ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শ্বশুরবাড়িতে বন্দী জীবন ॥ স্কুলছাত্রীর গর্ভের সন্তান নষ্ট

প্রকাশিত: ০৬:৩৩, ৩১ জুলাই ২০১৮

শ্বশুরবাড়িতে বন্দী জীবন ॥ স্কুলছাত্রীর গর্ভের সন্তান নষ্ট

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ শ্বশুরবাড়িতে অসুস্থ অবস্থায় বন্দী জীবন হতে উদ্ধার করা হয়েছে নববিবাহিত স্কুলছাত্রী সুধা রানীকে। সোমবার সকালে ডিমলা থানা পুলিশ উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের উত্তর সোনাখুলি গ্রামের শ্বশুরবাড়ি হতে ওই নববধূকে উদ্ধার করে ডিমলা হাসপাতালে ভর্তি করেছে। অভিযোগ মতে সোনাখুলি গ্রামের সুভাষ চন্দ্র রায়ের মেয়ে চাপানি সোনাখুলি সৈকত নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালযের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী শুধা রানীর সঙ্গে একই এলাকার ননী চন্দ্র রায়ের ছেলে জয়কান্ত রায় (১৮) প্রেমের সর্ম্পক ছিল। প্রেমের সূত্রে দৈহিক সম্পর্কের কারণে ছাত্রীটি ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে ঘটনা সমাধানে উভয় পরিবার তাদের বিয়ে দেয়। তারা নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ৮ জুলাই এই বিয়ে সম্পন্ন করে। শ্বশুরবাড়িতে উঠার পর মেয়েটির গর্ভের সন্তান বিনষ্ট করার জন্য মেয়েটির স্বামী তাকে ওষুধ সেবন করায়। এতে গর্ভের সন্তান নষ্টসহ অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হতে থাকলে খবর পেয়ে মেয়েটির বাবাসহ লোকজন ছুটে এলে বাড়িতে প্রবেশ বাধা দেয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে মেয়েটির কাকা ধরঞ্জয় রায় বাদী হয়ে ডিমলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ওই অভিযোগে সোমবার সকালে মেয়েটিকে তার শ্বশুরবাড়ি হতে উদ্ধার করে ডিমলা হাসপাতালে ভর্তি করে। সোমবার দুপুরে চিকিৎসাধীন সুধা রানী অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের পর থেকে তার শ্বশুর ধনঞ্জয় রায় (৫৫), শাশুড়ি মালতী রানী, স্বামী জয়কান্ত রায়, ভাসুর হিমান্ত, অনন্ত রায়, কাকা শ্বশুরের পুত্র গৌতম কুমার রায় (২৮), মহাদেব চন্দ্র রায় সব সময় নির্যাতন করত। গত বুধবার তাকে নিয়ে জোরপূর্বক গর্ভপাত ঘটনায়। তার রক্তক্ষরণ হতে থাকলেও তাকে চিকিৎসা দেয়নি। বাবার বাড়ির লোকজন এলে তাদের বাড়িতে প্রবেশ করতে ও আমার সঙ্গে দেখা করতে দেয়নি। আমার গর্ভের সন্তান যারা নষ্ট করেছে আমি তাদের বিচার চাই।
×