ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ইবাদত বন্দেগীতে লাইলাতুল কদর পালন

প্রকাশিত: ০৬:০৫, ২৩ জুন ২০১৭

ইবাদত বন্দেগীতে লাইলাতুল কদর পালন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যথাযথ মর্যাদায় পালিত হলো লাইলাতুল কদর। কদরের রাতে অধিক পুণ্য লাভের আশায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ইবাদত বন্দেগীতে মশগুল ছিলেন। কদরের রাতকে আল্লাহতাআলা পবিত্র কোরানে হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ ঘোষণা করেছেন। অধিক সওয়াব হাসিলের আশায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা রাতভর নফল নামাজ, জিকির আসকার ও নফল ইবাদত করেন। পাপমোচন, অতীতের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা, অনুতাপ ও মহান আল্লাতাআলার রহমত লাভের আশায় আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করেন। এ রাতে মসজিদে মসজিদে বিশেষ মোনাজাত, কোরানখানি, মিলাদ মাহফিল ও দোয়ার মাধ্যমে মুসলিম উম্মার ঐক্য ও কল্যাণ কামনা করা হয়। বিশ্বের মুসলমানদের কাছে এই রাতের গুরুত্ব অপরিসীম। লাইলাতুল কদরের রাতে সৎ এবং ধার্মিক মুসলমানদের ওপর আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়। ইসলামী চিন্তাবিদদের মতে, লাইলাতুল কদরে মুসলমানরা আল্লাহর কাছে মাগফিরাত, নাজাত ও ক্ষমা পাওয়ার পরম সুযোগ লাভ করে। লাইলাতুল কদর সম্পর্কে হযরত মুহম্মদ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি এ রাত ইবাদতের মাধ্যমে অতিবাহিত করবে, আল্লাহ তাঁর পূর্বের সব গুনাহখাতা মাফ করে দেবেন। (বুখারি) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় এ রাতের ফজিলত। রাতে তারাবি নামাজের পর থেকে শুরু হয় ইবাদত বন্দেগী। তা সেহরি খাওয়ার আগ পর্যন্ত চলে। এ রাতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে লাইলাতুল কদরের ফজিলত ও তাৎপর্য বিষয়ে ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। তারাবি নামাজের পর থেকেই শবে কদরের ফজিলত ও করণীয় শীর্ষক ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ওয়াজ মাহফিলের পর বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। ওয়াজ মাহফিল ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব। বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। এতে বিশ্বের মুসলিম উম্মার সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়। এছাড়া রাজধানীর অন্য মসজিদসহ সারাদেশের সব মসজিদেই লাইলাতুল কদর উপলক্ষে ইবাদত বন্দেগীতে মশগুল ছিলেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। পাশাপাশি তারা দান খয়রাতের মাধ্যমে পুণ্য লাভের চেষ্টা করেন। অনেকে আবার এ রাতে নিজের মৃত আত্মীয় স্বজনের কবর জিয়ারত করেন। বৃহস্পতিবার রাত ছিল পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদরের রাত। ইসলামের পরিভাষায় এ রাতকে মহিমান্বিত রজনী বলা হয়েছে। পুণ্যময় এ রাতেই নাজিল হয়েছে পবিত্রগ্রন্থ কোরান। বিশ্বের মুসলমানদের কাছে এই রাত অধিক পুণ্যময় এবং মহাসম্মানিত ও বরকতময় হিসেবে পরিগণিত। পবিত্র কোরানে এই একটি রাতের ইবাদত হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও অধিক সওয়াব অর্জিত হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। প্রতি বছর মাহে রমজানের এই মহিমান্বিত রজনী ‘লাইলাতুল কদর’ মুসলিমদের জন্য সৌভাগ্য বয়ে আনে বলে বিশ্বের মুসলমানরা রাতব্যাপী ইবাদত বন্দেগীতে নিবেদিত থাকেন। এদিকে পবিত্র এই রাত উপলক্ষে পৃথক বাণী প্রদান করেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেত্রী রওশন এরশাদ ও বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। বাণীতে তারা পবিত্র লাইলাতুল কদর উপলক্ষে বিশ্বের মুসলিম উম্মার শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
×