সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে শ্রীলঙ্কাজুড়ে জারি করা জরুরী অবস্থা রবিবার প্রত্যাহার করা হয়েছে। ১২ দিন আগে জরুরী অবস্থা জারি করা হয়েছিল। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা রবিবার জরুরী অবস্থা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। নিজের টুইটার ফিডে সিরিসেনা বলেন, ‘জননিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনার পর আমি গত মধ্যরাত থেকে জরুরী অবস্থা প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিয়েছি।’ মধ্যাঞ্চলীয় জেলা ক্যান্ডিতে বৌদ্ধ ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে দাঙ্গার ঘটনার পর ৬ মার্চ দেশজুড়ে ১২ দিনব্যাপী জরুরী অবস্থা বহাল থাকে। গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী ওই দাঙ্গায় দুইজন নিহত এবং মুসলিম মালিকানাধীন শতাধিক ঘরবাড়ি, দোকানপাট ও ২০টিরও বেশি মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কট্টরপন্থী বৌদ্ধ গোষ্ঠীগুলোর বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত বছরজুড়েই এই দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্রমাগত উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। মুসলিমরা লোকজনকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণে জোর করছে এবং বৌদ্ধদের পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো ভাংচুর করছে এমন অভিযোগ করে আসছে ওই কট্টরপন্থী বৌদ্ধ গোষ্ঠীগুলো। পাশাপাশি কিছু বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদী শ্রীলঙ্কায় মুসলিম রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উপস্থিতিরও বিরোধিতা করছিল, যাদের অধিকাংশ বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমার থেকে সেখানে গিয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এ পর্যন্ত ৩শ’য়ের বেশি লোককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ২ কোটি ১০ লাখ জন অধ্যুষিত শ্রীলঙ্কায় মুসলিম জনসংখ্যার হার ১০ শতাংশ। -ওয়েবসাইট