নিজস্ব সংবাদদাতা নেত্রকোনা, ২ এপ্রিল ॥ জেলা শহরের সাতপাই বাবলু সরণি এলাকায় সংঘটিত চাঞ্চল্যকর মিহির-তুলিকা দম্পতি হত্যার রহস্য উদ্ঘাটিত হয়েছে। ঘটনার প্রায় সাড়ে ছয়মাস পর ময়মনসিংহের ‘পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন’ (পিবিআই) আলোচিত ঘটনাটির প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন করে। একই সঙ্গে গ্রেফতার করে হত্যাকা-ে জড়িত পাঁচজনকে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে: শহরের পারলা এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে রাসেল মিয়া (২১), সাতপাই এলাকার হেলাল উদ্দিনের ছেলে আফজাল হোসেন পলাশ (২২), আব্দুস সালামের ছেলে রুবেল মিয়া (২২), হাকাম উদ্দিনের ছেলে পলাশ মিয়া (২০) ও মৃত আবুল কাশেমের ছেলে আতিকুল ইসলাম (১৮)। রবিবার রাতে নেত্রকোনা ও ঢাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে এদের গ্রেফতার করা হয়।
হত্যায় জড়িত ওই যুবকরা ড্যান্ডিসহ বিভিন্ন ধরনের নেশায় আসক্ত। সোমবার পিবিআই ওই যুবকদের আদালতে হাজির করে। পরে আদালত তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী গ্রহণ করে। তদন্ত সংস্থা পিবিআই প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে, টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরি করতে গিয়ে ওই যুবকরা সংঘবদ্ধভাবে মিহির কান্তি বিশ^াস ও তার স্ত্রী সহিতা রানী বিশ^াস ওরফে তুলিকা চন্দকে হত্যা করেছে। সোমবার সন্ধ্যায় নেত্রকোনার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে এক প্রেসব্রিফিংয়ে পিবিআই’র ময়মনসিংহ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু বকর সিদ্দিক স্থানীয় সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। গ্রেফতারকৃতদের স্বীকারোক্তির উদ্ধৃতি দিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, তুলিকা চন্দ ঘটনার তিন-চারদিন আগে রাসেল ও আতিকুলকে দিয়ে বাসার একটি গাছের পরিত্যক্ত ডাল কাটায়। পরে তিনি ড্রয়ার থেকে দু’জনকে ১শ টাকার একটি নোট বকশিশ দেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: