ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

না’গঞ্জের আলোচিত ৭ খুনের পাঁচ বছর পূর্তি আজ

প্রকাশিত: ১০:১৮, ২৭ এপ্রিল ২০১৯

 না’গঞ্জের আলোচিত  ৭ খুনের পাঁচ  বছর পূর্তি আজ

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের পাঁচ বছর পূর্ণ হলো আজ শনিবার (২৭ এপ্রিল)। এ মামলায় ২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, র‌্যাব-১১-এর চাকরিচ্যুত সাবেক অধিনায়ক লেঃ কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন ও লে. কমান্ডার এম মাসুদ রানাসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদন্ড এবং ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদানের আদেশ দেন। ২০১৭ সালে ২২ আগস্ট হাইকোর্ট ১৫ জনের মৃত্যুদন্ডের আদেশ বহাল রেখে বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করেন। বর্তমানে মামলাটি সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগে রয়েছে। নিহতদের পরিবারসহ নারায়ণগঞ্জবাসী সাত খুন মামলার এ রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানান। আলোচিত সাত খুনে নিহতরা হলেন- নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকার, যুবলীগ নেতা মনিরুজ্জামান স্বপন, স্বপনের গাড়ির চালক জাহাঙ্গীর, নজরুলের সহযোগী তাজুল ইসলাম, নজরুলের বন্ধু সিরাজুল ইসলাম লিটন ও চন্দন সরকারের গাড়ি চালক ইব্রাহিম। নিহতের সাতটি পরিবারের মধ্যে ৫টি পরিবার উপার্জনক্ষম ব্যক্তিদের হারিয়ে এখন অর্থকষ্টে মানবেতর জীবনযাপন করছে। সাত খুনে নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বলেন, ৭ খুন মামলায় রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানাই। উচ্চ আদালত থেকে সাত খুনের আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি দন্ডাদেশসহ যে রায়টি আমরা পেয়েছি সেই রায়টি যেন সুপ্রীমকোর্টে বহাল থাকে। তিনি বলেন, ৭ খুনে সাতটি পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে। আমরা আর কোন পরিবার ধ্বংস হোক তা দেখতে চাই না। তিনি বলেন, হাইকোর্টে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের আদেশ হয়েছে সারাদেশের মানুষ দেখুক নরপিশাচদের বিচার আমাদের প্রধানমন্ত্রী করেছেন। নরপিশাচদের এমন সাজা দেয়া হোক যাতে জীবনে কেউ অপরাধ করতে সাহস না পায়। নিহত তাজুল ইসলামের পিতা আবুল খায়ের বলেন, ৭ খুন মামলার রায় দ্রুত কার্যকর করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে জোর দাবি জানাই। তিনি বলেন, ৭ খুন মামলায় আরেকটি আইনীপ্রক্রিয়া চলমান আছে। আমাদের আত্মবিশ্বাস আছে প্রধানমন্ত্রী আমাদের যে কথা দিয়েছে হয়তো এ কথা বাস্তবায়ন হবে। হয়তো আমাদের আরেকটু সময় অপেক্ষা করতে হবে। আমরা আশাকরি আল্লাহর তরফ থেকেও ৭ খুনের আসামিদের বিচার হবে। বাংলাদেশ সরকারের আইনানুযায়ী যে বিচার প্রক্রিয়া চলছে তা এ বছরেই মধ্যেই শেষ হবে। তিনি জানান, সরকারের কাছে আমাদের জোর দাবি সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে যারা জড়িত ও যারা প্রকৃত অপরাধী ও দোষী তাদের যেন উপযুক্ত শাস্তি হয়। নিম্ন আদালতে সাত খুনের বাদী পক্ষের আইনজীবী শাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, নারায়ণগঞ্জ আদালতে সাত খুনের সঠিক একটি বিচার আমরা পেয়েছিলাম। পরে উচ্চ আদালতে আপীল করা হয়। সেই আপীলে যে রায় দেয়া হয় সেই রায়েও আমরা সন্তুষ্ট হয়েছিলাম। কিন্তু সে রায়ে আসামিরা আপীলের ব্যাপারে দীর্ঘসূত্রতার আশ্রয় নিয়েছে। বর্তমানে মামলাটি সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগে রয়েছে। সাত খুনে নিহতের পরিবার ও নারায়ণগঞ্জের মানুষ চায় যে রায়টি হয়েছে সেই রায়টি বহাল থাকুক এবং সেই রায়টি যেন দ্রুত কার্যকর হয় সারা বাংলাদেশের মানুষের সেটাই চাওয়া।
×