ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঈদে ঘরে ফেরা

ঘরমুখো মানুষের স্রোত এখন স্টেশন টার্মিনালমুখী

প্রকাশিত: ০৫:২১, ১৪ জুন ২০১৮

ঘরমুখো মানুষের স্রোত এখন স্টেশন টার্মিনালমুখী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নৌ, সড়ক ও রেলপথে মানুষের ঢল। স্বপ্ন যাবে বাড়ি আমার...। তাই তো নানা ঝক্কি মাথায় নিয়ে প্রিয়জনের উদ্দেশে ছুটে চলা। ঈদ যত কাছে আসছে তত টার্মিনালমুখী ভিড় বাড়ছে মানুষের। এদিকে বাস ও লঞ্চে বাড়তি ভাড়া নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। যদিও মালিক শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে প্রতিটি টার্মিনালে ভিজিলেন্স টিম গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু ভাড়া নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানি রোধে কমিটির পক্ষ থেকে কার্যকর কোন পদক্ষেপ দেখা যায়নি। এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ-সিলেট রুটে কমবেশি দুর্ভোগ হয়েছে বুধবার দিনভর। যদিও সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় ও পুলিশের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে পরিস্থিতি যে কোন মূল্যে স্বাভাবিক করা হচ্ছে। ঈদযাত্রা ভাল হবে ॥ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আশ্বস্ত করেছিলাম গত কয়েক বছরের চেয়ে এবার ঈদযাত্রা ভাল হবে। এখন পর্যন্ত কোথাও যানজট দেখা যায়নি। আশা করছি, শেষ অবধি এ ধারাবাহিকতা আমরা অব্যাহত রাখতে পারব। সকলকে নিয়ে সে চেষ্টা চলছে। বুধবার রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালের নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও ঘরমুখো যাত্রীদের ঈদযাত্রা নির্বিঘœ করতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে ভিজিলেন্স টিমের কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। সেতুমন্ত্রী বলেন, রাস্তার কারণে এবার কোথাও যানজট হবে না। কারণ, আমরা চন্দ্রা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ফোর লেন চালু করেছি। প্রস্তুতি আয়োজন গতবারের চেয়ে জোরদার করেছি। হাইওয়ে তৃণমূলে ৫টি মিটিং করেছি। হাইওয়ে পুলিশ, থানা ও জেলা পুলিশসহ স্থানীয় সরকারের নেতৃবৃন্দের যানজট নিরসন ও যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে কাজ করতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, অন্যবার যাত্রীদের জিজ্ঞাসা করলে বলতেন, ভাল না। এবার গাবতলীতে আসলাম প্রথম। আমি প্রত্যেককে জিজ্ঞাসা করেছি, কেউ বলেনি খারাপ, কেউ বলেনি ভাড়া বেশি নিচ্ছে। আবার ব্যবসায়ীরাও বলেনি ব্যবসা খারাপ। ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি কথা দিয়েছিলাম, কথা রেখেছি। ২৩টি ব্রিজসহ চন্দ্রা-টাঙ্গাইল ফোর লেন চালু করেছি। গত কয়েক বছরের তুলনায় রাস্তা অনেক ভাল। সকাল পর্যন্ত ঢাকা চট্টগ্রাম কোথায় যানজট হয়নি। গাড়িগুলো যথাসম্ভব আসছে। হ্যাঁ, ফেরিতে একটু সমস্যা হচ্ছে। তবে এর মধ্যেও পাটুরিয়ায় চলাচল গতিশীল হয়েছে। ঢাকা-টাঙ্গাইল উত্তরবঙ্গের সঙ্গে সড়কে কোন সমস্যা নেই। ঈদযাত্রায় কোথাও বেশি ভাড়া নেয়ার অভিযোগ পাননি দাবি করে মন্ত্রী বলেন, পরিবহন মালিকদের বলা হয়েছে, বেশি ভাড়া নেয়ার কোন অভিযোগ শুনতে চাই না। এরপরেও যদি বেশি ভাড়া নেয়ার কোন তথ্য পান তাহলে জানানোর অনুরোধ করছি, ব্যবস্থা নেব। সড়কের খোঁজ নিলেন প্রধানমন্ত্রী ॥ মঙ্গলবার রাতে কানাডা সফর শেষে দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশে ফিরে রাতেই সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কাছে জানতে চেয়েছেন, মহাসড়কের অবস্থা কী? গাবতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল পরিদর্শনে এসে সে কথা নিজেই জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, মধ্যরাতে দেশে ফিরেই প্রধানমন্ত্রী আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, মহাসড়কের অবস্থা কী? আমি বলেছি- নেত্রী, অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় ভাল। কোন যানজট নেই। ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা আগের চেয়ে স্বস্তিদায়ক। বিএনপি প্রসঙ্গে কাদের বলেন, বিএনপি এখন নালিশ পার্টিতে পরিণত হয়েছে। ভারতে দলটির টিম গিয়েছিল আমাদের বিরুদ্ধে নালিশ করতে। ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হওয়ার পর টিকেটের বেশি চাহিদা ছিল ১৩ ও ১৪ জুনের। সকাল থেকেই তাই বাড়তে থাকে কাউন্টারগুলোতে ভিড়। বিকেল নাগাদ সে ভিড় আরও বাড়বে বলে জানান পরিবহন কর্মকর্তারা। বুধবার রাজধানীর গাবতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ঘরমুখো মানুষের চাপ। বিভিন্ন রুটে যাত্রীরা কাউন্টারে কাউন্টারে ভিড় করছেন। কাক্সিক্ষত সময়ে বাস আসার অপেক্ষা। হানিফ কাউন্টারে কথা বলে জানা যায়, ভোর বেলা থেকে বিভিন্ন রুটে বাস যথাসময়ে ছেড়ে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত যানজট কিংবা সিডিউল বিপর্যয় দেখা যায়নি। গাইবান্ধা রুটে চলাচলকারী আল হামরা পরিবহনের গাবতলী কাউন্টারে গিয়ে দেখা যায়, প্রচণ্ড ভিড়। ভেতরে বসার স্থান সঙ্কুলান না হওয়ায় বাইরে ফুটপাথে অবস্থান করতে দেখা যায়। কাউন্টারের টিকিট বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘তুলনামূলক আজ চাপ বেশি। ১৪ জুনের টিকেটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি ছিল। সে অনুযায়ী আরও বেশি ভিড় হবে কাল।’ গাবতলীর হানিফ, এসআর, নাবিল, শ্যামলী ছাড়াও প্রত্যেকটি কাউন্টারেই বেশ ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। কল্যাণপুর ডিপজল বাস কাউন্টারের টিকেট মাস্টার আব্দুর সবুর জানান, আমাদের প্রত্যেকটি রুটের টিকেট বিক্রি সম্পন্ন হয়েছে। সে অনুযায়ী ভিড় তো হবেই। বাস-ট্রাক ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সোহাগ পরিবহনের এমডি ফারুক তালুকদার সোহেল গাবতলীতে বলেন, যানজট নিয়ে ভীতি সবসময় ছিল। তবে সরকার খুব চেষ্টা করেছে। মন্ত্রীও খুব দৌড়ঝাঁপ করছেন। এবার যানজট লক্ষ্য করা যায়নি। জানা গেছে, গাজীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে জলজটে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সকালে সৃষ্ট এ তীব্র যানজটে ঈদের ছুটিতে ঘরে ফেরা যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সড়কে দুর্ভোগ ॥ বুধবার থেকে গাজীপুরের বিভিন্ন কলকারখানা ও গার্মেন্ট ছুটি হয়ে যাওয়ায় গাজীপুর ছাড়তে শুরু করেছেন শ্রমিকরা। রাস্তায় গাড়ি ও যাত্রীদের চাপ সকাল থেকে বেড়েই চলেছে। যানজট নিয়ন্ত্রণে পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত মোতায়েন করা হয়েছে। রাস্তার পাশে কোন যানবাহনকে পার্কিং করতে দেয়া হচ্ছে না। এছাড়া টঙ্গী থেকে চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার পথে রাস্তার পাশে অবৈধ দোকানপাটও বসতে দিচ্ছে না পুলিশ। কিন্তু মঙ্গলবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত প্রবল বর্ষণে ১২ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন স্থান পানিতে তলিয়ে যায়। ফলে সড়কের এক