ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নতুন বছরে সারাদেশে শিক্ষার্থীদের উল্লাস

৪ কোটি পেল ৩৫ কোটি বই

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ২ জানুয়ারি ২০১৯

৪ কোটি পেল ৩৫ কোটি বই

বিভাষ বাড়ৈ ॥ নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক ডামাডোলের মধ্যেও সফল এক উৎসবের মধ্য দিয়ে প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের সকল শিক্ষার্থীর হাতে বিনামূল্যের পাঠ্যবই দিয়ে নতুন বছর শুরু করল সরকার। বছরের প্রথম দিন টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া রূপসা থেকে পাথুরিয়া দেশজুড়ে স্কুলে স্কুলে উৎসবের মধ্য দিয়ে চার কোটিরও বেশি শিক্ষার্থী হাতে পেল ৩৫ কোটি ২১ লাখ ৯৭ হাজার ৮৮২ কপি নতুন ঝকঝকে পাঠ্যবই। শিক্ষার্থীরা উল্লাসে মেতে শামিল হয় উৎসবে। যুগান্তকারী এ কর্মযজ্ঞের হিসাব বলছে, ১০ বছরে শিক্ষার্থীদের মাঝে ২৯৬ কোটি আট লাখ বিনামূল্যের পাঠ্যবই বিতরণ করেছে সরকার। যে দৃষ্টান্ত পৃথিবীতে বিরল। এ এক অন্যরকমের উৎসব। প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য এ এক অন্যরকম দিন। বছরের প্রথম দিন খালি হাতে স্কুলে যাওয়া, আর সহপাঠীদের সঙ্গে পাঠ্যপুস্তক উৎসবে শামিল হয়ে হাতে পাওয়া পুরো এক সেট ঝকঝকে নতুন বই। দেশজুড়ে স্কুলে স্কুলে মঙ্গলবার ছিল এমনই এক উৎসব যার আমেজ থাকবে বেশ কয়েকদিন। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সারাদেশের শিক্ষার্থীদের অভয় দিয়ে বলেছে, বছরের প্রথম দিনই কোন কারণে বিদ্যালয়ে যেতে না পারলেও কিংবা কোন কারণে বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে না পারলে উদ্বেগের কিছু নেই। বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ক্লাসে গেলেই হাতে পাবে নতুন বই। পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণীর সমাপনী পরীক্ষা পাস করা শিক্ষার্থীদেরও নেই কোন চিন্তা। পরবর্তী ক্লাসে ভর্তি হলেও তারা পাবে নতুন পাঠ্যবই। জানা গেছে, নির্বাচনের কারণে এবার বইয়ের কাজ আগে শেষ করার টার্গেট নির্ধারণ করেছিল সরকার। ভালভাবে কাজ হয়েছে। রাজনৈতিক ডামাডোলের মধ্যেও তাই বছরের প্রথম দিনই শিক্ষার্থীর হাতে বিমামূল্যের নতুন ঝকঝকে পাঠ্যবই পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে এনসিটিবি। উৎসবে শামিল হয়ে শিক্ষার্থীরা তাই হাতে পেল সকল পাঠ্যবই। রাজধানী থেকে শুরু করে উৎসব চলছে জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রামের স্কুলে স্কুলে। এদিকে সরকারের এ বিশাল কর্মযজ্ঞের তথ্য দেখলেই স্পষ্ট হয় প্রায় প্রতিবছরই বেড়েছে বিনামূল্যের বইয়ের সংখ্যা। বেড়েছে শিক্ষার্থী বিশেষ করে বিদ্যালয়ে আসা শিক্ষার্থীর সংখ্যা। শিক্ষাবিদসহ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিনামূল্যের পাঠ্যবই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে এনেছে। যা দেশের পুরো শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রভাব ফেলেছে। তথ্য বলছে, গত ১০ বছর আগে দেশে বিদ্যালয়ে আসা শিশুদের হার ছিল ৮০ শতাংশের একটু বেশি। কিন্তু ১০ বছরের মাথায় আজ প্রায় শতভাগ শিশু আসছে বিদ্যালয়ে। বিষয়টি ইতোমধ্যেই নজর কেড়েছে