ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অভিনেতা সালেহ আহমেদ আর নেই

প্রকাশিত: ১১:২১, ২৫ এপ্রিল ২০১৯

অভিনেতা সালেহ আহমেদ আর নেই

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যে কোন চরিত্রে সাবলীল অভিনয়ের জন্য আলাদা খ্যাতি পাওয়া প্রবীণ অভিনেতা সালেহ আহমেদ আর নেই। ছোট পর্দায় বিশেষ উপস্থিতি। হুমায়ূন আহমেদের নাটকে অসাধারণ অভিনয়। দর্শক মাতিয়ে রাখা। আর তার পর নীরবে নিভৃতে চির বিদায়। ক্ষণজন্মা শিল্পী বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে ঢাকার এ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না...রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। যখন টেলিভিশন নাটক থেকে অভিনয় হারাতে বসেছে, যখন নাটকের নামে ভাঁড়ামো তখন এমন জাত অভিনেতার চলে যাওয়া বড় ক্ষতি বলেই মানছেন সবাই। অভিনয় শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব নাসিম জানান, সালেহ আহমেদ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে গত সোমবার তাকে এ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে সহকর্মীরা শেষবারের মতো দেখতে সেখানে ছুটে যান। সালেহ আহমেদের মামাত ভাই অভিনেতা আহসানুল হক মিনু জানান, সালেহ আহমেদের মরদেহ বিকেলে উত্তরখানের বাসায় নেয়া হয়। মাগরিবের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় তাকে। প্রয়াত অভিনেতার পারিবারিক সূত্র জানায়, পাঁচ ছয় বছর আগে স্ট্রোক করলে শরীর একরকম অচল হয়ে যায় এই অভিনেতার। স্বাভাবিক হাঁটাচলাও করতে পারতেন না। এ কারণেই দর্শকদের চোখের আড়ালে চলে যান তিনি। দীর্ঘদিন টেলিভিশন বা সিনেমার পর্দায় দেখা যায় না গুণী অভিনেতাকে। অথচ ‘কোথাও কেউ নেই’, ‘অয়োময়’সহ তোলপাড় করা বহু নাটকে উল্লেখযোগ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। সিনেমাতেও ছিল উজ্জ্বল উপস্থিতি। হুমায়ূন আহমেদের ‘আগুনের পরশমণি’, ‘আমার আছে জল’, ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ সিনেমাতে দারুণ একজন অভিনেতা হিসেবে পাওয়া গেছে তাকে। জানা যায়, গুণী অভিনেতার চিকিৎসার খরচ চালাতে পরিবারকে হিমশিম খেতে হচ্ছিল। তখনই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত জানুয়ারি মাসে সালেহ আহমেদের চিকিৎসার জন্য ২৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র করে দেন তিনি। সালেহ আহমেদ বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে জন্মগ্রহণ করেন। লেখাপড়া শেষে যোগ দেন সরকারী চাকরিতে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। ১৯৯১ সালে সরকারী চাকরি থেকে অবসর নিয়ে পুরোদমে অভিনয় শুরু করেন। তারও আগে মঞ্চে কাজ করেন তিনি। মঞ্চের অভিজ্ঞতাই তাকে আজকের অবস্থানে এনেছে বলে মনে করা হয়।
×