ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নুসরাত হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে অধ্যক্ষ সিরাজের জবানবন্দী

প্রকাশিত: ১২:২৮, ২৯ এপ্রিল ২০১৯

নুসরাত হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে অধ্যক্ষ সিরাজের জবানবন্দী

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফেনী, ২৮ এপ্রিল ॥ ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার নির্দেশদাতা ও মামলার প্রধান আসামি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। রবিবার বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম জাকির হোসেনের আদালতে ১৬৪ ধারায় তাদের জবানবন্দী গ্রহণ করা হয়। জবানবন্দী গ্রহণ শেষে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল এসপি মোঃ ইকবাল জানান, সিরাজ উদদৌলা জেলখানা থেকে নুর উদ্দিন ও শাহাদাত হোসেন শামিমকে নুসরাতের মায়ের করা শ্লীলতা হানির মামলা তুলে নিতে দিক নির্দেশনা দেয় সে নির্দেশনা অনুযায়ী নুর উদ্দিন ও শমিমসহ অপরাপর আসামিরা শ্লীলতা হানির মামলা তুলে নিতে নুসরাতকে চাপ দিতে বলে। নুসরাত রাজি না হলে তাকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে নির্দেশ দেয়। আলোচিত এ মামলায় আদালতে নুসরাত হত্যার দায় স্বীকার করে এ পর্যন্ত ৯ আসামি জবানবন্দী দিয়েছে। এরা হচ্ছেন মামলার অন্যতম আসামি নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামিম, আবদুর রহিম শরিফ, হাফেজ আবদুল কাদের, উম্মে সুলতানা পপি, কামরুন নাহার মনি, জাবেদ হোসেন ও জোবায়ের আহমেদ। আলোচিত এ মামলায় এ পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও পিবিআই। এদের মধ্যে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ উদদৌলা, পৌর কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আলম, শিক্ষক আবছার উদ্দিন, সহপাঠী আরিফুল ইসলাম, নুর হোসেন, কেফায়াত উল্যাহ জনি, মোহাম্মদ আলা উদ্দিন, শাহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষের ভাগ্নি উম্মে সুলতানা পপি, জাবেদ হোসেন, যোবায়ের হোসেন, নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন, মোঃ শামিম, কামরুন নাহার মনি, আবদুর রহিম শরিফ, হাফেজ আবদুল কাদের, সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিন, ইফতেখার হোসেন রানা ও এমরান হোসেন মামুন। এদের মধ্যে মামলার এজহারভুক্ত আট জনের মধ্যে সকল আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
×