ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সিদ্ধিরগঞ্জে হোটেল থেকে কাভার্ডভ্যান মালিকের লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত: ০৯:৩৯, ৩১ মার্চ ২০১৯

সিদ্ধিরগঞ্জে হোটেল থেকে কাভার্ডভ্যান মালিকের লাশ উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ সিদ্ধিরগঞ্জে শিমরাইলের মুক্তিনগর বিক্রমপুর বোডিং নামে একটি আবাসিক হোটেল থেকে ফরিদুল হক (৫৮) নামে এক কাভার্ডভ্যান মালিকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সকাল ৮টার দিকে আবাসিক হোটেলের একটি রুম থেকে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টরিয়া) হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। তিনি নোয়াখালী জেলার সোনামুড়ী থানার রথি ভূইয়া বাড়ি এলাকার মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে। ফরিদুল হক নিজেই তার কাভার্ডভ্যানটি চালাচ্ছিলেন। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ ইব্রাহীম পাটোয়ারী জানান, ফরিদুল হক শুক্রবার রাতে তার মালিকানাধীন কভার্ডভ্যান কাঁচপুর ব্রিজের পূর্বপাশে পার্কিং করে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলের মুক্তিনগর এলাকার বিক্রমপুর হোটেলে রাত্রী যাপন করেন। হোটেলে রাত্রীযাপনের বিষয়টি তিনি মোবাইলে তার পরিবারকে জানিয়েছিলেন। রাত ১টার পর তার পরিবারের সদস্যরা তার মোবাইলে ফোন দেয়ার পর তিনি আর রিসিভ করেননি। পরে শনিবার ভোরে তার ছেলে ইমন ও চাচাতো ভাই মাহফুজ ওই হোটেলে এসে ম্যানেজারকে ছবি দেখান। ম্যানেজার ওই লোককে শনাক্ত করে তাদের হোটেলের ২২ নং কক্ষে তিনি রাত্রী যাপন করছেন বলে জানিয়ে তাদেরকে নিয়ে ওই কক্ষের সামনে নিয়ে যান। তবে কক্ষের দরজায় তারা আওয়াজ করলে তিনি কোন সাড়া শব্দ করেননি। পরে বিষয়টি হোটেলের ম্যানেজার পুলিশকে অবহিত করেন। সকাল ৮টার দিকে পুলিশ হোটেলের দরজা ভেঙ্গে তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে নওগাঁয় যুবক নিজস্ব সংবাদদাতা নওগাঁ থেকে জানান, নওগাঁর মহাদেবপুরে নিখোঁজ হওয়ার চারদিন পর নিজ বাড়ির দোতলার রুম থেকে মাদকাসক্ত এক যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে থানার এস আই রুহুল আমিন খবর পেয়ে উপজেলার রাইগাঁ ইউনিয়নের সাতবাড়ীয়া নারায়ণপুর গ্রামের নিজ বাড়ির দোতলার রুম থেকে তোজাম্মেল হক (৩৭) নামে এক যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ জানায়, হাজী ফজলার রহমানের ছেলে তোজাম্মেল হক দীর্ঘদিন ধরে হেরোইনে আসক্ত ছিল। তোজাম্মেল হক গত বুধবার বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় বলে তার পরিবারের লোকজন জানান। পুলিশের ধারণা মাদকাসক্ত হয়ে পড়ায় সে ওইদিন তাদের পরিত্যক্ত ওই দোতলায় গিয়ে তীরের সঙ্গে গামছা বেঁধে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। আত্মহত্যার পর লাশের ভারে গামছা ছিঁড়ে রুমে পরে যায় এবং গত চারদিনে লাশটি পচে গন্ধ বের হলে বাড়ির লোকজন দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দেয়।
×