লেন ব্যবহার করায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়। বিশেষ করে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভোগড়া বাইপাস মোড়ে রাস্তা পানিতে তলিয়ে থাকায় যানবাহন চালাচলে বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে। স্থানীয়রা বলছেন, মহাসড়কের পানি সরানোর ড্রেনটি সরু হওয়ায় পানি দ্রুত সরছে না। ফলে রাস্তায় পানি জমে থাকছে এবং এতে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। অপরদিকে গাজীপুর মহানগরীর প্রাণকেন্দ্র বলা হয় চান্দনা চৌরাস্তাকে। অথচ সামান্য বৃষ্টি হলেই হাঁটু পানি জমে তলিয়ে যায় পুরো চান্দনা চৌরাস্তা এলাকা। এতে দুর্ভোগে পড়েন পথচারী, আশপাশের সরকারী বেসরকারী অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। গাজীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ নাহিন রেজা বলেন, জয়দেবপুর-ঢাকা সড়কটি বিআরটি প্রকল্পের অধীনে চলে গেছে। জলাবদ্ধতার জন্য ড্রেন নির্মাণসহ সড়ক উন্নয়নের কাজ চলছে। কাজ শেষ হলে সমস্যা থাকবে না। কমলাপুর রেলস্টেশনে মানুষ আর মানুষ ॥ ব্যাগ, লাগেজ হাতে নিয়ে সবাই ছুটছে কাক্সিক্ষত ট্রেনের দিকে। এ তো ছিল ঘরমুখো মানুষের প্ল্যাটফর্ম দিয়ে ছুটে চলার দৃশ্য। আর ট্রেনের ভেতরের চিত্র তো আরও ভিন্ন রকম। ৫ নম্বর প্লাটফর্মে এসে দাঁড়ালো চিলাহাটিগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস। ট্রেনের ভেতরে তো পা ফেলার জায়গাই নেই। যারা ভাগ্যবান তারা ইতোমধ্যে তাদের নির্দিষ্ট আসনে বসতে পেরেছেন। আর যারা ভিড়ের কারণে সিট পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেননি, তারাও দাঁড়িয়েছিলেন সিট না পাওয়া যাত্রীদের সঙ্গে। সব মিলিয়ে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়ে ট্রেনের ভেতরে যেন তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। এখানেই শেষ নয়, জানালা দিয়ে পরিবারের অন্য সদস্যদের ট্রেনের ভেতরে ঢোকানোর দৃশ্য ছিল প্রায় বগির জানালাতেই। এটা শুধু ট্রেনের ভেতরের অংশের দৃশ্য। আর ট্রেনের ছাদের পুরোটাজুড়েই মানুষ আর মানুষ। যে যেভাবে পারছেন ট্রেনের ছাদে উঠে পড়ছেন। কারণ ঈদ উদ্যাপনে তো বাড়ি যেতেই হবে। কিছুক্ষণ পর ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে এসে দাঁড়ালো উত্তরবঙ্গগামী রংপুর এক্সপ্রেস। নিমিষেই নীলসাগর এক্সপ্রেসের মতো যাত্রীতে ঠাসাঠাসি হয়ে গেল পুরো ট্রেন। যদিও তখন ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ানো ঈদ স্পেশাল দেওয়ানগঞ্জ এক্সপ্রেস, ২ নম্বরে দাঁড়ানো কর্ণফুলী এক্সপ্রেস, অগ্নিবীণা এক্সপ্রেসে সেই তুলনায় যাত্রীর চাপ ছিল কম। গত ৪ জুন যারা কাউন্টারের সামনে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অগ্রিম টিকেট সংগ্রহ করেছিলেন তারাই আজ কমলাপুর স্টেশন থেকে ট্রেনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাচ্ছেন। অগ্রিম টিকেট বিক্রি অনুযায়ী চতুর্থ দিনের মতো আজ কমলাপুর ছাড়ছেন মানুষ। ট্রেনের ছাদে অতিরিক্ত যাত্রী উঠার বিষয়ে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর এএসআই তন্ময় আহমেদ বলেন, আমরা চেষ্টা করছি যেন ছাদে যাত্রীরা না ওঠেন। তারপরও ট্রেন কমলাপুর আসার আগে এয়ারপোর্ট স্টেশনে এসব যাত্রী ছাদে উঠে পড়েছেন। শুধু কমলাপুরের যাত্রী হলে আমরা নামিয়ে ফেলতে পারতাম কিন্তু এত যাত্রী যে চেষ্টা করেও তাদের নামানো যাচ্ছে না। এদিকে ঈদ যাত্রা বিষয়ে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার সীতাংশু চক্রবর্তী বলেন, ঈদ যাত্রায় আমরা চেষ্টা করছি যেন সব ট্রেনই ঠিকমতো এসে নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যায়। মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে ঈদে বাড়ি ফিরতে পারেন সেজন্য বিভিন্ন পদক্ষেপও নেয়া হয়েছে। যাত্রী চাপ সামলাতে প্রায় প্রতিটি ট্রেনেই অতিরিক্ত বগি লাগানোর পাশাপাশি যাত্রীদের সুবিধার্থে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থাও আছে। যাত্রীদের বিদায় জানালেন রেলমন্ত্রী ॥ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে গ্রামে ফিরছেন রাজধানীবাসী। কমলাপুর স্টেশনে গিয়ে ট্রেনে ঘর ফেরত এসব মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক। বুধবার দুপুরে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে অবস্থানরত চট্টগ্রামগামী সুবর্ণ এক্সপ্রেসের যাত্রীদের এ শুভেচ্ছা জানান তিনি। এ সময় যাত্রীদের উদ্দেশে মুজিবুল হক বলেন, ট্রেনের আজ যত উন্নয়ন হয়েছে, এর সব অবদান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। আজ আপনারা নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারছেন কার জন্য? এটা কার অবদান? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান। আপনারা প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করবেন, যাতে আগামীতে আরও উন্নত সেবা দিতে পারেন। আর এর সুযোগ-সুবিধা আপনারা ভোগ করতে পারেন। কমলাপুর স্টেশন পরিদর্শন শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মুজিবুল হক বলেন, আজ কমলাপুর থেকে ৩০টি ট্রেন দেশের বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছে। একটি ট্রেন (সুন্দরবন) ছাড়া সব ট্রেন সময় মতো ছেড়েছে। চট্টগ্রাম থেকে ৩২টি ট্রেন ছেড়েছে সঠিক সময়ে। আজ ৯৪টি ট্রেন ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছেড়ে যাবে। তিনি বলেন, ট্রেন যাত্রায় এখন কোন ভোগান্তি নেই। আগামী বছরে আরও উন্নত সেবা পাবেন যাত্রীরা। কোন টিকেট সঙ্কটও থাকবে না। এজন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে। যাত্রীদের ছাদে ওঠা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, ছাদে ভ্রমণ করা কোন আইনে নেই। কমলাপুর থেকে কোন যাত্রী ছাদে উঠতে পারছেন না। তবে নিজ উদ্যোগে অন্য কোথা থেকে ছাদে উঠলে সেক্ষেত্রে কী করণীয় আছে? তারপরও চেষ্টা চলছে, কাউন্সিলিং করা হচ্ছে, তাদের বোঝানো হচ্ছে। ‘আমাদের লক্ষ্য জনগণের সেবা করা। আমরা যাত্রীদের নিরাপদ সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছি। সবাই নিরাপদে ঢাকা ত্যাগ করবেন আবার নিরাপদে ঢাকায় ফিরবেন এটাই কামনা।’ এ সময় যাত্রীদের সবাইকে আসন্ন ঈদ-উল-ফিতরের শুভেচ্ছা জানান তিনি। ব্রিফিংয়ে রেলওয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা ছাড়াও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ও মহাখালী, সায়েদাবাদসহ বিভিন্ন টার্মিনালে বিকেল থেকে যাত্রী চাপ বেড়েছে। মহাখালী টার্মিনালের অনেক যাত্রী অভিযোগ করেন এনা পরিবহনে যাত্রী প্রতি ময়মনসিংহের ভাড়া ৫০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। ফাঁকা হতে শুরু করেছে রাজধানী ঢাকা। গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে এখন তেমন একটা যানজট নেই। মার্কেট ও বিপণিবিতান কেন্দ্রিক যানজট লক্ষ্য করা গেছে। এখনও চলছে শেষ মুহূর্তের বেচাকেনা। গণপরিবহনের সংখ্যাও কমছে। বাড়ছে রিক্সার দৌরাত্ম্য। তবে কিছু কিছু বাসে ঈদ বখশিসের নামে বাড়তি ভাড়া নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
×