ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মাদারীপুরে দুই মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ॥ আটক ২

প্রকাশিত: ০২:২০, ২০ আগস্ট ২০১৯

মাদারীপুরে দুই মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ॥ আটক ২

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর ॥ মাদারীপুরে ট্রলার থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে দুই মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে পাশের এলাকার মাসুদ মোড়ল (৩০) ও রুবেল মোল্লা (২০) নামে দুই বখাটের বিরুদ্ধে। গুরুতর অবস্থায় ওই দুই শিক্ষার্থীকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্ত দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার রাত ১০ টায় সদর উপজেলার কালিকাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত মাসুদ পাঁচখোলা এলাকার জলিল মোড়লের ছেলে ও রুবেল একই এলাকার নান্নু মোল্লার ছেলে। পুলিশ ও স্বজনরা জানায়, সোমবার সকালে মাদারীপুর শহরে নানার বাড়িতে বেড়াতে আসে পাঁচখোলা ইউনিয়নের জাজিরা দাখিল মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ ও ৯ম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থী। নানা বাড়িতে বেড়ানোর পরে শহরে কেনাকাটা করে পুরনো ট্রলারঘাট থেকে রাত ১০টার দিকে বাড়ির উদ্দেশ্যে ট্রলারে ওঠে তারা। পরে ট্রলারে ওই দুই শিক্ষার্থীকে একা পেয়ে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে মাসুদ মোড়ল ও রুবেল ট্রলার থামিয়ে কালিকাপুরের একটি পরিত্যক্ত গরুর খামারে নিয়ে যায়। সেখানে পরে হত্যার হুমকি দিয়ে মুখ বেঁধে তাদের ধর্ষণ করে মাসুদ ও রুবেল। এক পর্যায়ে ওই দুই শিক্ষার্থী অসুস্থ্য হয়ে পড়লে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। মঙ্গলবার ভোরে মুসল্লীরা নামাজ পড়তে বের হয়ে ওই দুই শিক্ষার্থীকে কান্নাকাটি করা অবস্থায় দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে শিক্ষার্থীদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় দোষীদের বিচার দাবি করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী। মাদারীপুর সদর থানার এসআই মো. রহমত আলী বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে ওই দুই শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত বখাটে রুবেল ও মাসুদকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে।’ সদর হাপাতালের কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডাঃ রিয়াদ মাহমুদ বলেন, ‘ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে দুই মাদ্রাসার ছাত্রী হাসপাতালে আসে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের ভর্তি করে দেয়া হয়েছে। আমরা আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠিয়েছি এবং তাদের যথাযথ চিকিৎসা চলছে।’ মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বদরুল আলম মোল¬া বলেন, ‘এই ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে। ধর্ষিতার পরিবার মামলা করলে মামলা নেয়া হবে।’
×