ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিসিএলে শিরোপার সুবাস পাচ্ছে দক্ষিণাঞ্চল

প্রকাশিত: ০৬:৪০, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮

বিসিএলে শিরোপার সুবাস পাচ্ছে দক্ষিণাঞ্চল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আগের ৫ রাউন্ড শেষে সপ্তম বাংলাদেশ ক্রিকেট লীগে (বিসিএল) শীর্ষস্থানে ছিল ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল। তবে খুব কম ব্যবধানে পিছিয়ে দুইয়ে থাকা প্রাইম ব্যাংক দক্ষিণাঞ্চলের জন্য সুযোগ ছিল শেষ রাউন্ডে দারুণ কিছু করে শিরোপা জেতার সুযোগ তৈরি করা। চলমান ষষ্ঠ ও শেষ রাউন্ডে যেন তাদের জন্য সুবিধাজনক পথ করে দিয়েছে মধ্যাঞ্চলই। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে তাদের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে বড় লিড নিয়েছে ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চল প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়েছে কম রানে। ফলে পূর্বাঞ্চল কিছু পয়েন্ট ইতোমধ্যেই পেয়ে গেলেও মধ্যাঞ্চল পায়নি। পূর্বাঞ্চলের প্রথম ইনিংসে ৪২৫ রানে শেষ হওয়ার পর মধ্যাঞ্চল ২২৪ রানে গুটিয়ে গেছে। অপরদিকে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রতিপক্ষ বিসিবি উত্তরাঞ্চলকে ২৯৩ রানে গুটিয়ে দেয়ার পর দ্বিতীয়দিন শেষে দক্ষিণাঞ্চল ৫ উইকেটে ৪০৭ রান তুলে বিশাল লিড নিয়েছে। তাই ইতোমধ্যেই বোনাস পয়েন্ট লাভ করে শিরোপার সুবাস পাচ্ছে তারা। দক্ষিণাঞ্চলের জন্য এমন সুবিধাজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন ওপেনার এনামুল হক বিজয় অপরাজিত ১৫৫ ও আল-আমিন ১১০ রান করে। উত্তরাঞ্চল-দক্ষিণাঞ্চল ম্যাচ (চট্টগ্রাম) ॥ গতবারের চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণাঞ্চল এবার বিসিএল শুরু করেছিল পরাজয় দিয়ে। কিন্তু পরের ৪ রাউন্ডে দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখিয়ে ৫ রাউন্ড শেষে ২০.৬৩ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুই নম্বরে উঠে আসে। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য শেষ রাউন্ডে দারুণ কিছু করার চ্যালেঞ্জ ছিল তাদের। কারণ মধ্যাঞ্চল ২১.৮৭ পয়েন্ট নিয়ে খুব কম ব্যবধানেই এগিয়ে শীর্ষে। চ্যালেঞ্জের শুরুটা সাগরিকার মাঠে ভালভাবেই শুরু করে তারা। অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাকের ৭ উইকেট শিকারে উত্তরাঞ্চলকে ২৯৩ রানে প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে দেয় তারা। প্রথমদিন শেষে ১ উইকেটে ২১ রান তুলেছিল দক্ষিণাঞ্চল। দ্বিতীয়দিনেও দ্রুত ২ উইকেট হারায়। দলীয় রান ৫৭তে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া দক্ষিণাঞ্চলকে লিড পাইয়ে দেন বিজয় ও আল-আমিন সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে এবং মেহেদী হাসান মাত্র ৭৬ বলে ৭ চার, ৩ ছক্কায় ঝড়োগতির ৮৪ রান করে। বিজয় ধীরগতিতে ব্যাট চালালেও আল-আমিন ১১৯ বলে ১১ চার, ৩ ছক্কায় ১১০ রান করেন। এরপর ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। তবে বিজয়-মেহেদী জুটি দলীয় রান বাড়িয়ে দেন। দক্ষিণাঞ্চল ৫ উইকেটে ৪০৭ রান তুলে দিন শেষ করেছে ১১৪ রানে এগিয়ে থেকে। বিজয় ২৮৩ বলে ১৩ চারে এখনও ১৫৫ রান নিয়ে ব্যাট করছেন। এবাদত হোসেন ও সানজামুল ইসলাম নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। স্কোর ॥ উত্তরাঞ্চল প্রথম ইনিংস- ২৯৩/১০; ৮৩.৪ ওভার (আরিফুল ৯৮, জিয়া ৬৯, জুনায়েদ ৪৪; রাজ্জাক ৭/৬৯)। দক্ষিণাঞ্চল প্রথম ইনিংস- ৪০৭/৫; ৯৫.২ ওভার (বিজয় ১৫৫*, আল-আমিন ১১০*, মেহেদী ৮৪; এবাদত ২/৫৯, সানজামুল ২/১১৮)। পূর্বাঞ্চল-মধ্যাঞ্চল ম্যাচ (সিলেট) ॥ পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা মধ্যাঞ্চলের জন্য শেষ রাউন্ডে ভাল কিছু করাটা জরুরী ছিল শিরোপা নিশ্চিতের জন্য। উল্টো তারা প্রথম ইনিংসে ২২৪ রানে গুটিয়ে গিয়ে ফলোঅনে পড়ে যায়। যদিও প্রথম ইনিংসে ৪২৫ রান করা পূর্বাঞ্চল ফলোঅন না করিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে দ্বিতীয়দিন শেষে করেছে বিনা উইকেটে ২ রান। আগেরদিন ৮ উইকেটে ৩৮০ রান নিয়ে নেমে পূর্বাঞ্চল ৪২৫ রানে প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে যায়। মাহমুদুল হাসান ১৩৩ বলে ১১ চারে ৯৪ রান করে আউট হয়ে সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন। মধ্যাঞ্চলের পেসার তাসকিন আহমেদ ৪ উইকেট নেন। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে মধ্যাঞ্চল শুরু থেকেই বিপর্যয়ে পড়ে। তবে পিনাক ঘোষের ৫১ ও মোসাদ্দেক হোসেনের ৮৯ বলে ৪ চার, ৩ ছক্কায় ৫৭ রান করলে শেষ পর্যন্ত ২২৪ রানে গুটিয়ে যায়। পূর্বাঞ্চলের বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম ৬ উইকেট শিকার করেন। ২০১ রানে এগিয়ে থেকেও ফলোঅন না করিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয়দিন শেষে পূর্বাঞ্চল বিনা উইকেটে ২ রান করেছে। স্কোর ॥ পূর্বাঞ্চল প্রথম ইনিংস- ৪২৫/১০; ৮৮.৫ ওভার (মাহমুদুল ৯৪, মুমিনুল ৮২, ইমরুল ৭৮, জাকির ৫৭; তাসকিন ৪/৯৬, আবু হায়দার ২/৮৫) ও দ্বিতীয় ইনিংস- ২/০; ১ ওভার (ইমরুল ১*, রনি ১*)। মধ্যাঞ্চল প্রথম ইনিংস- ২২৪/১০; ৭২.১ ওভার (মোসাদ্দেক ৫৭, পিনাক ৫১; তাইজুল ৬/৯২, নাঈম ২/৪৪)।
×