ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পারাচিনার ও কোয়েটায় চালানো হয় তিনটি হামলা

পাকিস্তানে বোমায় নিহত ৭৩

প্রকাশিত: ০৬:৪৯, ২৫ জুন ২০১৭

পাকিস্তানে বোমায় নিহত ৭৩

পাকিস্তানের পারাচিনার ও কোয়েটায় বেসামরিক ও নিরাপত্তা সদস্যদের লক্ষ্য করে শুক্রবার চালানো তিনটি বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ৭৩ জন নিহত ও ১২০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে খুরম উপত্যকার পারাচিনার শহরেই অধিকাংশ মানুষ নিহত হয়েছে। খবর ডন অনলাইনের। পারাচিনারে একটি বোমা বিস্ফোরণের পর উদ্ধার কাজ চলার সময় শুক্রবার আরেকটি বিস্ফোরণ ঘটানো হলে মোট ৪১ জন নিহত ও ১০০ জন আহত হয়। কোন পক্ষ এই হামলার দায় স্বীকার না করলেও কোয়েটায় পুলিশ দফতরের সামনে চালানো আত্মঘাতী গাড়িবোমা হামলায় দায় স্বীকার করেছে দুটি পক্ষ, এদের মধ্যে একটি তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের দলছুট অংশ জামাত-উল-আহরার ও ইসলামিক স্টেট (আইএস)। পারাচিনারের ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, প্রথম বিস্ফোরণটি ঘটেছে তুরি মার্কেটে। ওই সময় মার্কেটটিতে লোকজন ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত ছিল। এর কয়েক মিনিট আগে ঘটনাস্থলের কাছে আল কুদস দিবসের একটি মিছিল এসে শেষ হয়েছিল। বিস্ফোরণে আহত মুহাম্মদ হুসেইন জানান, আল কুদস দিবসের মিছিলটি শেষ হওয়ার পর তিনি নিজের পোল্ট্রি দোকানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন প্রথম বিস্ফোরণটি ঘটে। এতে আহত হওয়া লোকজনকে সাহায্য করতে অনেক লোক এগিয়ে এলে দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি ঘটানো হয়। দ্বিতীয় বিস্ফোরণের পর আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। পরে নিজেকে হাসপাতালের বিছানায় দেখতে পাই। স্থানীয় প্রশাসনের নির্বাচিত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ জানিয়েছেন, দুটি বিস্ফোরণে ৪১ জন নিহত ও প্রায় এক শ’ লোক আহত হয়েছে। আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী শহরটিতে চালানো এই বিস্ফোরণ দুটি আত্মঘাতী ছিল কি না তাৎক্ষণিভাবে তা স্পষ্ট নয়। এই জোড়া হামলা নিয়ে চলতি বছর পারাচিনারে মোট তিনটি বড় ধরনের বোমা হামলা চালানো হল। পারাচিনার হামলার আগে ওই দিন সকালে বেলুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী কোয়েটায় প্রাদেশিক পুলিশের মহাপরিদর্শকের দফতরের সামনে এক আত্মঘাতী গাড়িবোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে সাত পুলিশ ও জামিয়াত উলেমা-ই-ইসলাম (নাজারিয়াতি) দলের এক নেতাসহ মোট ১৩ জন নিহত ও অপর ২৪ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে নয় পুলিশ সদস্য, চার সেনা সদস্য, এক শিশু ও এক নারী রয়েছে বলে জানিয়েছে কোয়েটা সরকারী হাসপাতালের মুখপাত্র ওয়াসিম বেগ।
×