে আমৃত্যু কারাদন্ড ও প্রেমিকাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। রবিবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ গাজী রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন কাঁঠালিয়া উপজেলার দক্ষিণ চেচরি গ্রামের আলম খান (৫০) ও তার প্রেমিকা পাখি বেগম (৪০)। একই সঙ্গে প্রেমিকাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো দুই মাসের সশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়। মামলার বিবরণে জানা যায়, বিয়ের ২২ বছর পর আলম খান একই গ্রামের পাখি বেগমের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এতে স্ত্রী বিউটি বেগম বাধা দিলে ২০১৭ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করে স্বামী। এ ঘটনায় ৬ ফেব্রুয়ারি নিহতের ভাই ফোরকান সিকদার বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
×