
নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা ॥ উজান থেকে নেমে আসা পানি ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি পুনঃরায় বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি ১৪ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৪৭ সে.মি. এবং ঘাঘট নদীর পানি ৭ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২৫ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে ইতোপূর্বে বন্যা কবলিত যে সমস্ত এলাকা থেকে পানি সরে গিয়েছিল সে সমস্ত এলাকাসহ নতুন নতুন এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে। এতে দ্বিতীয় দফায় বন্যায় মানুষের দূর্ভোগ আরও বেড়ে গেছে।
এদিকে সিভিল সার্জন ডাঃ এবিএম আবু হানিফ জানান, সাত উপজেলার ৫১টি ইউনিয়নের বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষের জন্য ১০৯টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। বন্যায় অনেক এলাকায় নানা ধরণের পানিবাহিত রোগ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে চর্মরোগ, হাতে ও পায়ের আঙ্গুলে ঘা, এলার্জি, পানিতে চলাফেরার করার সময় পায়ে আঘাত, সাঁপে কামড়ানো।
জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, এদিকে বন্যায় জেলার সাত উপজেলার ৫১টি ইউনিয়নের ৪২৪টি গ্রাম ও ২টি পৌরসভার ৫ লাখ ৮৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়েছে। ঘরবাড়ির ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৬৯ হাজার ৮৭০টি। তাদের বেশীর ভাগই নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে এসে উঠছে। আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে ১৯৭টি। এছাড়া ১৪ হাজার ২১ হেক্টর আউশ ধান, আমন বীজতলা, রোপিত আমন, পাট ও শাকসবজি বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যদিকে এবার বন্যায় ১টি গরু, ৩ হাজার ৭২০টি হাঁস-মুরগী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত জেলায় ১ হাজার ২৪৫ মে. টন চাল, ২১ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।