ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

স্ত্রীকে ‘ধর্ষণ’ করলে কী হতে পারে, তার ব্যাখ্যা দিল মোদী সরকার

প্রকাশিত: ১৯:৩০, ৩০ আগস্ট ২০১৭

স্ত্রীকে ‘ধর্ষণ’ করলে কী হতে পারে, তার ব্যাখ্যা দিল মোদী সরকার

অনলাইন ডেস্ক ॥ দিল্লি হাইকোর্টে হলফনামা দিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকার জানিয়ে দিল ‘বৈবাহিক ধর্ষণ’কে যেন অপরাধ বলে গণ্য না করা হয়। বৈবাহিক ধর্ষণকে সাধারণ ধর্ষণের মতোই অপরাধ হিসেবে গণ্য করার আবেদন করে অনেকগুলি মামলা এক সঙ্গে জমা হয়েছে দিল্লি হাইকোর্টে। সেই মামলাতেই হলফনামা পেশ করে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দিল, ‘বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করলে বিয়ের মতো প্রতিষ্ঠানটাই ভেঙে যাবে। এছাড়াও এটি মহিলাদের হাতে তাঁদের স্বামীকে হয়রান করার একটি সহজ অস্ত্র হয়ে উঠবে।’ এই পরিপ্রেক্ষিতে সাম্প্রতিককালে সুপ্রিম কোর্ট ও অন্যান্য কোর্টে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮এ ধারার অপব্যবহার নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে, তারও উল্লেখ করা হয়েছে কেন্দ্রের বক্তব্যে। এই ধারায় স্ত্রীকে অত্যাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করা যায় স্বামী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের। তাই বিয়ের পর স্ত্রীকে ধর্ষণকে একটি অপরাধ হিসেবে গণ্য করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে, কোনটি বৈবাহিক ধর্ষণ ও কোনটি বৈবাহিক ধর্ষণ নয়, তা সূক্ষ্ণ ভাবে ঠিক করতে হবে বলেও কেন্দ্রের হলফনামায় জানানো হয়েছে। পাশ্চাত্যের বিভিন্ন দেশ বৈবাহিক ধর্ষণকে স্বীকৃতি দিয়েছে বলেই যে ভারতে অন্ধভাবে তা অনুসরণ করতে হবে, তার কোনও মানে নেই বলে কেন্দ্রের দাবি। তাদের মতে, ‘এই দেশে নিরক্ষরতা, দারিদ্র, সিংহভাগ মহিলাদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের অভাব, সমাজের মনোভাব, সাংস্কৃতিক বৈচিত্রের মতো এত সমস্যা রয়েছে, যে বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করার আগে সব বিষয়গুলি খতিয়ে দেখতে হবে।’ আদালত কীভাবে বৈবাহিক ধর্ষণের প্রমাণ পাবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে কেন্দ্রের হলফনামায়। বর্তমানে ভারতীয় দণ্ডবিধির যে ৩৭৫ নম্বর ধারায় ধর্ষণের বিচার হয়, তাতে বলা হয়েছে, ‘‘যদি স্ত্রীর বয়স ১৫ বছরের কম না হয়, তা হলে নিজের স্ত্রীর সঙ্গে যৌনসঙ্গম করা ধর্ষণ নয়।’’ যদি কোনও মহিলা তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনতে চান, তাহলে তার সহজ উপায় নেই। তাঁকে পারিবারিক হিংসা থেকে মহিলাদের সুরক্ষা সংক্রান্ত ২০০৫ সালের আইনের দারস্থ হতে হবে। আপাতত সরকারের পক্ষ থেকে সামাজিক সচেতনতা বাড়ানোর দিকে নজর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
×