ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নওগাঁয় মাছবাজার শেড ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কায় আতঙ্ক

প্রকাশিত: ০৭:১৮, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

নওগাঁয় মাছবাজার শেড ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কায় আতঙ্ক

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ৩ সেপ্টেম্বর ॥ নওগাঁ শহরের পৌর নতুন মাছবাজারের (বড় মাছবাজার) শেডের এখন বেহাল দশা। প্রতিদিন অন্তত কয়েক হাজার ক্রেতা-বিক্রেতা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই ছাদবিশিষ্ট শেডের নিচে মাছ কেনাবেচা করে। যে কোন সময় ছাদ ধসে পড়ে সেই জগন্নাথ হলের হৃদয়বিদারক ট্র্যাজেডির পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে এখানে। এমন আশঙ্কায় শহরের মাছ ব্যবসায়ীসহ সচেতন মহল আতঙ্কিত হয়ে পড়লেও পৌর কর্তৃপক্ষ একেবারে উদাসীন। জানা গেছে, বিগত ১৯৮৪ সালের ৪ জুলাই তৎকালীন পৌর চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল জলিল এই নতুন মাছবাজার শেডের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ওই বছরের শেষের দিক নতুন মাছবাজারে মাছ বেচাকেনা শুরু হয়। এরপর দীর্ঘ ৩৪ বছরেও ওই মাছবাজার শেডের কোন সংস্কার করা হয়নি। ইতোমধ্যেই শেডের পিলার ও বিমগুলোতে ফাটল ধরে সিমেন্ট-খোয়া খসে পড়েছে। রড বের হয়ে এগুলো কঙ্কালসার হয়ে পড়েছে। খাবলা ধরে ছাদের পলেস্তার পড়ে গিয়ে রড বের হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই ছাদের পলেস্তার খুলে পড়ছে। সামান্য বৃষ্টিতেই ছাদ চুঁয়ে টপ টপ করে পানি পড়ে। বৃষ্টির পানি ও ছাদের খুলে পড়া পলেস্তার আটকাতে মাছ ব্যবসায়ীরা ছাদের নিচ দিয়ে পলিথিন টাঙ্গিয়ে দিয়েছে। ছাদের ওপরে আগাছা জন্মে জঙ্গলের সৃষ্টি হয়েছে। ছোট-বড় বিভিন্ন প্রজাতির গাছে ছাদের ওপর যেন বাগান গড়ে ওঠেছে। ছাদের নিচে, পিলারে ও বিমে ফাটল ধরে চৌচির হয়ে গেছে। এতে ছাদ ধসে পড়ার আতঙ্কে তারা কাতর হয়ে পড়েছে। নওগাঁ মাছবাজার সমিতির সভাপতি গৌতম হালদার ভুটু ও খুচরা মাছবাজার সমিতির সভাপতি জালাল উদ্দিন ফকির জানান, এই মাছবাজারের শেডে প্রতিদিন ২ শতাধিক ব্যবসায়ী মাছ বিক্রি করে। প্রতিদিন কয়েক হাজার ক্রেতা আসেন মাছ কিনতে। শেডের যা অবস্থা, তাতে যে কোন সময় ধসে পড়ে ভয়াবহ প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে। সাবেক কাউন্সিলরকে কুপিয়েছে ছাত্রলীগ কর্মী নিজস্ব সংবাদদাতা, নেত্রকোনা, ৩ সেপ্টেম্বর ॥ পূর্ব শত্রুতা ও আধিপত্য নিয়ে বিরোধের জের ধরে কেন্দুয়া পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর এবং আওয়ামী লীগ নেতা অঞ্জন সরকারকে কুপিয়ে আহত করেছে এক ছাত্রলীগ কর্মী। সোমবার দুপুরে পৌর শহরের আদমপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ হামলাকারী ফেরদৌস আহমেদকে আটক করেছে। আহত অঞ্জন সরকারকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কেন্দুয়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর অঞ্জন সরকারের সঙ্গে আদমপুর গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে ছাত্রলীগ কর্মী ফেরদৌস আহমেদের আগে থেকে বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরধরে সোমবার দুপুরে ফেরদৌস আহমেদ আদমপুর এলাকায় অঞ্জন সরকারের ওপর হামলা চালায়। অঞ্জন সরকারকে সে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
×