আন্তর্জাতিক মহলের। বিদ্যালয়ে শতভাগ শিশুর উপস্থিতিকে বাংলাদেশের একটি বড় অর্জন বলেও উল্লেখ করা হচ্ছে। শতভাগ বিনামূল্যের পাঠ্যবইয়ের প্রথম বছর বইয়ের সংখ্যা ছিল ২০১০ সালে ১৯ কোটি ৯০ লাখ ৯৬ হাজার ৫৬১ কপি, ২০১১ সালে ২৩ কোটি ২২ লাখ ২১ হাজার ২৩৪ কপি, ২০১২ সালে ২২ কোটি ১৩ লাখ ৬৬ হাজার ৩৮৩ কপি, ২০১৩ সালে ২৬ কোটি ১৮ লাখ ৯ হাজার ১০৬ কপি, ২০১৪ সালে ৩১ কোটি ৭৭ লাখ ২৫ হাজার ৫২৬ কপি, ২০১৫ সালে ৩২ কোটি ৬৩ লাখ ৪৭ হাজার ৯২৩ কপি, ২০১৬ সালে ৩৩ কোটি ৩৭ লাখ ৬২ হাজার ৭৭২ কপি, ২০১৭ সালে বই ছিল ৩৬ কোটি ২১, লাখ ৮২ হাজার ২৪৫ কপি। গত বছর বইয়ের সংখ্যা ছিল ৩৫ কোটি ৪২ লাখ ৯০ হাজার ১৬২ কপি। আর এবার ৩৫ কোটি ২১ লাখ ৯৭ হাজার ৮৮২ কপি। এনসিটিবির সদস্য অধ্যাপক ড. মিয়া ইনামুল হক রতন সিদ্দিকী বলছিলেন, গত ১০ বছরে সরকারেরর দেয়া বিনামূল্যের বইয়ের পরিমাণ ২৯৬ কোটি ৭ লাখ ৮৯ হাজার ১৭২ কপি। যাতে সরকারের ব্যয় হয়েছে ৮ হাজার কোটি টাকারও বেশি। তবে এ কাজ যুগান্তকারী। পৃথিবীতে এটা একটি নজির। তিনি আরও বলছিলেন, ২০১০ সালের আগে বাংলাদেশের ইতিহাসে কখনই ছাত্রছাত্রীরা যেমন পায়নি শতভাগ বিনামূল্যের বই তেমনি বছরের প্রথম দিনও পাঠ্যবই হাতেও পায়নি। জানা গেছে, বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকার ১৯৮৩ সাল থেকে ছাত্রছাত্রীদের মাঝে কিছু বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ শুরু করে। ২০০৯ সাল পর্যন্ত নির্ধারিত কয়েকটি ক্যাটাগরির কেবল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের অর্ধেক নতুন ও অর্ধেক পুরনো পাঠ্যবই বিনামূল্যে দেয়া হতো। এসব বইও সময়মতো শিক্ষার্থীরা পেত না। বই পেতে পেতে মার্চ/এপ্রিল পার হয়ে যেত। এতে ক্লাস শুরু হতেও অনেক দেরি হত। প্রতিবারই অসাধু প্রেস মালিকদের সিন্ডিকেটের কবলে পড়ত পাঠ্যবই ছাপার কাজ। সময়মতো বই না পাওয়ায় এবং উচ্চদরে বাজার থেকে বই কিনতে না পেরে প্রতি বছর ব্যাপক সংখ্যক ছাত্রছাত্রী প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তর থেকে ঝরে পড়ত। হাতে গোনা কয়েকটি দেশ বাদ দিলে পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই মোট জন্যসংখ্যাও নেই চার কোটি। সেখানে বছরের প্রথম দিনই মঙ্গলবার দেশের প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের চার কোটি ২৬ লাখ স্কুল শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দিয়ে ইংরেজী নববর্ষ শুরু করল বাংলাদেশ। আজ সকাল সাড়ে নয়টা কেন্দ্রীয়ভাবে রাজধানীর আজিমপুর গবর্নমেন্ট গার্লস স্কুল এ্যান্ড কলেজ মাঠে পাঠ্যপুস্তক উৎসবের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এরপরই সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে প্রাথমিকের শিশুদের নিয়ে উৎসবে শামিল হয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেখানে যেমন ছিলেন দেশের ছোট বড় সকল শিক্ষার্থীর প্রিয় মানুষ অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। ছিলেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার ও বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। শারীরিক অসুস্থতার কারণে অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত না