ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শাস্তি দাবি

সিন্ডিকেটের প্রতারণায় মালয়েশিয়া গিয়ে সর্বস্বান্ত

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ২৯ আগস্ট ২০১৮

সিন্ডিকেটের প্রতারণায় মালয়েশিয়া গিয়ে সর্বস্বান্ত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী কর্মী প্রেরণে সরকার নির্ধারিত অভিবাসন ব্যয় ৩৭ হাজার টাকা থাকলেও রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো সাড়ে তিন থেকে চার লাখ টাকারও বেশি আদায় করছে। সিন্ডিকেটের প্রতারণায় পড়ে দুই বছরে দেশের হাজার হাজার বেকার যুবক মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমালেও সংসারে সুখ ও সচ্ছলতার পরিবর্তে বেড়েছে অর্থকষ্ট। দেশের বেকার যুব সমাজের স্বপ্ন নিয়ে প্রতারণা করার জন্য রিক্রুটিং এজেন্সির শাস্তি দাবি করেছেন সচেতন নাগরিক সমাজ। আর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তারা। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণের নামে প্রতারণা বন্ধের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে এই দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সচেতন নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক তাপস কুমার দাশ। মানবন্ধনে বক্তারা বলেন, রিক্রুটিং এজেন্ট সিন্ডিকেটের প্রতারণায় পড়ে প্রায় দুই বছরে দেশের হাজার হাজার বেকার যুবক মালয়েশিয়ায় পাড়ি দিয়েছে। বর্তমানে তারা চরম অনিশ্চয়তা, অভাব-অনটন আর হতাশার মধ্যে রয়েছে। রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের মালয়েশিয়ায় পাঠিয়েছিল সেখানে গিয়ে তার কোন সত্যতা খুঁজে পায়নি তারা। সুখের আশায় স্বদেশ ছাড়লেও সুখ কি তা এখনও খুঁজে পায়নি তারা। উপরন্তু দেশ থেকে ধার-দেনা করে সন্তানদের বিদেশে পাঠিয়ে বর্তমানে তার দায় বইতে হচ্ছে হতভাগ্য পরিবারগুলোকে। দিন যতই যাচ্ছে ততোই দেনায় জর্জরিত পরিবারে বিরাজ করছে হতাশা আর অনিশ্চয়তা। বক্তারা আরও বলেন, মালয়েশিয়ায় রিক্রুটিং এজেন্সির দেয়া চাকরিতে বেতন পাওয়া যায় ১৯ থেকে ২০ হাজার টাকা। যা দিয়ে থাকা-খাওয়ার পর দেশে টাকা পাঠানো যায় না। অথচ এজেন্সিগুলো তাদের মাসে বাংলাদেশী ৪০ থেকে ৫০ হজার টাকা বেতনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মালয়েশিয়া পাঠিয়েছিল। এই প্রতারকদের শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। দেশের বেকার যুবকদের স্বপ্ন নিয়ে তারা খেলা করেন। বক্তারা বলেন, মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণের নামে দেশের ১০টি এজেন্সি প্রতারণা করে আসছে। তারা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শহরের হাজারো বেকার যুবকের সঙ্গে প্রতারণা করে যাচ্ছে। বর্তমান সরকারের বহিঃবিশ্বে শ্রমবাজার সম্প্রসারিত করার উদ্যোগকে সিন্ডিকেট করে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। তাই এই রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানান তারা। হাবিবুর রহমান নামের বক্তা বলেন, এজেন্সি কিভাবে চলে কোন দেশ চালায় তা জানতে চাইনা।
×