ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

লক্ষ্মীপুরে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে কিশোরীকে গণধর্ষণ

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ১৪ জুন ২০১৮

 লক্ষ্মীপুরে বাড়ি থেকে  তুলে নিয়ে  কিশোরীকে  গণধর্ষণ

নিজস্ব সংবাদদাতা, লক্ষ্মীপুর, ১৩ জুন ॥ লক্ষ্মীপুর এক কিশোরীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ শেষে অচেতন অবস্থায় রেখে পালিয়েছে কয়েক দুর্বৃত্ত। মঙ্গলবার রাতে সদর উপজেলার মান্দারী মীয়াপুর এলাকার ৪ নং ওর্য়াডে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে কিশোরীকে থানা পুলিশের কাছে যেতে ও হাসপাতালে ভর্তি হতে না দেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক প্রভাবশালী মহলের বিরুদ্ধে। রাত থেকে প্রভাবশালী মহল ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার পাঁয়তারা করলেও লোকমুখে ঘটনা শুনে বুধবার দুপুরে স্থানীয়রা কিশোরীকে উদ্ধার করেন। পরে চিকিৎসার জন্য অসুস্থ অবস্থায় সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক কিশোরীকে পুলিশের সহযোগিতায় আসার জন্য পরামর্শ প্রদান করেন। পুলিশ জানান, বিষয়টি তারা শুনেছেন। কিশোরী পরিবারকে থানায় মামলা করার জন্য এজাহার দেয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। মামলা হলে ডাক্তারি পরীক্ষার ব্যবস্থা নেয়া হবে। স্থানীয় এলাকাবাসী ও ক্ষতিগ্রস্ত কিশোরীর সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর মান্দারী মীয়াপুর এলাকার ৪ নং ওয়ার্ডে এক কৃষকের ঘরে প্রবেশ তার কিশোরী কন্যাকে তুলে এনে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে কয়েকজন দুর্বৃত্ত। পরে তারা বাড়ির পাশে কিশোরীকে বিবস্ত্র ও অচেতন অবস্থায় রেখে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর কিশোরীর মা ঘরে দেখতে না পেয়ে বহু খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে ঘরের বাহিরে বিবস্ত্র অচেতন অবস্থায় দেখতে পেয়ে চিৎকার দিয়ে ওঠেন। আশপাশের লোকজন ছুটে এসে কিশোরীকে রাতেই হাসপতালে নিয়ে আসলে এক প্রভাবশালী মহল মীমাংসার আশ^াসে তাদের থানা পুলিশের নিকট নির্যাতনের ঘটনা বলতে না দিয়ে বাড়ি নিয়ে যান। এর পর ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয়রা ফের হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে নিয়ে দ্রুত মামলা করাসহ পুলিশের সহযোগিতায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন। নির্যাতিত কিশোরী জানান, রাতে তাকে ঘুমন্ত অবস্থায় ঘর থেকে মুখে কাপড় চাপা দিয়ে তুলে বের করে কয়েকজন পালাক্রমে গণধর্ষণ করে। এতে অচেতন হয়ে পড়লে ধর্ষকরা তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। সে ধর্ষকদের কথা বার্তায় দু’জনকে চিনতে পারেন। বিষয়টি স্থানীয় মাতুব্বররা মীমাংসা করে দেয়ার আশ^াসে ঘটনাটি কাউকে জানাতে নিষেধ করে তাকে হুমকিধমকি দিয়ে আসছেন বলে অভিযোগ করে এ কিশোরী। নির্যাতিত কিশোরীর মা জানান, ঘটনার রাতে দরজা খুলেই তিনি ঘরে নামাজ পড়ছিলেন। কখন যে দুর্বৃত্তরা তার ঘরে প্রবেশ করে মেয়েকে নিয়ে গেছে তিনি টের পাননি। পরে মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে বাহির হলে ঘরের পাশের্^ বিবস্ত্র অচেতন অবস্থায় মেয়েকে দেখতে পেয়ে চিৎকার দিয়ে ওঠেন। পরে স্থানীয়রা এসে তার মেয়েকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিকট বিচার দাবি করলে তারা ন্যায় বিচার করবে বলে আশ্বস্ত করলেও বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে সুরাহা করছে না এবং আইনের আশ্রয় যেতে বাধা দিচ্ছেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য ইসমাইল হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে আলোচনা করে অচিরেই এর সুরাহা করা হবে।
×