থাকলেও ফোনে আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন। সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আকরাম-আল-হোসেন, স্বাগত বক্তব্য দেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মোঃ আবু হেনা মোস্তফা কামাল, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার ও বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ও কথাসাহিত্যিক ও প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হক। প্রথমে আজিমপুর সরকারী গার্লস স্কুল এ্যান্ড কলেজ মাঠে নমুনা হিসেবে কিছু শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়ে উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। বই উৎসবের সূচনায় মন্ত্রী আজিমপুর গবর্নমেন্ট গার্লস স্কুল এ্যান্ড কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী নুসরাত ইশা, গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর সোলায়মান তানভীর রাজ, লালবাগ মডেল স্কুল এ্যান্ড কলেজের মেহেদী হাসান অমিত, ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুল এ্যান্ড কলেজের আবিদ হাসান সিদ্দিকী, হাজারীবাগ গার্লস স্কুল এ্যান্ড কলেজের কারিগরি ভোকেশনাল বিভাগের নবম শ্রেণীর জান্নাতুল আফরিন, হাফেজ আবদুর রাজ্জাক জামেয়া ইসলামিয়ার ষষ্ঠ শ্রেণী ছাত্রী ফাউজিয়া নওরিন বুশরার হাতে বই তুলে দেন। মিরপুর রূপনগরের বার্ডো স্কুল থেকে আসা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী মোঃ ওবায়দুল হকও মন্ত্রীর হাত থেকে ষষ্ঠ শ্রেণীর ব্রেইল বই নেয়। উৎসবে ছিলেন এনসিটিবির চেয়ারম্যান নারায়ণ চন্দ্র সাহা, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আলমগীরসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক। মন্ত্রী বলেন, নতুন প্রজন্মকে আগামী দিনের উন্নত বাংলাদেশ গড়ায় বড় ভূমিকা পালন করতে হবে। ২০১০ সাল থেকে প্রতিবছরই সরকার বছরের প্রথম দিনে বিনামূল্যে বই বিতরণের উৎসব করে আসছে। এমন উদ্যোগ পৃথিবীর কোন দেশেই নেই, সারা পৃথিবী বাংলাদেশের এই কাজে অবাক হচ্ছে। মন্ত্রী আরও বলেন, আধুনিক ও উন্নত শিক্ষায় শিক্ষিত একটি জাতি গঠনে সরকার এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে। আগে বই পুস্তক ও শিক্ষা সরঞ্জামের অভাবে সবাই স্কুলেই যেত না, প্রতিবছরই অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়ত। এখন সেই ঝরে পড়ার হার নেই বললেই চলে। শিক্ষার গুণগত মানকে বিশ্বমানের পর্যায়ে পৌঁছাতে হলে নতুন প্রজন্মকে আধুনিক যুগের শিক্ষার সঙ্গে পরিচিত করতে হবে। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই বই প্রণয়ন করছে সরকার। জ্ঞান, প্রযুক্তি এবং দক্ষতা দিয়ে নতুন প্রজন্মকে গড়ে তোলার কাজ করছে। নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি দেশের জনগণের আস্থা আছে বলে তারা একতরফা ভোট দিয়ে আমাদের বিজয়ী করেছে। আমরা এ আস্থা ও বিশ্বাসের মর্যাদা দিয়ে নিজেদের দায়িত্ব পালন করব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়া হবে। বাঙালী জাতির হাজার বছরের গৌরব স্বাধীন বাংলাদেশ। আর এর মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমরা বিরাট