ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কনসোর্টিয়ামের কাছে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনের প্রস্তাব

প্রকাশিত: ০৬:১০, ১৯ অক্টোবর ২০১৮

কনসোর্টিয়ামের কাছে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনের প্রস্তাব

ফিরোজ মান্না ॥ তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছে কনসোর্টিয়ামের কাছে। প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলের মেয়াদ প্রায় শেষ পর্যায়ে। বর্তমানে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল থেকে আমরা ২৪০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ পাচ্ছি। দ্বিতীয় কেবলের ক্ষমতা ১৩ শ’ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ (গিগাবাইট পার সেকেন্ড)। ভবিষ্যতে এই ক্যাবল আপগ্রেড করলে সর্বোচ্চ ১৭ শ’ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ পাওয়া যেতে পারে। কিন্ত যখন দেশের সব ইউনিয়ন কানেক্টিভিটির আওতায় চলে আসবে তখন ২ হাজার জিবিপিএস ব্যান্ডউইথের প্রয়োজন হবে। বর্তমানে দেশে প্রায় সাড়ে ৭ শ’ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ব্যবহার হচ্ছে। দুটি ক্যাবল মিলে দেশে আসছে ৪শ’ ৯০ জিবিপিএস। বাকি ব্যান্ডউইথ বেসরকারীভাবে দেশে আনা হচ্ছে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে দেশে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বহুগুণে বেড়ে যাবে। এ জন্য আগে থেকেই কাজ শুরু করা হয়েছে। আরও একটি ক্যাবল স্থাপন করার জন্য কনসোর্টিয়ামের কাছে প্রস্তাব করেছি। এ তথ্য জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল ‘সি-মি-উই-৪’ যুক্ত হয় ২০০৫ সালে। তখন এই ক্যাবলের মাধ্যমে মাত্র ২৫০ জিবিপিএস (গিগাবিট পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইথ পাওয়া যেত। কয়েক দফা ক্যাবল আপগ্রেড করেও খুব বেশি ব্যান্ডউইথ বাড়ানো সম্ভব হয়নি। দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল থেকে ২৪০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ পাওয়া যাচ্ছে। ধীরে ধীরে এই ক্যাবল থেকে ১৩ শ’ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ পাওয়া যাবে। পরে আরও আপগ্রেড করলে সর্বোচ্চ ১৭ শ’ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ আনা সম্ভব। তবে এর কোন নিশ্চয়তা নেই। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। প্রথম ক্যাবলের ‘লাইভ টাইম’ শেষ হয়ে গেলে তখন দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলটিই থাকবে। বিকল্প ক্যাবল হিসেবে অন্য কোন ক্যাবল থাকবে না। এ কারণেই আমরা চিন্তা করেছি বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও সিঙ্গাপুরকে নিয়ে একটি ছোট কনসোর্টিয়াম গঠন করব। এই কনসোর্টিয়াম চট্টগ্রাম থেকে সিঙ্গাপুর পর্যন্ত একটি ক্যাবল স্থাপন করবে। তিন দেশের এই কনসোর্টিয়ামে খুব বেশি টাকার প্রয়োজন হবে না। আমরা হিসাব করে দেখেছি প্রতিটি দেশের ৬ শ’ কোটি টাকা করে ১৮ শ’ কোটি টাকা হলে একটি ক্যাবল স্থাপন করা সম্ভব হবে। সিঙ্গাপুরে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ক্যাবল গিয়ে মিশেছে। আমাদের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল কোন কারণে নষ্ট হলে তখন বিকল্প ক্যাবল হিসাবে সিঙ্গাপুর থেকে আমরা সহজেই ব্যান্ডউইথ আনতে পারব। প্রথম ক্যাবলটির ‘লাইফ টাইম’ যেহেতু ২০ বছর। ইতোমধ্যে ১৪ বছর পার হয়ে গেছে। বাকি আছে মাত্র ৬ বছর। ক্যাবল যত পুরনো হয় মেরামতের কাজ তত বেশি করতে হয়। পুরনো ক্যাবল মেরামতে খরচ অনেক বেড়ে যায়। এই টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে কনসোর্টিয়ামকে। ১৬ টি দেশ প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলের মালিক।
×