ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

খালেদার মামলার বিচারে আজ থেকে কারাগারে বসছে আদালত

প্রকাশিত: ০৫:৩৮, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮

খালেদার মামলার বিচারে আজ থেকে কারাগারে বসছে আদালত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিচার সম্পন্ন করতে ঢাকার পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে অস্থায়ী আদালত স্থাপন করে গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। ফলে এখন থেকে বিশেষ জজ আদালত-৫ এ বিচারাধীন জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার শুনানি পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডে কেন্দ্রীয় কারাগারে অনুষ্ঠিত হবে। আজ বুধবার মামলাটির শুনানি শুরু হবে। মামলার শুনানির জন্য কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের ৭ নম্বর কক্ষকে অস্থায়ী আদালত হিসেবে ঘোষণা করে মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন ও বিচার বিভাগের উপসচিব (প্রশাসন-১) মোঃ মাহবুবার রহমান সরকার স্বাক্ষরিত এই গেজেটে বলা হয়েছে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বিচারকাজ বকশীবাজার এলাকার সরকারী আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতে পরিচালিত হচ্ছে। মামলা চলাকালীন ওই এলাকাটি জনাকীর্ণ থাকায় নিরাপত্তাজনিত কারণে এই আদালত স্থানান্তর করা হচ্ছে। এখন থেকে এই মামলার বিচার কার্যক্রম পুরাতন কারাগারে ঘোষিত অস্থায়ী আদালতে চলবে। এর আগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বুধবার কারাগারে আদালত বসতে পারে বলে জানিয়েছিলেন মামলার সরকারপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল। এ মামলার অন্যতম আসামি বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার রায়ে পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডে পুরাতন কারাগারে সাজা খাটছেন তিনি। মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন। মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, ‘খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কারণে কারা কর্তৃপক্ষ তাকে এ মামলায় আদালতে হাজির করতে পারছেন না। কোনভাবেই মামলাটি এগিয়ে নেয়া যাচ্ছে না। এ কারণে মামলাটির বিচারকার্য পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে অস্থায়ী এজলাসে করার জন্য আদালতের কাছে আবেদন করেছিলাম।’ দুর্নীতির এই মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার আজ ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জামিন রয়েছেন। এর আগে গত ৭ আগস্ট মামলাটি যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য দিন নির্ধারিত ছিল। তবে খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় ওই দিন তাকে আদালতে উপস্থিত করেনি কারা কর্তৃপক্ষ। পরে খালেদার জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেন তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া। সেদিন শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ জজ-৪-এর আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত খালেদার জামিনের মেয়াদ বাড়ান। আজ মামলার যুক্তিতর্ক শুনানির পরবর্তী তারিখ ঠিক করা আছে। দুর্নীতির এই মামলায় মোট আসামি চার জন। খালেদা জিয়া ছাড়া অভিযুক্ত অন্য তিন আসামি হলেন খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ’র নৌনিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। এ মামলায় মোট ৩২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। ২০১১ সালের ৮ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ চার জনের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুদক। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। মামলাটিতে খালেদা জিয়াসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তৎকালীন বিচারক বাসুদেব রায় অভিযোগ গঠন করেন। ভোটের হাওয়া আজ পৃষ্ঠা-২০
×