আমার একটা নদী ছিল; নদী তো নয় নদ ...
কুমার আমার ছেলেবেলার স্বপ্নভাসা হ্রদ।
দুপুরবেলা সূর্য যখন উপুড় হয়ে যেতো;
তখন আমায় কেউকি ঘরে পেতো?
মায়ের দুচোখ ফসকে আমি
দৌড়ে যেতাম ঘাটে;
কেউ ছিল না আমার মতো
সাঁতারু তল্লাটে।
গোলাপ মাঝির খেয়ায় চড়ে পৌঁছে যেতাম ওপার;
কুড়িয়ে পেতাম চুলের কাঁটা জলকে বধূর খোঁপার।
কুমার আমায় জলডাহুকের ডাক শোনাত ভোরে
কুমার আমায় রাখতো বেঁধে কাশের শাদা ডোরে।
সে যে আমার স্বপ্নসবুজ স্বর্ণরঙা স্মৃতি ...
কেমন করে হারিয়ে গেলো ছিন্ন করে প্রীতি।
হারালো সে, নাকি তাকে কেউ করেছে চুরি
ভাবতে ভাবতে খুঁজতে তাকে সারাটা দেশ ঘুরি।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: