ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সরকারের কঠোর অবস্থানেই বাল্যবিবাহ কমে আসছে ॥ চুমকি

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ২০ জুলাই ২০১৭

সরকারের কঠোর অবস্থানেই বাল্যবিবাহ কমে আসছে ॥ চুমকি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাল্যবিবাহ বন্ধে সরকারের শক্তিশালী অবস্থান ও কার্যক্রমের কারণে বাংলাদেশে বাল্যবিবাহ কমে আসছে। ২০১৫ সালের বিআইডিএসের জরিপ অনুযায়ী, ১৫ বছরের নিচে বিয়ের শতকরা হার ছিল ২৩.৮ শতাংশ ছিল। ২০১৭ সালে তা কমে হয়েছে ১০.৭ শতাংশে নেমে এসেছে। বুধবার সকালে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, ইউনিসেফ এবং ইউএনএফপিএ আয়োজিত বাল্যবিবাহ নিরোধকল্পে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০১৭-২০৩০ চূড়ান্তকরণ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। তিনি বলেন, বাল্যবিবাহের মূল কারণ হলো দারিদ্র্য। দরিদ্রতা নির্মূলে সকলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দারিদ্র্য নির্মূল এই সরকারের প্রধানতম প্রাধিকার। বাল্যবিবাহ নিরোধে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রধানতম প্রাধিকার। এই জন্য মন্ত্রণালয় প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম এনডিসির সভাপতিত্বে এই কর্মশালায় বক্তব্য রাখেনÑ ইউনিসেফ বাংলাদেশের জেন্ডার স্পেশালিস্ট রশনী বসু, ইউনিসেফ বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রিপ্রেজেনটেটিভ সারাহ বোরডাস ইডি ইউএনএফপিএ বাংলাদেশের রিপ্রেজেনটেটিভ আইওরী কাতো প্রমুখ। বাল্যবিবাহ নিরোধকল্পে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বাল্যবিবাহ নিরোধ কার্যক্রমের ফোকাল পার্সন ড. আবুল হোসেন। সভায় নাছিমা বেগম বলেন, বিবাহের বয়স নিয়ে বিতর্ক করার কোন সুযোগ নাই। সরকার যদি বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে না চাইত তাহলে আইন করবে কেন। ১৮ বছরের নিচে বিয়ে দিলে তা বাল্যবিবাহ হবে এবং তা সম্পাদনের জন্য যারাই কাজ করবে সকলকে শাস্তি পেতে হবে। আইনের বিশেষ ধারা ও খুব সুস্পষ্ট এটা নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির কোন সুযোগ নাই। বিশেষ বিধানে বলা হয়েছে, বিধি ধারা নির্ধারিত, বিশেষ প্রক্রিয়ায়, অপ্রাপ্ত মেয়েদের সর্বোত্তম স্বার্থে, বাবা- মায়ের সম্মাতিতে এবং আদালতের নির্দেশে কেবলমাত্র এই আইন অনুযায়ী নির্ধারিত বয়সের নিচে কোন মেয়েকে বিবাহ প্রদান করা যাবে। এই ধারায় যে প্রক্রিয়ার কথা বলা হয়েছে তা হরহামেশাই ব্যবহার হওয়ার কোন সুযোগ নেই। এই খানে অনেকগুলো শর্তপূরণ করতে হবে। কোন শর্ত বাদ দিয়ে এটা করা যাবে না। এবং এই প্রক্রিয়া সরাসরি মনিটরিং করবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। সভায় ইউনিসেফ ও ইউএনএফপিএর প্রতিনিধিরা বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সরকারকে সার্বিক সহযোগিতার ঘোষণা দেন। ড. আবুল হোসেন তার উপস্থাপনায় বলেন, বিবিএস ২০১৫ সালের জরিপ অনুযায়ী ১৮ বছরের নিচে বিয়ের শতকরা হার ছিল ৬২.৬ শতাংশ। কিন্তু বিআই ডিএস ২০১৭ সালের জরিপ অনুযায়ী তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪৭ শতাংশ। এই জরিপ অনুযায়ী, বাল্যবিবাহের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমার প্রবণতা লক্ষ করা যায়।
×