সুইডিশ একাডেমির বিরুদ্ধে নীতি বিসর্জনের অভিযোগ তুলে শুক্রবার প্রতিষ্ঠানটির সদস্যপদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন এর তিন সদস্য। একাডেমির অন্য এক সদস্যকে বিবাহিত একজনের যৌন অসদাচরণ অভিযোগের তদন্ত এবং এ বিষয়ে স্থায়ী সম্পাদকের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপে ‘উদ্বেগ দেখা দেয়ার পর’ লেখক পিটার ইংলান্ড, ক্লাস ওস্টেরগ্রেন ও জেল এস্পমার্ক এ সিদ্ধান্ত নেন। খবর বিবিসির।
সুইডিশ একাডেমিই প্রতিবছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্তের নাম ঘোষণা করে। আজীবনের জন্য মনোনীত হওয়ায় এর সদস্যদের পদত্যাগের সুযোগ নেই। পদত্যাগের ঘোষণা দেয়া তিন লেখক বলছেন, তারা এরপর থেকে একাডেমির আর কোন কাজে অংশ নেবেন না। গত বছরের নবেম্বরে সুইডিশ একাডেমি যৌন অসদাচরণের অভিযোগ ওঠা ওই ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দিয়েছিল। স্টকহোমে যার সাংস্কৃতিক ক্লাবে অর্থ সহায়তা দিত একাডেমি। সুইডেনের রাষ্ট্রীয় কৌসুলিরা যৌন অসদাচরণের অভিযোগগুলোর প্রাথমিক তদন্ত শুরু করলেও পরে এর কিছু অংশ বাদ দেন। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোন আনুষ্ঠানিক অভিযোগও আনা হয়নি। ব্যক্তিটি এ ধরনের সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বলে তার আইনজীবী জানিয়েছেন। অভিযোগের বিষয়ে অভ্যন্তরীণ তদন্তের ফল প্রকাশ করেনি সুইডিশ একাডেমিও। যে কারণে একাডেমি ও এর স্থায়ী সম্পাদকের অবস্থান নিয়ে সন্দেহ দানা বাধছে বলে শুক্রবার এক ব্লগে অভিযোগ করেন ইংলান্ড। তিনি বলেন, যেসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তা আমি না পারছি বিশ্বাস করতে। না পারছি পালন করতে। যে কারণে আমি আর সুইডিশ একাডেমির কোন কাজে অংশ নেব না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইংলান্ডের এ অবস্থানকে সমর্থন করার কথা জানিয়েছেন একাডেমি র সদস্য এস্পমার্কও। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সেভেনেস্কা দাগব্লাদেতকে ওস্টেরগ্রেন বলেছেন, সুইডিশ একাডেমি নিজেদের নীতি রক্ষা করতে পারছে না বলেই ধারণা তার। এ বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি সুইডিশ একাডেমি র ব্যবস্থাপক। স্থায়ী সম্পাদক সারা দানিয়ুসই এ বিষয়ে মন্তব্য করার এখতিয়ার রাখেন। যদিও তাৎক্ষণিকভাবে দানিয়ুসের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।