ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ড. মো. এরশাদুল হক

লোকসঙ্গীতের ভাস্কর ॥ ভূপতি ভূষণ বর্মা

প্রকাশিত: ১০:০৬, ১২ জুলাই ২০১৯

লোকসঙ্গীতের ভাস্কর ॥ ভূপতি ভূষণ বর্মা

ভাওয়াইয়া সম্রাট আব্বাসউদ্দীন, হরলাল রায়, মহেশচন্দ্র রায় এবং ভাওয়াইয়া যুবরাজ কছিম উদ্দীনের প্রয়াণের পর উত্তরবঙ্গের লোকসঙ্গীতের মূলধারা ভাওয়াইয়া সঙ্গীতের দুর্দিনে যাঁরা এগিয়ে এসেছেন, তাঁদের মধ্যে শিল্পী ভূপতি ভূষণ বর্মা অন্যতম। সঙ্গীত পরিবারে জন্মগ্রহণ না করলেও কঠোর সাধনা আর নিবিড় অনুশীলনের মাধ্যমে স্থান করে নিয়েছেন ভাওয়াইয়ার অঙ্গনে। দেশ ও বিদেশের মাটিতে সঙ্গীত পরিবেশন করে যেমন ভাওয়াইয়া সঙ্গীতের প্রচার-প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন, তেমনি নিজেও হয়েছেন জনপ্রিয়। বর্তমানে শিল্পী বর্মা বাংলাদেশ ভাওয়াইয়া একাডেমি, উলিপুর, কুড়িগ্রাম এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সদা হাস্যোজ্জ্বল, রসিক এবং সাদা মনের অধিকারী ভূপতি ভূষণ বর্মা ২৮ অক্টোবর, ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে (১০ কার্তিক, ১৩৬৪ বঙ্গাব্দ) কুড়িগ্রাম জেলাধীন উলিপুর উপজেলার আঠারো পাইকা গ্রামে এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা প্রয়াত নরেন্দ্রনাথ বর্মা ছিলেন স্কুল শিক্ষক এবং মা স্বর্গীয় কামাখ্যাময়ী আদর্শ গৃহিণী। বাবা-মায়ের ৭ সন্তানের মধ্যে শিল্পী ভূপতি ভূষণ বর্মা দ্বিতীয়। তিনি পেশায় একজন মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষক। শিক্ষকতা দিয়ে পেশাজীবন শুরু হলেও তিনি ভাওয়াইয়া সঙ্গীত চর্চাকে মনে প্রাণে ধারণ ও লালন-পালন করেন। এ সম্পর্কে শিল্পী বলেন, ‘জন্ম থেকে গ্রাম-গঞ্জে, মাঠে-ঘাটে ভাওয়াইয়া সুর এবং এর সহজ-সরল কথাগুলো আমাকে যেভাবে বিমোহিত করেছিল অন্য কোনো সঙ্গীত তা পারেনি। এ সঙ্গীতের সুর ও কথা যেমন হৃদয়গ্রাহী তেমনি অন্তর স্পর্শী। তাই নিজের অজান্তেই এই সঙ্গীতের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ি।’ পেশাগত জীবন থেকে তিনি সদ্য অবসর গ্রহণ করেন। শিল্পীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় পরিবারের অন্য সদস্যদের মধ্যে ভাই জগৎপতি বর্মা একজন কণ্ঠশিল্পী, অধীর চন্দ্র বর্মা দোতরা বাদক এবং নীহার রঞ্জন রায় তবলা বাদক হিসেবে সমান খ্যাতি অর্জন করেন। ভূপতি ভূষণ বর্মা বাবার অনুপ্রেরণায় সঙ্গীতের প্রথম হাতেখড়ি নেন ওস্তাদ সুরেন্দ্রনাথ বর্মনের কাছ থেকে। মাত্র ১২ বছর বয়সে তিনি ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রাবস্থায় বিদ্যালয়ের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে আব্দুল করিমের লেখা বিখ্যাত ‘ও মোর কালারে কালা..’ গানটি পরিবেশনের মাধ্যমে সঙ্গীতাঙ্গনে প্রবেশ করেন। পাশাপাশি তিনি লীলা কীর্তনের দলে প্রধান গায়ক হিসেবে সঙ্গীত পরিবেশন করতেন। এছাড়াও বাউল গান, জারি, সারি, ভাটিয়ালি প্রভৃতি গানসহ কীর্তন বন্দী ও শ্যামা সঙ্গীতের প্রতি ছিল তাঁর প্রবল অনুরাগ। কিন্তু সঙ্গীত সাধনার শুরুর দিকে তাঁর অনুকূল পরিবেশ ছিল না। তাই সঙ্গীত সাধনার অনুকূল পরিবেশ প্রাপ্তির প্রত্যাশায় মাত্র ২২ বছর বয়সে সঙ্গীত অনুরাগী পরিবারের সাধনা রায়ের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। শ্বশুর পরিবারের প্রতিষ্ঠিত বেতার শিল্পী সুভাস চন্দ্র রায় এবং তরণীকান্ত রায়ের সং¯্রব ও অনুপ্রেরণায় শুরু হয় তাঁর সঙ্গীত জীবনের মসৃণ পথ চলা। পরবর্তীকালে তিনি অনন্ত কুমার দে, প্রখ্যাত গীতিকার ও সুরকার নুরুল ইসলাম জাহিদ, রবীন্দ্রনাথ মিশ্রের কাছ থেকে নিয়মিত তালিম গ্রহণ করেন। অক্লান্ত পরিশ্রম এবং একনিষ্ঠ সাধনার দ্বারা নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন একজন ভাওয়াইয়া সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে। শিল্পী ভূপতি ভূষণ বর্মা ১৯৮২ সালে রংপুর বেতারে ‘যাও বিয়ানী বেলা গেইছে আর না করং দেরি’ গানটি পরিবেশন করে ভাওয়াইয়া শিল্পী হিসেবে স্বীকৃতি পান। বর্তমানে তিনি রংপুর বেতারের বিশেষ গ্রেডের শিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত। ১৯৮৫ সালে তিনি ‘ও কইন্যারে হায়রে হায়...’ গান পরিবেশন বাংলাদেশ টেলিভিশনে তালিকাভুক্ত হন। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ তিনি টেলিভিশনের একক সঙ্গীতানুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন। বাংলাদেশ টেলিভিশন ছাড়াও তিনি বেসরকারি চ্যানেল যেমন- একুশে টেলিভিশন, বাংলাভিশন, বৈশাখী টিভিসহ বিভিন্ন চ্যানেলে সঙ্গীত পরিবেশন করে আসছেন। তাঁর একাধিক ভাওয়াইয়া গানের সিডি ও ক্যাসেট বের হয়েছে। এর মধ্যে ‘ঢাকা টাচ অডিও’ থেকে মনে জানে মনের কথা, পাপের কথা বাপে কয়, ঢালুয়া খোঁপা এবং পারুল রায়ের সঙ্গে দ্বৈত কণ্ঠে ফেরিওয়ালা শিরোনামে ৪টি ভাওয়াইয়া গানের ক্যাসেট উল্লেখযোগ্য। আগামীতে দ্বৈত কণ্ঠে রশের বাইদানী নামে অন্য আরেকটি ক্যাসেট বের হবে বলে শিল্পীর প্রত্যাশা। শিল্পী ভূপতি ভূষণ বর্মা সংসার জীবনে দুই কন্যা সন্তানের জনক। ছোটো মেয়ে অনন্যা বর্মা লিখি ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী থাকাবস্থায় প্রিয় সহধর্মিণী সাধনা রায় ২০০৭ সালে দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সারে মারা যান। স্ত্রীর মৃত্যুতে শিল্পী শোকে মূহ্যমান হয়ে পড়েন। সংসার জীবনে নেমে নামে অমানিশার অন্ধকার। কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েও তিনি সঙ্গীত সাধনা থেকে পিছপা হননি। একদিকে সঙ্গীত সাধনা অন্যদিকে মা হারা সন্তানদের লালন-পালন, সত্যিই দুঃসাধ্য ছিল। এত প্রতিকূলতার মধ্য দিয়েও শিল্পী পরম মাতৃ স্নেহে কন্যাদ্বয়কে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলেন। শিল্পী সংসারে এখন একাই। তাঁর এখন দিন অতিবাহিত হয় সঙ্গীত সাধনা করে। শিল্পীর ভাষ্য মতে, ‘যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন সঙ্গীত সাধনা করেই বাঁচতে চান।’ ভাওয়াইয়া চর্চা, প্রচার-প্রসার এবং নতুন প্রজন্মকে ভাওয়াইয়া সঙ্গীতের তালিম দেয়ার লক্ষ্যে ১৯৯৩ সালে তিনি কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার পাঁচপীর নামক স্থানে বাংলাদেশ ভাওয়াইয়া একাডেমি, উলিপুর, কুড়িগ্রাম প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে স্বেচ্ছাশ্রমে শিল্পী ভূপতি ভূষণ বর্মা শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করে আসছেন। তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে গ্রাম-গঞ্জে গিয়ে গান সংগ্রহ করেন। সংগৃহীত গানে সুরের সমন্বয় করে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও বেতারে সেই সঙ্গীত পরিবেশন করে থাকেন। কণ্ঠে তুলে দেন শিক্ষার্থীদের। বর্তমানে প্রশিক্ষণরত শতাধিক শিক্ষার্থীসহ গত একযুগে প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী তাঁর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ভাওয়াইয়া সঙ্গীতের তালিম গ্রহণ করেছে। তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এখন পর্যন্ত ৩০ জন শিক্ষার্থী বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনে কণ্ঠশিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছে। এছাড়াও শিক্ষাসপ্তাহ, ক্লোজআপ ওয়ান তারকা, নতুন কুঁড়ি প্রভৃতি অনুষ্ঠানে ভূপতি ভূষণ বর্মার শিক্ষার্থী স্ব-স্ব স্থানে কৃতিত্বের প্রমাণ রেখেছে। শিক্ষার্থাদের দৃষ্টিতে শিল্পী ভূপতি ভূষণ বর্মা একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র। বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠিত গীতিকার ও কণ্ঠশিল্পী পঞ্চানন রায় ওস্তাদ বর্মা সম্পর্কে অভিমত ব্যক্ত করেন, ‘বয়সে প্রবীণ হলেও মানসিকভাবে তিনি নবীন। এ বয়সেও তিনি যেভাবে ভাওয়াইয়ার জন্য দেশের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে ছুটে চলছেন সত্যিই তা দৃষ্টান্ত। তার এই অদম্য ইচ্ছা আমাকে অনুপ্রাণিত করে।’ ভাওয়াইয়া সঙ্গীতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশ ভাওয়াইয়া একাডেমি, উলিপুর, কুড়িগ্রাম তাঁকে ভাওয়াইয়া ভাস্কর খেতাবে ভূষিত করে। যা শিল্পী সঙ্গীত জীবনের বিশাল প্রাপ্তি বলে মনে করেন। এছাড়াও প্রচ্ছদ কুড়িগ্রাম আয়োজিত জাতীয় নাট্য উৎসবে গুণীজন সংবর্ধনা স্মারক, ভাওয়াইয়া একাডেমি, রংপুর আয়োজিত ভাওয়াইয়া সম্রাট আব্বাস উদ্দীন এর ১১০তম জন্ম উৎসবে ভাওয়াইয়া সংগঠক হিসেবে আব্বাস উদ্দীন পদক, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার মাথাডাঙ্গা মহকুমার লতাপাতা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত ঠাকুর পঞ্চানন স্মৃতি পরিষদ কর্তৃক সম্মাননা, জাতীয় জাদুঘর মিলায়তনে লোকসঙ্গীত পরিষদ আয়োজিত গুণীজন সংবর্ধনা, রংপুর ক্ষত্রিয় সমিতির শততম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে সম্মাননা, রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় বাংলা বিভাগ কর্তৃক সম্মাননা, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের অনগ্রসর শ্রেণীকল্যাণ দফতর আয়োজিত ২৬তম রাজ্য ভাওয়াইয়া সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে সম্মাননা