ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ঐতিহাসিক বনগ্রাম গনহত্যা দিবস পালিত

প্রকাশিত: ২৩:৩৫, ২৫ অক্টোবর ২০১৮

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ঐতিহাসিক বনগ্রাম গনহত্যা দিবস পালিত

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল ॥ টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ঐতিহাসিক বনগ্রাম গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার সকালে বনগ্রামবাসী বনগ্রাম শহীদ মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করে। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আহসানুল ইসলাম টিটু। উপজেলা সদর থেকে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে গয়হাটা ইউনিয়নে যমুনা নদীর শাখা নদী ধলেশ্বরীর পাড়ে গ্রামটির অবস্থান। ১৯৭১ সালের এই দিনে টাঙ্গাইলের নাগরপুরের এই গ্রামটিতে ব্যাপক ধ্বংস যজ্ঞ ও গণহত্যা চালায় পাকিস্থানী বাহিনী। জানা যায়, ১৯৭১ সালের ২১ অক্টোবর বনগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধারা অবস্থান নিয়েছেন এমন সংবাদ পেয়ে সিরাজগঞ্জ থেকে গানবোট নিয়ে এসে পাক হানাদার বাহিনী বনগ্রাম আক্রমন করে। সে সময় তুমুল যুদ্ধ হয়। যুদ্ধে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর একজন মেজরসহ ৩ জন নিহত হয়। আর মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে শহীদ হন জেলার কালিহাতী উপজেলার নজরুল ইসলাম নজু, মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার জাহাঙ্গীর আলম, আকতারুজ্জামান ও ওহাব আলীসহ ৭জন। অবস্থা বেগতিক দেখে মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটে ও পাকিস্তান হানাদার বাহিনী স্ব স্ব ক্যাম্পে ফিরে যায়। পরবর্তীতে পাক হানাদার বাহিনী ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে ২৫ অক্টোবর বনগ্রাম আক্রমন করে অগ্নিসংযোগ ও ব্যাপক গণহত্যা চালায়। আবাল, বৃদ্ধ, শিশু ও মহিলা কেউ রেহাই পায়নি হায়েনাদের হাত থেকে, হত্যা করে ৫৭ জনকে এবং ১২৯টি বাড়িতে অগ্নি সংযোগ করে। পরে তাদেরকে একত্রে মাটি চাপা দেয়া হয়। স্বাধীনতার পরে ঐ স্থানটি বনগ্রাম গণকবর হিসেবে নামকরণ করা হয়। স্থানীয় ইউপি সদস্য কামরুজ্জামান কায়েমের সভাপতিত্বে ও গয়হাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রাশেদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন দেলদুয়ার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল হক, নাগরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল আলীম দুলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম অপু, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবীর, তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক জাকির হোসেন তালুকদার, ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান আসকর, শফিকুর রহমান শাকিল, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বাবর আল মামুন ছাড়াও উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ উপজেলার সর্বস্তরের মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।
×