ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও বৃক্ষমেলা উদ্বোধন আজ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত: ১০:৩৮, ২০ জুন ২০১৯

 বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও  বৃক্ষমেলা উদ্বোধন আজ প্রধানমন্ত্রীর

বিডিনিউজ ॥ বিশ্ব পরিবেশ দিবস আজ পালিত হচ্ছে। এ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা ২০১৯ উদ্বোধন করবেন। মঙ্গলবার বিকেলে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ তথ্য জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়কমন্ত্রী মোঃ শাহাবউদ্দিন। মন্ত্রী শাহাবউদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সকাল ১০টায় দিবসটির কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। প্রতিবছর ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত হয়ে আসছে, কিন্তু এ বছর ঈদ-উল-ফিতরের কারণে আমরা তারিখ পিছিয়ে দিয়েছি। প্রতিবছর বিশ্ব পরিবেশ দিবসে ভিন্ন ভিন্ন প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করে থাকে জাতিসংঘ। এ বছর পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য ‘বায়ু দূষণ’ এবং দিবসের স্লোগান ‘বিট এয়ার পলিউশন’ অর্থ্যাৎ ‘আসুন, বায়ুদূষণ রোধ করি’ বলে জানান মন্ত্রী। এবার জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা ২০১৯ এর প্রতিপাদ্য ‘শিক্ষায় বন ও পরিবেশ, আধুনিক বাংলাদেশ’ ঘোষণা করেন মোঃ শাহাবউদ্দিন। এ বছর পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়নে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনটি ক্যাটাগরিতে ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে পাঁচটি ‘জাতীয় পরিবেশ পদক ২০১৯’ দেয়া হবে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে অবদান রাখার জন্য ‘বঙ্গবন্ধু এ্যাওয়ার্ড ফর ওয়ার্ল্ড লাইভ কনজারভেশন’, বৃক্ষরোপণে ‘প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পুরস্কার’ এবং সামাজিক বনায়নে সুবিধাভোগী-দের হাতে চেক তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এবারের বৃক্ষমেলায় স্টলের সংখ্যা থাকবে ১০০। সারাদেশে বিক্রি ও বিতরণের জন্য ৬৯ লাখ ৪৫ হাজার চারা উত্তোলন করা হয়েছ। এর মধ্যে ১০ লাখ চারা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ জনগণের মাঝে বিতরণ করা হবে। বর্তমানে বন অধিদফতর নিয়ন্ত্রিত বনভূমির পরিমাণ ১৮ লাখ ৪০ হাজার হেক্টর উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘সংরক্ষিত প্রাকৃতিক বন থেকে গাছ আহরণ ২০২২ সাল পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছ।’ এর মধ্যে ২৭ রক্ষিত এলাকাসহ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। সামাজিক বনায়ন কার্যক্রমের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে বন সংরক্ষণ ও বৃক্ষরোপণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছ।’ বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন সংরক্ষণে সুন্দরবনের ‘৫২ ভাগ এলাকাকে’ রক্ষিত এলাকা ঘোষণা করা হয়েছ বলেও জানান তিনি। ‘সুন্দরবনের বাকি ৪৮ ভাগে মৎস্য শিকার, মধু আহরণসহ অন্যান্য কাজের অনুমতি রয়েছে; কিন্তু ৫২ ভাগে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না।’ সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ২০১৮ সালের এপ্রিল মাস থেকে ২০১৯ সালের এই সময়ে পরিচালিত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিনের বিরুদ্ধে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট ২১৩ অভিযান চালিয়েছে। এসব অভিযানে ৬৩ লাখ ২৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায় হয়েছে এবং জব্দকৃত পলিথিনের পরিমাণ ১৬৯ টন। এই সময়ের মধ্যে ইট ভাঁটির বিরুদ্ধে ৩০১, পাহাড় কাটা বিরুদ্ধে ৬৪, কালো ধোঁয়ার বিরুদ্ধে সাতটি, জলাশয় ভরাট করার বিরুদ্ধে চারটি, ইমারত নির্মাণ সংক্রান্ত বিষযয়ে ১৫ মোবাইল কোর্ট অভিযান চালিয়ে জরিমানা আদায় করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সচিব আব্দুল্লাহ আল মোহসিন, অতিরিক্ত সচিব মোঃ বিল্লাল হোসেন এবং উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার।
×