ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

হল ত্যাগের নির্দেশ ॥ তদন্ত কমিটি

ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ॥ এমসি কলেজ হোস্টেলে ভাংচুর

প্রকাশিত: ০৫:১০, ১৪ জুলাই ২০১৭

ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ॥ এমসি কলেজ হোস্টেলে ভাংচুর

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট অফিস ॥ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও এমসি কলেজ হোস্টেলে ব্যাপক ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার সকালে ছাত্রলীগ নেতা টিটু চৌধুরী এবং ডায়মন্ডের নেতৃত্বে এ হামলা, ভাংচুর চালানো হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনার পর বৃহস্পতিবার সকালে কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কলেজ হোস্টেল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সব ছাত্রকে হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কলেজ হোস্টেল ভাংচুরের ঘটনায় কর্তৃপক্ষ কলেজের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে রিপোর্ট প্রদান করতে বলা হয়েছে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা জানায়, আওয়ামী লীগ নেতা রঞ্জিত সরকারের অনুসারী হোসেইন গ্রুপ ও টিটু গ্রুপের মধ্যে বুধবার রাত ১০টায় উত্তেজনা দেখা দেয়। তারা ছাত্রাবাসে অস্ত্রের মহড়া দেয় এবং এর কিছু আগে টিলাগড় পয়েন্টে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনাও ঘটে। এতে ছাত্রলীগকর্মী রাহাত আহত হয়। বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে সশস্ত্র অবস্থায় টিটুর নেতৃত্বে ২৫-৩০ জন ছাত্রলীগ ক্যাডার অতর্কিত হামলা চালায় কলেজ হোস্টেলে। এ সময় হোস্টেলের ৪ ও ৫ নম্বর ব্লকের শতাধিক কক্ষের দরজা-জানালা ও বেশ কয়েকটি কক্ষও ভাংচুর করা হয়। প্রায় এক ঘণ্টা ভাংচুরের পর তারা চলে যায়। হোস্টেল ভাংচুরের ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে। উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ৮ জুলাই এমসি কলেজে ছাত্রশিবিরের সঙ্গে সংঘর্ষের জের ধরে হলের একটি ব্লক পুড়িয়ে দেয় ছাত্রলীগ। হল পোড়ানোর সঙ্গে জড়িতরাই এ ভাংচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে কলেজের অধ্যক্ষ জানান, আগের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে যদি শাস্তির আওতায় আনা হতো তাহলে এ ঘটনা ঘটত না। তিনি এ বিষয়ে আরও বলেন, পূর্বে হল পোড়ানোর ঘটনার তদন্ত এখনও চলছে। শীঘ্রই অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
×