ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ট্রাম্প প্রশাসনের আমেরিকা ফাস্টনীতি এ জন্য দায়ী

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গুরুত্ব হারাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ২৩ নভেম্বর ২০১৭

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গুরুত্ব হারাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম এশিয়ায় লম্বা সফরকালে যুক্তরষ্ট্রের কয়েক দশক ধরে এ অঞ্চলের কর্তৃত্বের ক্ষয়িষ্ণু দিকটি ফুটে উঠেছে। এটি আংশিকভাবে চীনের অবকাঠামোগত দ্রুত বৃদ্ধির ফলে ঘটেছে। যাকে একুশ শতকের নতুন আঞ্চলিক আদেশ ‘এশিয়া ফর এশিয়ানস’ বলা হচ্ছে। ওয়াশিংটন পোস্ট। ২০১৩ সাল থেকে এশিয়ার দেশগুলোতে উন্নয়ন খাতে দ্রুত পরিবর্তন হতে শুরু করেছে। এতে সম্ভাব্য অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন তরান্বিত হয়েছে। চীন বিশ্বের অর্থনীতিতে মূল চালিকাশক্তি হিসেবে উদ্ভুত হয়েছে। এটা সক্রিয়ভাবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হচ্ছে। যা এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। ট্রাম্প প্রশাসনকে এজন্য ত্রিমুখী ঝড়ের বিধ্বংসী নীতির প্রতিদান দিতে হচ্ছে। ট্রাম্পের আমেরিকা ফার্স্ট বৈদেশিক নীতির কারণে এই অঞ্চলের সহযোগী ও প্রতিদ্বন্দ্বী উভয়কেই হতাশ করেছে। টুইটারে ট্রাম্পের উদারপন্থীদের ক্রমাগত আক্রমণ করা ও ট্রান্স প্যাসিফিক পার্টনারশিপ বাণিজ্য চুক্তি থেকে সরে আসায় যুক্তরাষ্ট্র ক্রমেই একাকী হয়ে যাচ্ছে। এতে নিজের সবচেয়ে কাছের মিত্রদের বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। এই অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারদের একজন এ বছরের শুরুতে মহাপরাক্রমশালী দেশটি কি আত্মহত্যা করছে এমন প্রশ্নের উত্তরে হ্যাঁ বলেছিল। যুক্তরাষ্ট্র এখন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীদের ওপর একটি উল্লেখযোগ্য সামরিক প্রকল্প বজায় রাখছে। এটি ক্রমশ এই শতাব্দীতে যেকোন উপায়ে যুদ্ধে হারাতে: বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রকে নির্ধারিত করা হয়েছে। এদিকে চীন বিশ্বজুড়ে নিজের ইমেজকে উজ্জ্বল ও জোরালোভাবে রূপায়ন করতে ব্যস্ত রয়েছে। ঘটনাগুলোর একটি পরিক্রমা হলো কমিউনিস্ট সরকার এখন বৈশ্বিকীকরণের এক অভিভাবক ও বহুপাক্ষিক কূটনীতি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। ট্রাম্পের ক্ষমতাসীন হওয়ার পর বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ভার্চুয়াল পতন হয়েছে। পিউ রিসার্চ সেন্টারের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বের আন্তর্জাতিক আস্থা গতবছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি অনুভূত হয়েছে। বৈশ্বিক ভূরাজনীতিতে নতুন একটি দেশের সৃষ্টি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের এশিয়ান সহযোগীদের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের ক্ষমতাভিত্তিক বিশ্বাস কমে যথাক্রমে ৭১ ও ৫৪ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম মুসলমান দেশ ইন্দোনেশিয়ায় এটি ৪১ শতাংশ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ধ্বংস হয়ে যাওয়া নমনীয় শক্তির অবশিষ্ট আর কিছুই নেই। কথাবার্তায় কঠোরতা সত্ত্বেও ট্রাম্প চীন সফরের সময় কোন বড় ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখাননি।
×