অনলাইন রিপোর্টার ॥ মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে বছরের পর বছর ধরে চলছে আওয়ামী যুবলীগ। দীর্ঘদিন কেন্দ্রীয় কাউন্সিল না হওয়ায় নেতৃত্বের ওপর ক্ষোভ বেড়েছে সাধারণ নেতাকর্মীদের। তাদের অভিযোগ- টানা সাত বছরে পদধারীদের ক্ষমতা বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে গঠনতন্ত্র বর্হিভূত কর্মকান্ড। ক্যাসিনো, মাদক ও টেন্ডারবাজির অভিযোগে দুই যুবলীগ নেতা গ্রেফতারের ঘটনায় বিব্রত আওয়ামী নেতৃত্বও।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অন্যতম সহযোগী সংগঠন আওয়ামী যুবলীগের সবশেষ সম্মেলন ও কমিটি হয়েছিল ২০১২ সালে। চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে তিন বছর মেয়াদি কমিটি ৭ বছরের বেশি সময় পার হলেও এখনো বহাল রয়েছে।
নিয়মিত সম্মেলন না হওয়ায় ক্ষোভ দানা বেধেছে নেতাকর্মীদের মধ্যে। সাবেক ও বর্তমান ছাত্রনেতা যারা ছাত্রত্ব শেষে যুবলীগ করার অপেক্ষায় তারা জানালেন সম্মেলন না হওয়ায় নেতৃত্ব বিকাশের পথ রুদ্ধ হয়েছে।
দীর্ঘদিন দায়িত্বে থাকায় বেপরোয়া হয়ে ওঠে যুবলীগের কিছু নেতা। ঢাকায় বিভিন্ন ক্রীড়া ক্লাবের আড়ালে অবৈধ ক্যাসিনো চালানো, মাদক ও টেন্ডারবাজির অভিযোগে যুবলীগের দুই নেতাকে গ্রেফতারের ঘটনায় রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয় তোলপার।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকরাও তাদের বিরুদ্ধে সমালোচনামুখর। যুবলীগ গ্রেফতারকৃত নেতাদের দায় নিতে না চাইলেও, বর্তমান নেতৃত্বের সময়ই তারা কমিটিতে স্থান করে নেয়। এ নিয়েও যুবলীগের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে আর্থিক সুবিধা নেয়ার অভিযোগ আলোচিত হচ্ছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগের দাবিও উঠেছে।
তারা বলছেন যুবলীগের বর্তমান নেতৃত্ব শীর্ষ পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছে। দলের ভাবমূর্তির স্বার্থে মেয়াদোত্তীর্ণ নেতৃত্ব পরিবর্তনের দাবি তাদের।