ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নারায়ণগঞ্জে শিশু হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদন্ড

প্রকাশিত: ০৯:১২, ২৩ জুলাই ২০১৯

 নারায়ণগঞ্জে শিশু  হত্যার দায়ে  একজনের  মৃত্যুদন্ড

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ নারায়ণগঞ্জ নগরীর জল্লারপাড় এলাকার চার বছরের শিশু আলিফ হত্যা মামলার রায়ে একমাত্র আসামি অহিদুল ইসলাম অহিদকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মোঃ আনিসুর রহমান আসামির উপস্থিতিতে এ আদেশ দেন। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত অহিদুল ইসলাম নোয়াখালী জেলার চরজব্বার থানার চরহাসান গ্রামের মাকসুদের ছেলে। উল্লেখ্য, জল্লারপাড় এলাকার বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী আলমগীর হোসেনের ছোট ছেলে আলিফ গত বছরের ১৬ আগস্ট বেলা এগারোটার দিকে নিজ বাড়ির সামনে খেলা করছিল। এসময় প্রতিবেশী নান্নু মিয়ার বাড়ির ভাড়াটে অহিদুল ইসলাম চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে শিশু আলিফকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে আলিফ নিখোঁজ থাকে। এসময় আসামি অহিদুল ইসলাম মুক্তিপণ হিসেবে নিহতের পরিবারের কাছে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। পরিবার মুক্তিপণ দিতে স্বীকার করলেও তাকে ফেরত দেয়নি। পরে স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পর পুলিশ অহিদুলের বাসার ভেতর কংক্রিটের স্তূপের নিচ থেকে পলিথিনে মোড়ানো ও বস্তাবন্দী অবস্থায় উদ্ধার করে আলিফের লাশ। ফরিদপুরে পাঁচজনের যাবজ্জীবন নিজস্ব সংবাদদাতা ফরিদপুর থেকে জানান, নির্যাতন করে হত্যার মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে যুবদল নেতাসহ পাঁচ ব্যক্তিকে সশ্রম কারাদন্ড ও প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড দিয়েছে আদালত। জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরও একমাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ড ভোগ করতে হবে। পাশাপাশি এ হত্যা মামলার সাক্ষ্য প্রমাণ ও আলামত গোপন করার দায়ে ২০১ ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ওই পাঁচ আসামিকেই আরও পাঁচ বছর করে সশ্রম কারাদন্ডও পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থদ- অনাদয়ে আরও একমাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। সোমবার বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুরের বিশেষ দায়রা আদালতের হাকিম মতিয়ার রহমান এ রায় দেন । সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, নগরকান্দার চর যশোরদী ইউনিয়ন যুবদলের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজ মোল্লা ও তার চার সহযোগী নয়া মোল্লা, ইমারত মোল্লা, কালাম মোল্লা ও সিদ্দিক মোল্লা। উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের বিএনপি সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নেয়ার প্রাক্কালে নগরকান্দায় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর ক্ষমতাসীন বিএনপির নেতাকর্র্র্মীরা অত্যাচার শুরু করে। নগরকান্দার চর যশোরদী ইউনিয়নের যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজ মোল্লা তার সহযোগীদের নিয়ে একটি বাহিনী তৈরি করে স্থানীয় হিন্দুদের ওপর চাঁদাবাজি, হত্যা, ধর্মান্তরসহ বিভিন্ন অপরাধ পরিচালিত করতেন। এরই ধারাবাহিকতায় চর যশোরদী ইউনিয়নের মেঘারকান্দি গ্রামের কার্তিক সিকদারের এক নাবালিকা কন্যা চঞ্চলা সিকদারকে জোর করে অপহরণ ও ধর্মান্তরিত করে বিবাহ করেন সিরাজ মোল্লা। এরপর সিরাজ কার্তিক সিকদারের বাড়িঘর দখল করে নিজে বসবাস শুরু করেন। সিরাজ কার্তিক সিকদারের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় চাঁদা আদায় করতে শুরু করেন। পরবর্তীতে চাঁদা না দিলে ২০০৬ সালের ১ জুন রাতে সিরাজ ও তার সহযোগীরা কার্তিক সিকদারকে ধরে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করে ফেলে রেখে যায়। আহত কার্তিককে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যেতেও বাধা দেয়া হয়। পরদিন ২ জুন ভয়ভীতি উপেক্ষা করে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায় কার্তিক সিকদার। এরপর সিরাজ মোল্লার বাহিনী কার্তিকের মরদেহকে নিজেরাই মাটিচাপা দিয়ে রাখেন।
×