ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

অস্ট্রেলিয়াকে লজ্জা পাকিস্তানের

প্রকাশিত: ০৬:৪২, ২৬ অক্টোবর ২০১৮

অস্ট্রেলিয়াকে লজ্জা পাকিস্তানের

জিএম মোস্তফা ॥ পাকিস্তানের কাছে টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে হেরেছিল অস্ট্রেলিয়া। বুধবার তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজেও পরাজয়ে শুরু করেছে এ্যারন ফিঞ্চের দল। আবুধাবিতে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান বাবর আজমের অপরাজিত ৬৮ আর বোলার ইমাদ ওয়াসিমের ৩ উইকেটের সৌজন্যে প্রথম টি-২০ ম্যাচে পাকিস্তান ৬৬ রানের বড় ব্যবধানে হারায় অস্ট্রেলিয়াকে। দুবাইয়ে আজ দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে এই দুই দল। এই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে হারালে এক ম্যাচ আগেই সিরিজ নিজেদের করে নেবে সরফরাজ আহমেদের দল। তবে প্রথম ম্যাচে হারায় এ ম্যাচে নিশ্চিত ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবে অস্ট্রেলিয়ানরা। নিজেদের টি-২০ ক্রিকেটের ইতিহাসে অস্ট্রেলিয়ার এটা তৃতীয় সর্বনি¤œ স্কোর। ২০০৫ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সাউদাম্পটনে মাত্র ৭৯ রানেই থেমে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস, যা নিজেদের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বনি¤œ স্কোর। দ্বিতীয় বাজে স্কোরটা ছিল ভারতের বিপক্ষে। ২০১৪ সালের ৩০ মার্চ ঢাকার মাঠে ৮৬ রানেই অলআউট হয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। বুধবার শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। ৫৫ বলে পাঁচ চার এবং একটি ছক্কায় অপরাজিত ৬৮ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন বাবর আজম। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন অলরাউন্ডার মোহাম্মদ হাফিজ। আরেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ফখর জামানের ব্যাট থেকে আসে ১৪ রান। তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৭ রান করে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন হাসান আলী। তবে ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ পাকিস্তান এই ম্যাচেও নিজেদের পারফর্মেন্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেননি। ধরে রাখতে পারলে নিজেদের ইনিংসটাকে আরও লম্বা করতে পারত। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন স্টানলেক ও এ্যান্ড্রু টাই। পাকিস্তানের ছুড়ে দেয়া ১৫৬ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই খেই হারিয়ে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। ৫ রানেই উদ্বোধনী দুই ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ফেলে তারা। অস্ট্রেলিয়ার রান যখন ২২ তখন উপরের সারির ৬ উইকেট নিয়ে নেয় পাকিস্তানের বোলাররা। শেষ পর্যন্ত ১৬.৫ ওভার খেলে ৮৯ রানেই গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন নাথান কালটার-নাইল। এ্যাস্টন এ্যাগারের ব্যাট থেকে আসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৯ রান। ১৪ রান করেন ক্রিস লিন। এছাড়া বাকি আট ব্যাটসম্যানের প্রত্যেকেই দুই অঙ্কের কোটা স্পর্শ করতে ব্যর্থ হয়। যে কারণেই ৮৯ রানে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট লাভ করেন ইমাদ ওয়াসিম। এজন্য ৪ ওভার বল করে ২০ রান খরচ করতে হয় তাকে। ফাহিম আশরাফ এবং শাহীন শাহ আফ্রিদি উভয়েই অস্ট্রেলিয়ার দুটি করে উইকেট দখল করেন। হাসান আলী এবং শাদাব খানও এদিন প্রতিপক্ষের একটি করে উইকেট লাভ করেন। সর্বোচ্চ তিন উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে খুব অল্প রানে বেঁধে রাখতে ভূমিকা রাখায় ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেন ইমাদ ওয়াসিম। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সহজ এই জয়ের ফলে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল পাকিস্তান। সেইসঙ্গে টি-২০ ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বোচ্চ রানে জয়ের রেকর্ডও গড়ল সরফরাজ আহমেদের দল। আজ দুবাইয়ে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। রবিবার একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ।
×