ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

এ বছরেই ক্যারিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ডস্লাম টুর্নামেন্টের দেখা পেয়েছেন তিনি, জিতেছেন ফ্রেঞ্চ ওপেনের ফাইনাল

সিমোনার আবেগের বছর

প্রকাশিত: ০৭:০২, ৪ ডিসেম্বর ২০১৮

সিমোনার আবেগের বছর

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিশ্ব টেনিস কোর্টে গত কয়েক মৌসুম ধরেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে সিমোনা হ্যালেপ। এই মৌসুমেও তার ব্যতিক্রম ছিল না। এ বছরে অসাধারণ কিছু মুহূর্ত এসে ধরা দিয়েছে রোমানিয়ান তারকাকে। সেইসঙ্গে ছিল তীরে এসে তরী ডুবানোর গল্পও। তবে তাতে হতাশ নন বর্তমান বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর খেলোয়াড়। বরং ভাল-মন্দের ২০১৮ সালকে আবেগের একটি বছর বলে মন্তব্য করেছেন ফরাসী ওপেনের চ্যাম্পিয়ন। এ প্রসঙ্গে ২৭ বছরের এই রোমানিয়ান তারকা পেছনে ফিরে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমার কাছে এ বছরটা বিস্ময়কর! এই সময়ে অনেক খারাপ মুহূর্ত এসেছে। সেইসঙ্গে ভাল সময়েরও দেখাও পেয়েছি আমি। সত্যি কথা বলতে এটা আমার কাছে আবেগের একটা বছর।’ এ বছরেই ক্যারিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ডস্লাম টুর্নামেন্টের দেখা পেয়েছেন তিনি। জিতেছেন ফ্রেঞ্চ ওপেনের ফাইনাল। তবে এই পথটা মোটেও সহজ ছিল না তার। এর আগে তিন গ্র্যান্ডস্লামের ফাইনালে হারের পর চতুর্থ প্রচেষ্টায় এসে স্বপ্নের শিরোপা উঁচিয়ে ধরেন তিনি। কেমন ছিল সেই অনুভূতি? এ বিষয়ে হ্যালেপের উত্তর, ‘মেলবোর্নের ফাইনালেও যখন আমি হেরে যাই, তারপর শক্তিশালী হয়ে ফেরাটা মোটেও সহজ ছিল না। তবে সত্যি কথা বলতে আমি আগের চেয়ে শক্তিশালী হয়েই কোর্টে ফিরি এবং ক্যারিয়ারের প্রথম মেজর শিরোপার দেখা পাই। এটা আমার কাছে অনেক কিছু। এখান থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েই আমি সামনের দিকে এগুনোর সাহস পাই।’ শৈশব পেরুতে না পেরুতেই টেনিস খেলতে আগ্রহী হয়ে পড়েছিলেন সিমোনা হ্যালেপ। ছয় বছর বয়সে তো টেনিস কোর্টে নিয়মিতই অনুশীলন শুরু করে দেন রোমানিয়ার এই প্রতিভাবান বালিকা। সেই হ্যালেপই গত কয়েক মৌসুম ধরে টেনিস বিশ্বের আলোচিত নাম। ২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো ফ্রেঞ্চ ওপেনের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে রাশিয়ান তারকা মারিয়া শারাপোভার কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় হ্যালেপের। তারপরও ধমে যাননি পাঁচ ফুট ছয় ইঞ্চি উচ্চতার এই এ্যাথলেট। ২০১৮ সালে সেই ফ্রেঞ্চ ওপেন জয়ের মধ্য দিয়েই ক্যারিয়ারের প্রথম মেজর শিরোপার স্বাদ পান তিনি। টেনিস বিশ্বে আলোচিত নামগুলোর মধ্যে ইউজেনি বাউচার্ড অন্যতম। বিশেষ করে ২০১৪ সালে টেনিস কোর্টে যে ক’জন নিজেকে মেলে ধরেছেন, তাদের একজন বাউচার্ড। সেবার কানাডার প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে উইম্বলডনের ফাইনালসহ মৌসুমের প্রথম দুই গ্র্যান্ডসøামেরও সেমিফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করেছিলেন তিনি। কিন্তু পারফর্মেন্সের সেই ধারাবাহিকতা আর ধরে রাখতে পারেননি বাউচার্ড। ২০১৬ সালে হঠাৎ করে পাদপ্রদীপের আলোয় উঠে আসেন পুয়ের্তো রিকোর মনিকা পুইগও। রিও অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জিতে গোটা টেনিস বিশ্বকেই অবাক করে দেন তিনি। এর পরের সময়টা অবশ্য নিষ্প্রভ কেটেছে তার। এছাড়াও জেলেনা ওস্টাপেঙ্কো, মেডিসন কেইস, স্লোয়ানে স্টিফেন্স, ক্যারোনিা পিসকোভা কিংবা এলিনা সিতলিনার মতো আরও বেশ কয়েকজন তরুণ প্রতিভাবান খেলোয়াড়কে দেখা গেছে সাম্প্রতিক সময়ে আলো ছড়াতে। কিন্তু দুর্ভাগ্য তারা পারফর্মেন্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেননি। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হ্যালেপ। টেনিস কোর্টে ধারাবাহিক পারফর্ম করে যাচ্ছেন এই রোমানিয়ান তারকা।
×