ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেনার জট

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ৩ জুলাই ২০১৭

চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেনার জট

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ ঈদের ছুটিতে বরাবরের মতো এবারও চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেনার উঠানামা ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু আমদানিকারকরা ডেলিভারি না নেয়ায় ইয়ার্ডে জমেছে কন্টেনারের স্তূপ। এতে করে বিঘিœত হচ্ছে স্বাভাবিক কার্যক্রম। এমতাবস্থায় ইয়ার্ডের ওপর চাপ কমাতে অফ-ডকের কন্টেনারগুলো দ্রুততার সঙ্গে সরিয়ে নিতে কঠোর অবস্থান নিতে যাচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দর সূত্রে জানা যায়, ঈদের ছুটিতে বরাবরের মতো এবারও শুধু ঈদের দিনের প্রথম শিফট ছাড়া স্বাভাবিকভাবে পণ্য উঠানামা হয়েছে। বন্দর জেটি এবং বহির্নোঙ্গরে স্বাভাবিক কর্মচাঞ্চল্য ছিল। কিন্তু আমদানিকারকদের প্রতিষ্ঠানগুলো ছুটি ভোগ করায় পণ্য ডেলিভারি হয়নি। এর ফলে কন্টেনার জমে গিয়ে সৃষ্টি করেছে বাড়তি চাপ। সূত্র জানায়, রবিবার সকালে বন্দর অভ্যন্তরে কন্টেনারের পরিমাণ ছিল প্রায় ৩৪ হাজার টিইইউএস। দৈনিক গড়ে ২ হাজার টিইইউএস কন্টেনার ডেলিভারি হয়ে থাকে। সে হিসাবে দিন শেষে যে কন্টেনার রয়েছে তাও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। তবে সবচেয়ে বেশি সমস্যা সৃষ্টি করেছে সাড়ে ৬ হাজার অফ ডকের কন্টেনার। এগুলো চলে যাবার কথা হলেও অফ-ডকগুলো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়নি। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (এডমিন এ্যান্ড প্লানিং) মোঃ জাফর আলম জনকণ্ঠকে জানান, ইয়ার্ডে প্রায় ৬ হাজার ৮শ’ টিইইউএস কন্টেনার রয়েছে, যেগুলো সরাসরি অফ-ডকে চলে যাবার কথা। কিন্তু এ ব্যাপারে আমরা অফ-ডকগুলোর কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পাইনি। তিনি বলেন, কিছু অফ-ডক রয়েছে, যেগুলোর প্রয়োজনীয় সংখ্যক ট্রেইলার ও যন্ত্রপাতি নেই। অথচ তারা ব্যবসা করছে। এ ব্যাপারে বন্দর কর্তৃপক্ষ কঠোর অবস্থান নিতে যাচ্ছে। বন্দর সূত্র জানায়, বছরে শুধু দুই ঈদের দিনে প্রথম শিফট ছাড়া বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকে। বন্দর কখনও বন্ধ থাকে না। কিন্তু বন্দরের একার পক্ষে সবকিছু স্বাভাবিক রাখা সম্ভব নয়। বরং কাস্টমস, সিএ্যান্ডএফ, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানসহ বন্দর ব্যবহারকারী সকল প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা সচল থাকলেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে। সকলেই ঈদের ছুটি ভোগ করায় বন্দরের প্রস্তুতি থাকা সত্বেও পণ্য ডেলিভারি দেয়া সম্ভব হয় না। এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিবহন বিভাগ সূত্র জানায়, প্রতিবছরই দুই ঈদে কিছু কন্টেনার জমে যাওয়া একটি স্বাভাবিক চিত্র। কেননা, এ সময়ে কন্টেনার নামলেও আমদানিকারকরা ডেলিভারি নেন না। বিষয়টিকে বন্দর কর্তৃপক্ষও এলার্মিং হিসাবে দেখতে রাজি না। সপ্তাহ দশ দিনের মধ্যেই কন্টেনার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশাবাদ কর্তৃপক্ষের।
×