ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

শেখ হাসিনা আবার বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী হবেন : তোফায়েল

প্রকাশিত: ০৩:৪১, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮

শেখ হাসিনা  আবার বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী হবেন :  তোফায়েল

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভোলা ॥ ভোলা-১ আসনের প্রার্থী ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে দেশে হয় উন্নয়ন। আপনাদের আমরা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছি। রাস্তা ঘাট পুল কাল ভাট করেছি। গ্রামকে শহর করেছি। আমরা স্লোগান দিচ্ছি আমার গ্রাম আমার শহর। সময় এসেছে গ্রামকে শহরের সকল সুযোগ সুবিধা দেব। বোরহানউদ্দিন গ্যাস পাওয়া গেছে। এখানে বিদ্যুৎ কেন্দ্র হচ্ছে। কোন চাঁদাবাজী নেই। ভোলা ও বোরহানউদ্দিনে গ্যাস সংযোগ দেয়া হয়েছে। সময় এসেছে আর যদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ বছর সুযোগ পায় গ্রামে আপনাদের ঘরে গ্যাস পৌছে দিব। বিএনপিকে উদ্দেশ্যে করে তিনি আরো বলেন,আমরা করি উন্নয়ন। আর ওরা করে অত্যাচার। তিনি আরো বলেন, ভোলার ৪টি আসনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হবে। আগামী নির্বাচনে দুই তৃতীয়াংশের বেশি আসন নিয়ে শেখ হাসিনা আবার বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী হবে। আমরা ক্ষমতায় এসে ইউনিয়নে ইউনিয়নে কমিউনিটি ক্লিনিক করেছি। আর খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে সেগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা পদ্মা ব্রীজের কাজ শুরু করেছিলাম। আর খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে বন্ধ করে দিয়েছে। আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। আজ বুধবার বিকালে ভোলা-২ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী আলী আজম মুকুলের নির্বাচনী পথ সভায় তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন। বোরহানউদ্দিন উপজেলার আবদুল জব্বার কলেজের রাস্তায় অনুষ্ঠিত পথসভাকে কেন্দ্র করে বোরহানউদ্দিন ও দৌলতখান উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী মিছিলসহ বিভিন্ন স্লোগান নিয়ে সমাবেশ স্থালে উপস্থিত হয়। এক পর্যায়ে পথ সভাটি জনসভায় রূপান্তরিত হয়। এ সময় উৎসব মুখর পরিবেশে নৌকার গণজোয়ার সৃষ্টি হয়। তোফায়েল আহমেদ বলেন ,ড. কামলা হোসেন একটা নীতিহীন মানুষ। তার কোন আর্দশ নেই। বঙ্গবন্ধু তাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রী করেছিল। সেই লোকটি দল ত্যাগ করে আর্দশ ত্যাগ করে হাত মিলিয়েছে স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথে। হাত মিলিয়েছে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলাকারী যার যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে তারেক জিয়ার সাথে। হাত মিলিয়েছে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সাথে। মন্ত্রী আরো বলেন, বিএনপির কোন নেতা নেই। ড. কামাল বিএনপির ভাড়াটে নেতা। কথা কথায় মেজাজ করে। আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী পুলিশকে গতকাল বলেছে জানোয়ার। সাংবাদিকদের বলে খামোশ। আচার আচরণ ব্যাবহার তার কুৎসিত। সে এখন পাগল হয়ে গেছে। তার কথা বার্তা আচার আচরনে মনে হয় ড.কামাল হোসেন একটা পাগল! তাকে ভাড়া করেছে বিএনপি। মন্ত্রী আরো বলেন, ৭ বার আমাকে জেলে যেতে হয়েছে। কিন্তু আমি নীতি পরিবর্তন করিনি। তিনি আরো বলেন, ভোলায় গ্যাস আছে বিদ্যুৎ আছে। এখানে ৬ শ মেঘওয়াট বিদ্যুৎ প্লান্টের কাজ চলছে। আরো ১২ শ মেঘাওয়াট আসবে। ভোলা হবে শিল্প নগরী। ভোলা বরিশাল ব্রীজ করে মূল ভূখন্ডের সাথে যুক্ত করবো। অনেকেই ক্ষমতায় ছিলেন। নদী ভাঙ্গা কেউ বন্ধ করতে পারেনি। ৩ হাজার ২০০ শত কোটি টাকা ব্যায় করে ভোলা, বোরহানউদ্দিন, দৌলতখান,তজুমদ্দিন,লালমোহন,চরফ্যাসন,মনপুরাকে রক্ষা করা হয়েছে। কেউ পারেনি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে উন্নয়ন হবে। ধরে নেন বিএনপির পরাজয় সুনিশ্চিত। তাদের ক্ষমতায় আসার কোন সম্ভবনা নেই। তরুণ প্রজন্ম স্বাধীনতার পক্ষে। তরুন প্রজন্মের জন্য ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে। এই ভোলাকে সিঙ্গাপুরের আদলে গড়ে তুলবো। ভোলা হবে বাংলাদেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ জেলা। তিনি আরো বলেন, আপনাদের কাছে ভোলা-২ আসনের প্রার্থী আলী আজম মুকুলকে রেখে গেলাম। খুব ভাল ছেলে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে মুকুলকে বিজীয় করে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করার কথা বললে হাজার হাজার জনতা দুই হাত তুলে সমর্থন জানান। এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ভোলা-২ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান এমপি আলী আজম মুকুল ২০০১ সনে বিএনপির আমলে সাবেক এমপি হাফিজ ইব্রাহিমের অত্যাচার নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে বলেন, কায়কোবাদ হত্যা মামলায় মিথ্যা আসামী দিয়ে আমাদের হয়রানি করা হয়। ২৬ মাস দেশের বাইরে পালিয়ে থাকতে হয়। আমার মেঝ বোন মারা যায় তাকে পর্যন্ত শেষ বারের মতো দেখতে আসতে পারিনি। বহু নিরীহ মানুষকে ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে নির্যাতন করেছে। এ কারণে আজ বিএনপি প্রার্থী জনরোষের ভয়ে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। কেউ তাদেরকে প্রচারণায় বাধা দিচ্ছে না। সভায় সাবেক যুবদলের নেতা পন্তি বিএনপির আমলে তাকে দিয়ে কিভাবে মিথ্যা মামলা করানো হয় তার তার চিত্র তুলে ধরেন। ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলী হায়দার জসিমের সভাপতিত্বে ভোলা-২ আসনের প্রার্থী আলী আজম মুকুল ছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,বোরহানউদ্দিন পৌর সভার মেয়র মো: রফিকুল ইসলাম, বাণিজ্যমন্ত্রী কন্যা ডা: তাছলিমা আহমেদ, অধ্যক্ষ এস এম গজনবী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আযাদ প্রমুখ।
×