ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সুইডেন ও কানাডার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধির আহ্বান রাষ্ট্রপতির

প্রকাশিত: ০৮:১৬, ৬ অক্টোবর ২০১৭

সুইডেন ও কানাডার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধির আহ্বান রাষ্ট্রপতির

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধি ও বিনিয়োগ সুবিধার সদ্ব্যবহারের জন্য সুইডেন ও কানাডার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে এই দুটি দেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার তাদের পরিচয়পত্র পেশ করতে গেলে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান। খবর বাসসর। রাষ্ট্রপতি সরকারী ও বেসরকারী উভয় খাতের উচ্চ পর্যায়ের সফর বিনিময়ের মাধ্যমে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বঙ্গভবনের একজন মুখপাত্র জানান, সুইডেনের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত কাহরিয়োত্তা স্লাইটার ও কানাডার নবনিযুক্ত হাইকমিশনার বেনোয়িত প্রিফোনটেইন বৃহস্পতিবার অপরাহ্নে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের পরিচয়পত্র পেশ করেন। এ সময় রাষ্ট্রপতি তাদের স্বাগত জানান। পরে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের সঙ্গে এই দুটি দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং তাদের পারস্পরিক স্বার্থে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। সুইডিশ সরকারের সঙ্গে সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, সুইডেন বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার এবং সুইডিশ ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (সিডা) বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করছে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে কানাডার সহযোগিতার কথা পুনর্ব্যক্ত করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘কানাডা বাংলাদেশের পরীক্ষিত ও বিশ্বস্ত বন্ধু। ১৯৭২ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে কানাডাও বাংলাদেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’ আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বমানের ওষুধ সামগ্রী উৎপাদন করছে এবং তৈরি পোশাক, পাটজাত দ্রব্য, সিরামিক পণ্য ও চামড়াজাত সামগ্রীতেও রয়েছে বিশ্ব মান। তিনি বাংলাদেশ থেকে এসব সামগ্রী আমদানির ব্যাপারে কানাডার হাইকমিশনারের সহযোগিতা কামনা করেন। রাষ্ট্রপতি দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদারের ব্যাপারে বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকালে তাদের সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। কূটনীতিকদ্বয় মানবিক সহায়তায় রোহিঙ্গা জনগণের পাশে থাকায় বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকায় উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবগণ ও বঙ্গভবনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এর আগে কূটনীতিকদ্বয় বঙ্গভবনে পৌঁছলে রাষ্ট্রপতির গার্ড রেজিমেন্ট (পিজিআর) তাদের গার্ড অব অনার প্রদর্শন করেন।
×