ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঝলক

প্রকাশিত: ০৫:০৪, ২৭ এপ্রিল ২০১৮

ঝলক

আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেবে ড্রোন চরম আবহাওয়ার পূর্বাভাস পেতে এবং বিশ্বের পরিবর্তনশীল আবহাওয়ার ধরন বুঝতে সম্প্রতি স্বয়ংক্রিয় ড্রোনের ব্যবহার শুরু করেছেন মার্কিন সমুদ্র গবেষকরা। ২৩ ফুট দীর্ঘ এই ড্রোনটি বানিয়েছে বে এরিয়ার স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান ‘সেলড্রোন’। ড্রোনটি সাগরে ভেসে আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানাবে। এ ধরনের প্রতিটি ড্রোনে ভিন্ন ভিন্ন সেন্সর ব্যবহার করা যেতে পারে। সেন্সরগুলো তাপমাত্রা, বায়ু, আর্দ্রতা, সূর্যের বিকিরণ এবং আবহাওয়ার ধরনের রিয়েল-টাইম তথ্য সংগ্রহ করে তা পাঠাতে পারবে বলে জানানো হয়। বর্তমানে দুইটি সেলড্রোন থেকে তথ্য সংগ্রহ করছে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওশানিক এ্যান্ড এ্যাটমোস্ফেরিক এ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নোআ)। ড্রোনগুলো প্রশান্ত মহাসাগর হয়ে ক্যালিফোর্নিয়ায় ফিরে যাচ্ছে। প্রচলিত পদ্ধতিতে পাওয়া তথ্যের তুলনায় এই ড্রোনের পাঠানো তথ্য কতটা নিখুঁত তা পরিমাপ করাই লক্ষ্য সংস্থাটির। পরীক্ষা সফল হলে এই ড্রোন ব্যবস্থা নোআর পুরনো বুই ব্যবস্থাকে সরাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ১৯৮০ সাল থেকে আবহাওয়ার তথ্য পর্যবেক্ষণে এই ব্যবস্থা ব্যবহার করা হচ্ছে। এর আগে উত্তর মেরু অঞ্চলে সামুদ্রিক জীবন পর্যবেক্ষণ করতে সেলড্রোন ব্যবহার করেছে মার্কিন সংস্থাটি। সাগরের জন্য একই ধরনের ড্রোন বানিয়েছে বোয়িংয়ের লিকুইড রোবোটিকস। সামুদ্রিক ও আবহাওয়ার তথ্য সংগ্রহ করতে এই ড্রোন ব্যবহার করে থাকে সরকারী সংস্থাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।-সিএনএন মিলল রেজা শাহ পাহলভির মমি! ইরানের রাজধানী তেহরানের কাছে নির্মাণ কর্মীরা একটি মমি খুঁজে পেয়েছেন। এটি ইরানের রাজ সিংহাসনের শেষ রাজা রেজা শাহ পাহলভির বলেই ধারণা প্রকাশ করেছে তার পরিবার। ইরানে ইসলামিক বিপ্লবের মধ্য দিয়ে শাহ রাজবংশের পতনের প্রায় চার দশক পর এ মমির সন্ধান মিলল। সোমবার তেহরানের দক্ষিণে শাহর-ই রে নামক পবিত্র স্থানে নির্মাণ কাজ চলার সময় মমিটি খুঁজে পাওয়া গেছে। অনলাইনে শেয়ার হওয়া মমিটির ছবি এবং সংবাদ প্রতিবেদন থেকে এটি শাহ রেজা পাহলভির বলেই জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে। শাহ রেজা পাহলভির সমাধিও শাহর-ই রে এলাকাতেই। ১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের পর বিপ্লবীরা সমাধিটি ধ্বংস করে। কিন্তু পাহলভির দেহাবশেষের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। সোমবার মমিটির সন্ধান মেলার পর পাহলভির নাতি যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসনে থাকা রেজা পাহলভি এক টুইটে বলেছেন, তার ধারণা মমিটি তার পিতামহেরই। যদিও দেহাবশেষটি কার তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য ফরেনসিক রিপোর্ট এখনও তার হাতে পৌঁছেনি। টুইটারে এক বিবৃতিতে রেজা পাহলভি দেহাবশেষটি ইরানে যথাযথভাবে সমাহিত করার ব্যবস্থা করতে কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন। এতে তিনি বলেন, ‘আধুনিক ইরানের জনক হিসেবে নয়, কিংবা রাজা হিসেবেও নয় বরং কেবল একজন সাধারণ সেনা এবং দেশ ও জনগণের সেবক হিসেবে রেজা শাহের সমাধি ইরানীদের পরিচিত কোন স্থানে চিহ্নিত করে রাখতে হবে।’ পাহলভির পরিবার রেজা শাহের দেহাবশেষ সরিয়ে নিয়েছিল বলে যে খবর শোনা যায় তাও নাকচ করেছেন রেজা পাহলভি।-বিবিসি
×