স্মারক; উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত কর্তৃক লোকউৎসবে সম্মাননা স্মারক; পশ্চিমবঙ্গ, ভারত কর্তৃক ‘রাজবংশী ও জনজাতি চলচ্চিত্র উৎসব’ - এ সম্মাননা স্মারক, আব্বাস প্যারিমোহন দাস - লোকসংস্কৃতি সংস্থা, কোচবিহার কৃর্তক ‘আব্বাস উদ্দীন স্মৃতি পদক’ উল্লেখযোগ্য। সঙ্গীত জীবনে প্রাপ্ত এই সম্মাননা সম্পর্কে বর্মা বলেন, ‘এগুলো শিল্পী জীবনের স্বীকৃতি। এগুলোকে আমি শ্রদ্ধাভরে অবনত শিরে গ্রহণ করেছি। আমার জীবনের প্রাপ্ত এই সম্মাননাগুলো আমি উৎসর্গ করেছি গ্রাম বাংলার খেটে খাওয়া সহজ-সরল মনের মানুষগুলোকে। যাঁরা ভাওয়াইয়া গানের প্রধান উপজীব্য এবং প্রাণ ভোমরা।’ দেশ এবং বিদেশের মাটিতে ভাওয়াইয়া সঙ্গীত পরিবেশন করে অল্প সময়ের মধ্যে শিল্পী ভূপতি ভূষণ বর্মা অর্জন করেন সুখ্যাতি। সম্প্রতি শিল্পী বর্মা বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়ার খিয়ংসাং প্রদেশের ছাংউত্তনে ‘মাল্টিকালচারাল ফেস্টিভাল’- এ ৭টি অনুষ্ঠানে ভাওয়াইয়া সঙ্গীত পরিবেশন করেন। এ দলের প্রতিনিধিত্ব করেন তৎকালীন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। দলের অন্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন কুদ্দুস বয়াতি, লালন কন্যা সোনিয়া এবং নৃত্যশিল্পী মৌ। পাশাপাশি তিনি ভাওয়াইয়া বিষয়ক কর্মশালায়েও প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। শুধু গান আর গানের স্কুল এ দুয়ের মধ্যে থেমে থাকেনি ভূপতি ভূষণ বর্মার জীবন। তিনি অনুধাবন করেন ভাওয়াইয়ার প্রচার-প্রসারে প্রয়োজন সৃজনশীল কর্মকান্ডের। তাই তিনি ভাওয়াইয়া একাডেমি থেকে ত্রৈমাসিক ‘ভাওয়াইয়া লোক’ পত্রিকা প্রকাশের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। এ পত্রিকায় লোকসংস্কৃতির বিভিন্ন উপাদানসহ ভাওয়াইয়া সঙ্গীতের স্বরলিপি স্থান পেয়েছে। অদ্যাবধি ভাওয়াইয়া লোক পত্রিকাটির ১২টি সংখ্যা প্রকাশ হয়েছে। এছাড়াও তিনি ভাওয়াইয়া গীতিকার রবীন্দ্রনাথ মিশ্রের গানের সংকলনও প্রকাশ করেছেন। সমাজ সেবামূলক কাজেও তিনি পিছিয়ে নেই। দুস্থ শিল্পীদের আর্থিক সহায়তা, বন্যার্ত ও শীতার্থদের পাশেও তিনি সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দেন। শিল্পীর অসামান্য কৃতিত্ব কছিম উদ্দীন লোকশিল্প সংগ্রহশালা প্রতিষ্ঠা। ভাওয়াইয়া একাডেমিতে অস্থায়ীভাবে ভাওয়াইয়া যুবরাজ কছিম উদ্দীনের স্মরণে ২০১৭ সালে নির্মাণ করেন সংগ্রহশালটি। শিল্পী বলেন, ‘গ্রামবাংলার অতীত ঐতিহ্যকে সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরাই এই সংগ্রহশালার মূল উদ্দেশ্য।’ ইতোমধ্যে এই সংগ্রহশালায় লুপ্ত প্রায় ১৫০০ অধিক লোকঐতিহ্য স্থান পেয়েছে। যার উত্তরোত্তর বৃদ্ধির লক্ষ্যে তিনি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। শিল্পী ভূপতি ভূষণ বর্মা ভবিষ্যৎ জীবনের পরিকল্পনা সম্পর্কে বলতে গিয়ে শেষ ইচ্ছার কথা জানান এভাবে, কছিম উদ্দীম লোকশিল্প সংগ্রহশালাটির দ্বিতল ভবন এবং ভাওয়াইয়া সঙ্গীত রেকর্ডিং এর জন্য একটি স্টুডিও প্রতিষ্ঠাই এখন জীবনের একমাত্র লক্ষ্য।
×