ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জিয়া এতিমখানা মামলা

খালেদার আপীলের শুনানি ৩ জুলাই

প্রকাশিত: ০৫:০৪, ২৮ জুন ২০১৮

খালেদার আপীলের শুনানি ৩ জুলাই

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার করা আপীল শুনানির জন্য আগামী ৩ জুলাই দিন ধার্য করেছে হাইকোর্ট। বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ দিন ধার্য করে। এদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজার বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার আপীল ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করা সংক্রান্ত আপীল বিভাগের আদেশের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করা হয়েছে। অন্যদিকে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রাখতে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুর্নীত দমন কমিশন (দুদক) মরিয়া বলে মন্তব্য করেছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদার আইনজীবী এ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, এ জে মোহাম্মদ আলী ও এ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ আহমেদ। এ মামলায় খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া চার মাসের জামিন বহাল রেখে আপীল বিভাগ ১৬ মে রায় দেয়। রায়ে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে পাঁচ বছরের দন্ডের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে করা খালেদা জিয়ার আপীল নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে। গত ১৬ মে খালেদাকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বাতিলে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের করা আপীল খারিজ করে দিয়ে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপীল বেঞ্চ রায় দেয়। এর আগে ৮ ফেব্রুয়ারি মামলাটিতে খালেদা জিয়ার পাঁচ বছর কারাদন্ড হয়। একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার ছেলে ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অপর পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে দন্ড দেয়া হয়। রায় ঘোষণার ১১ দিন পর ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রায়ের অনুলিপি হাতে পান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। এরপর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ২০ ফেব্রুয়ারি এ আবেদন দায়ের করা হয়। ১২ মার্চ খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দেয় হাইকোর্ট। হাইকোর্টের দেয়া ওই জামিন স্থগিত চেয়ে পরদিন ১৩ মার্চ আপীল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক। পরে আপীল বিভাগের চেম্বার আদালত ওই দুই আবেদনের শুনানির জন্য ১৪ মার্চ দিন ধার্য করেন। এরপর ১৪ মার্চ আপীল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদককে জামিনের বিরুদ্ধে লিভ টু আপীল (আপীলের অনুমতি চেয়ে) দায়ের করতে বলে চার মাসের জামিন ১৮ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করে। এ আদেশ অনুসারে পরের দিন ১৫ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক লিভ টু আপীল দায়ের করে। ওই লিভ টু আপীলের ওপর শুনানি হয় ১৮ মার্চ। শুনানি শেষে আবেদনের ওপর আদেশের জন্য ১৯ মার্চ দিন ধার্য করে আপীল বিভাগ। ১৯ মার্চ আদালত লিভ টু আপীল মঞ্জুর করে। একই সঙ্গে আপীল শুনানির জন্য ৮ মে দিন ধার্য করে। আপীল শুনানি শেষে ১৬ মে রায় দেয় উচ্চ আদালত। এর মধ্যে দুদক খালেদা জিয়ার সাজা বৃদ্ধিতে আবেদন করলে হাইকোর্ট রুল জারি করে। এছাড়া ১০ বছরের দন্ডপ্রাপ্ত মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল এবং ব্যবসায়ী শরফুদ্দিনও হাইকোর্টে আপীল করেন।
×