ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

প্রতিমা ভাংচুর মামলায় হয়রানি ॥ প্রতিবাদ

প্রকাশিত: ০৮:৫৪, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯

 প্রতিমা ভাংচুর মামলায়  হয়রানি ॥ প্রতিবাদ

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ২২ সেপ্টেম্বর ॥ সদর উপজেলার সাহাপাড়া ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে আব্দুল আউয়াল, তার পরিবার-পরিজন ও নিরপরাধ এলাকাবাসীর নামে দুর্গা প্রতিমা ভাংচুরের অভিযোগে মিথ্যা, হয়রানি ও মানহানিকর মামলা দায়ের করা হয়েছে। মূলত তার পরিবারের ক্রয়কৃত জমি বেআইনীভাবে জবরদখল এবং তাদের সন্ত্রাসী তৎপরতা ধামাচাপা দিতে দুর্গা প্রতিমা ভাংচুরের এই মিথ্যা নাটক সাজানো হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্তের মাধ্যমে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের নিকট প্রকৃত দায়ী ও দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, এ ব্যাপারে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করলেও আদালত প্রকৃত ঘটনা অবগত হয়ে আব্দুল আউয়ালসহ অন্যান্যের জামিন মঞ্জুর করে। রবিবার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে আব্দুল আউয়াল লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, একই এলাকার রণজিত চন্দ্র কর্মকারের মামা নরো চন্দ্রের নিকট থেকে ৪২ শতক এবং বসন্ত কর্মকারের ২৮ শতকসহ মোট ৭০ শতক জমি ক্রয় করেন। বিষয়টি নিয়ে রণজিত কর্মকার বাদী হয়ে আদালতে একটি সিভিল মামলা দায়ের করলে মোট ২৭৩ শতাংশ জমির মধ্যে ৭০ শতাংশ আব্দুল আউয়ালের বাকি ২০৩ শতাংশ তাদের ওয়ারিশগণের থাকে মর্মে আদালত রায় ঘোষণা করে। পরবর্তীতে তারা আদালতে সোলেনামা দেয়া সত্ত্বেও এই জমিতেই গত ১৪ সেপ্টেম্বর সকালে ফয়জার রহমান কান্দু, ইব্রাহিম, উৎপল কর্মকার, রণজিত চন্দ্র কর্মকার, সনজিত চন্দ্র কর্মকার, উজ্জল কর্মকারসহ ২৫ সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যুরা লাঠি, ছোরাসহ বেআইনীভাবে তফসিল জমিতে অনধিকার প্রবেশ করে। তারা জমিতে সদ্য লাগানো সাইনবোর্ড, আম ও ইউক্লিপটাস গাছ উপড়ে/ভেঙ্গে ফেলে। তারা আউয়ালের লোকজনের ওপর হত্যার উদ্দেশে তাদের হাতে থাকা বিভিন্ন অস্ত্র দিয়ে তাদের লোকদের ওপর হামলা চালায়। এতে আব্দুল আউয়ালের ৬ জন গুরুতর আহত হয়। তদুপরি তাদের পক্ষের কয়েকজনকে অটোভ্যানে করে হত্যা ও গুম করার উদ্দেশে অন্যত্র নিয়ে যায়। উল্লেখ্য, সাহাপাড়া ইউনিয়ন ও ওই গ্রামের ওয়ার্ড মেম্বারের পিতা ফয়জার রহমান কান্দু এবং রণজিত চন্দ্র কর্মকারের সঙ্গে যোগসাজশ করে দুর্গা প্রতিমা ভাংচুর করেছে। ওই গ্রামে একাধিক মামলার আসামি ও সাক্ষী ফয়জার রহমান গ্রামের অনেকের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে অর্থদ- ও হয়রানি করছে।
×