স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ গাজীপুরে শ্রীপুরের সারাহ্ কম্পোজিট মিলস্ লিমিটেড নামের একটি পাটের কারখানায় ও কারখানার গোডাউনে সোমবার ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে মালামাল ও মেশিনপত্রসহ ওই কারখানা পুড়ে গেছে ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট প্রায় ৩ ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে আগুন পুরোপুরি নেভাতে সন্ধ্যা পর্যন্ত ড্যাম্পিংয়ের কাজ করছিল ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আক্তারুজ্জামান ও স্থানীয়রা জানান, শ্রীপুরের কেওয়া বাজারস্থিত সারাহ্ কম্পোজিট মিলস্ লিমিটেড নামের পাটের কারখানায় সোমবার উৎপাদন চলছিল। রাতের শিফটের কাজ শেষে সকালে শ্রমিকরা ডিউটি বদল করছিল। এসময় কারখানার মূল ভবনের ব্রেকিং কার্ড রুমে পাট প্রসেজিংয়ের সফ্টনারনার মেশিন থেকে হঠাৎ আগুনের সুত্রপাত ঘটে। মুহুর্তেই আগুন নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে এবং কারখানার শেড থেকে আগুন গুদামে থাকা পাট, পাটজাত দ্রব্যাদি, জিও ব্যাগ ও জিও তৈরীর ক্যামিকেলসহ বিভিন্ন মালামালে ছড়িয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করে। কারখানার কর্মী ও স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের জয়দেবপুর স্টেশনের ৩টি, শ্রীপুর স্টেশনের ৩টি এবং ভালুকা ফায়ার স্টেশনের ২টিসহ মোট ৮টি ইউনিটের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। প্রায় ৩ ঘন্টা পর সকাল ৯ টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত আগুন পুরোপুরি নেভাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তারা আগুন পুরোপুরি নেভাতে সন্ধ্যা পর্যন্ত ড্যাম্পিংয়ের কাজ করছিল।
কারখানার নিজস্ব পানির কোন উৎস না থাকায় দুর থেকে পানি এনে আগুন নেভাতে অনেকটা বেগ পেতে হয়েছে। আগুনের দৃশ্য মুঠোফোনে ধারণ করতে গিয়ে এক ব্যক্তি আহত হয়। সে কারখানার কর্মী কি-না বা তার পরিচয় জানা যায়নি। আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষনিকভাবে নির্ণয় করা সম্ভব হয় নি। তবে আগুনে মালামাল ও মেশিনপত্রসহ ওই কারখানা পুড়ে গেছে ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
কারখানার সিনিয়র ম্যানেজার জিয়াউল হক খান জানান, কারখানাটিতে মূলতঃ জুট ইয়ার্ন (পাটের সূতা), জিও ব্যাগ ও পাটের বস্তা তৈরী করা হয়। কারখানার ব্রেকার কার্ডের ৮নং মেশিন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। ঘটনার সময় বাতাস থাকায় আগুন মুহুর্তেই পাশের গোডাউনের শেডে ছড়িয়ে পড়ে। এতে কারখানা ও দুইটি শেডের ভেতরে থাকা সমস্ত মালামাল পুড়ে যায়। তবে তাৎক্ষণিক ভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি।