সম্ভাবনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। আর নতুন বাংলাদেশের সম্ভাবনা বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সচিব সোহরাব হোসাইন বলেন, বই পড়ে সবাইকে পরীক্ষা দিতে হবে। কোথাও নকল করে পাস করার অপচেষ্টা করলে সেসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হবে। এ জন্য শিক্ষকদের সঠিক দায়িত্ব পালন করার অনুরোধ জানান তিনি। অন্যদিকে শিশু শিক্ষার্থীদের উৎসব ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ। শিশুদের নিয়ে এ উৎসবের আয়োজন করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। বছরের প্রথম দিনে সকাল বেলা খুদে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হবে নতুন শ্রেণীর নতুন বই। মাঠ ভর্তি শিশুরা নেচে গেয়ে মেতেছে উৎসবে। এমন সময় মাইক হাতে মঞ্চে এসে দাঁড়ালেন প্রিয় মানুষ অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। প্রশ্ন করলেন, ‘তোমরা কেমন আছ? শিশুদের সমস্বরে উত্তর, ‘ভাল আছি।’ জাফর ইকবাল বললেন, ‘আমি তো মাস্টার মানুষ, ছেলে- মেয়েদের দেখলে আমি প্রশ্ন করি। তোমাদের একটা প্রশ্ন করব? বল দেখি, বাংলাদেশ কতগুলো বই সমস্ত ছেলে- মেয়েদের দেবে?’ উত্তর এল, ৩৩ কোটি। এরপর বলেন, এত বই পৃথিবীর কোন দেশ ছাপায় না। কোন দেশ ছাপাতে পারবেও না, শুধু বাংলাদেশ পারবে। এত কষ্ট করে এতগুলো বই কেন ছাপায়, বল। তোমাদের জন্য। তোমরা বইটা পড়বে তো? সারা পৃথিবীর কোন মানুষ এত নতুন বই পায় না। বাসায় গিয়ে আজকে রাতেই সবগুলো বই পড়ে ফেলবে, ঠিক আছে? শিশুদের উত্তর হ্যাঁ স্যার পড়ে ফেলব। মন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা প্রতি বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও বই উৎসব পালন করছি। শিক্ষাক্ষেত্রে সরকারের মনোযোগ পৃথিবীব্যাপী তাক লাগিয়ে দিয়েছে। আশা করব, আমাদের শিক্ষার্থীরা নতুন বই পেয়ে পড়াশোনায় আরও মনোযোগী হবে এবং সরকারের আকাক্সক্ষা বাস্তবায়ন করে দেশকে স্বাবলম্বী করে তুলবে এবং উপযুক্ত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে- তাদের কাছে এই প্রত্যাশা রাখি। আনিসুল হক বলেন, তোমরা খুবই সৌভাগ্যবান যে তোমরা নতুন বই পাও। আমরা কোন দিন নতুন বই পাই নাই, সব সময় বড় ভাইদের পুরনো বই নিতাম। তোমাদের দেখে আমার ঈর্ষা হচ্ছে। কিন্তু খুবই ভাল লাগছে যে বাংলাদেশ এত ভাল হয়েছে। আজ থেকে ১০, ২০ বছর পরে বাংলাদেশটা হবে একটা সোনার দেশ, সোনার বাংলা, যার স্বপ্ন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেখেছিলেন। সবার প্রির অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান এই খুদে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, আশা করি সবাই ভাল আছ। সবাইকে ইংরেজী নববর্ষের শুভেচ্ছা। তোমরা দেশের ভবিষ্যত, তাই তোমাদের হাতে বই তুলে দেয়াটা সব থেকে বড় কাজ। আমি ধন্যবাদ জানাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে, যার অক্লান্ত পরিশ্রমেই এটা সফল হয়েছে। আশা করি, তোমরা সবাই পড়াশোনায় মনোনিবেশ করবে, সঙ্গে সঙ্গে খেলাধুলাটাও করতে হবে। দুইটা জিনিসই একসঙ্গে চালাতে হবে এবং সবগুলোতেই ভাল করতে হবে। আশা করি, তোমাদের এ বছরটা অনেক সুন্দর যাবে, ভালভাবে যাবে।
×