ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

গরমে উত্তরাঞ্চলে বেড়েছে সাপের উপদ্রব

প্রকাশিত: ০৬:১৯, ২২ জুলাই ২০১৮

গরমে উত্তরাঞ্চলে বেড়েছে সাপের উপদ্রব

সমুদ্র হক ॥ একদিকে গরমে তেষ্টা দায়, বৃষ্টি আসি আসি করেও উধাও। এরই মধ্যে সাপের উপদ্রব। উত্তরাঞ্চলে সাপও এখন গর্ত থেকে বেরিয়ে পড়েছে। বেড়েছে উপদ্রব। বগুড়ায় এই উপদ্রব এতটা ছিল না। এখন দিনের বেলাতেও অনেক সময় সাপের দেখা মেলে। পরিবেশবিদদের কথা : জলবায়ুর সঙ্গে ভূপ্রকৃতির পরিবর্তন এবং নগরায়নের থাবায় সাপ তার আবাস হারিয়ে ফেলছে। প্রবেশ করছে লোকালয়ে। লুকিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে বাসা বাড়ির কোনায়। বগুড়ার প্রবীণ ব্যক্তি সৈয়দ সুলতানুল আলম বললেন, ইঁদুরের বিচরণ কমে যাওয়া প্রমাণ করে সাপের আনাগোনা। সাপের অন্যতম খাবার ইঁদুর। সাপ ইঁদুরের গর্তে ডিম দেয়। সেখানে থাকে। সরীসৃপ জাতীয় এই প্রাণী গর্তে টিকতে পারছে না। বগুড়া নগরীর স্টেশন রোডের ধারের অনেক ফল দোকানি হরহামেশাই তাদের ঘরে সাপের চলাচল লক্ষ্য করেন। লুকানো অনেক বড় সাপ দ্রুত সটকে পড়তে দেখেছেন। সাপ মারার বদলে চিৎকার দিয়ে ভয়ে সরে যান। চকলোকমান এলাকার আজাহার আলী বললেন, গভীর রাতে তার ঘরে কোন কিছুর নড়াচড়া লক্ষ্য করেন। মনে করতেন ইঁদুর। একদিন রাতে উঠে বাথরুমে যাওয়ার জন্য বাতি জ্বালিয়ে দেখেন সাপ দৌড়ে পালাল। সোনাতলার হরিখালি হাটের লোকজন মাটি খুঁড়তে গিয়ে ইঁদুরের গর্তে সাপের ডিম দেখতে পেয়ে ভীত হয়ে পড়েন। ধুনটের দুটি প্রাথমিক স্কুলের মেঝে খুঁড়ে কয়েকশ’ সাপ পাওয়া যায়। সাপের উপদ্রবে এখন জীবনযাপনে সতর্কতার মধ্যে থাকতে হয়। একজন চিকিৎসক বলেন, দেশে সাপের দংশনের প্রতিষেধক এ্যান্টিভেনাম এখন নাগালের মধ্যে। দেশে এ পর্যন্ত প্রায় ৯ লাখ মানুষ সাপের দংশনে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছে ৬ হাজার। যাদের দ্রুত এ্যান্টিভেনাম দেয়া যায়নি তারাই মারা গেছে। তিনি বলেন সাপ নিয়ে এত আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে সাবধানে থাকা ভাল।
×