ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ভুপাল নবাবের সম্পত্তি ॥ আদালতে শর্মিলা ঠাকুর

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ১১ আগস্ট ২০১৭

ভুপাল নবাবের সম্পত্তি ॥ আদালতে শর্মিলা ঠাকুর

ভুপাল নবাব পরিবারের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সম্পত্তি দখলদাররা কবজা করে রেখেছে, এই অভিযোগে আদালতের দ্বারস্ত হয়েছেন অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর। তিনি দাবি করেছে ওই সম্পত্তি তার সেটি তাকে ফিরিয়ে দিতে হবে। পিটিআই ও দ্য হিন্দু। ভুপালের কোহ ই ফিজা এলাকায় মূল্যবান ওই সম্পত্তি নবাবী আমলে ভুপালের প্রধান বিচারপতি সালামুদ্দিন খানের সরকারী বাসভবন ছিল। দার উস সালাম নামে ওই সম্পত্তি এখন দখল করে রয়েছেন সালামুদ্দিনের এক নাতনির স্বামী আজম খান। তিনি নাকি সেই সম্পত্তি নবাবরা তাদের দান করেছেন দাবি করে বিক্রিরও চেষ্টা করেন। কিন্তু শর্মিলার বক্তব্য, মনসুর আলি খান পতৌদির সঙ্গে বৈবাহিক সূত্রে ওই সম্পত্তির মালিকানা তার, কারণ পতৌদি ছিলেন ভুপালের নবাব হামিদুল্লাহ খানের নাতি, তিনিই হচ্ছেন দার উস সালামের প্রকৃত উত্তরাধিকারী। তাই আদালতের আর্জি জানিয়েছেন, দখলদারদের উচ্ছেদ করে তার সম্পত্তি ফিরিয়ে দেয়া হোক তাকে। শর্মিলার আরও অভিযোগ, সমাজবিরোধীদের সাহায্যে ওই বাড়ির তালা ভেঙ্গে ঢুকে তা দখল করা হয়েছে, চুরি করা হয়েছে বেশকিছু দুষ্প্রাপ্য সামগ্রী। তিনি অভিযোগ করেছেন, সম্পত্তির মালিকানা সংক্রান্ত কাগজপত্র জাল করা হয়েছে। এর আগে ভুপালের শেষ নবাবের সম্পত্তির বিষয়ে জুন মাসে মধ্যপ্রদেশ হাইকোট সম্পত্তির কর্তৃপক্ষের কাছে নোটিস পাঠিয়েছিল। এ বছর ২৫ ফেব্রুয়ারি কাস্টডিয়ান অফ এনিমি প্রপার্টি ফর ইন্ডিয়া (সিইপিআই) মুম্বাই, মনসুর আলি খানের সম্পত্তিকে এনিমি প্রপার্টি ঘোষণা করে। সেই নির্দেশের উপরও স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে জুনে। ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের পর ১৯৬৮ সালে এনিমি প্রপার্টি আইন প্রবর্তন করা হয়। এই আইন অনুযায়ী, যারা পাকিস্তান চলে গেছে তাদের সম্পত্তিকে ‘শত্রু সম্পত্তি’ নাম দিয়ে সরকার অধিগ্রহণ করতে পারে। আর সেই আইনের ভিত্তিতেই পতৌদি পরিবারের পূর্বপুরুষ হামিদুল্লাহ খানের সম্পত্তি সরকার অধিগ্রহণ করে। সরকার পক্ষের যুক্তি ছিল, হামিদুল্লাহর জীবিতাবস্থায় তার উত্তরাধিকার বড় মেয়ে আবিদা সুলতান ১৯৫০ সালে পাকিস্তানে চলে যান। সরকারের এই সিদ্ধান্তের পরই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মনসুর আলি খানের স্ত্রী শর্মিলা ঠাকুর, মেয়ে সোহা ও সাবা আলি খান। এর আগে সইফও একই আবেদন জানিয়েছিলেন। পতৌদি পরিবারের দাবি, হামিদুল্লার মৃত্যুর পর তার দ্বিতীয় কন্যা মেহর তাজ সাজিদা সুলতান বেগম ‘সাকশেসন অফ থ্রোন এ্যাক্ট অফ ভুপাল, ১৯৪৭’ অনুযায়ী সম্পত্তির উত্তরাধিকারী ঘোষিত হন। মেহর বেগমই সাইফের দাদী। সেই হিসেবে এই সম্পত্তি পতৌদি পরিবারেরই প্রাপ্য।
×