ফ্রান্সের পার্লামেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটে ব্যাপক জনসমর্থন পাওয়ার আশা করছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ১১ জুন প্রথম পর্বের ভোটের ফলে শীর্ষে থাকা প্রার্থীরা দ্বিতীয় পর্বের এই ভোটে অংশ নেন। খবর বিবিসির।
রবিবারের এই ভোটে ম্যাক্রোঁর দল রিপাবলিক অন দ্য মুভ (এলআরইএম) এবং তাদের জোটসঙ্গী মোডেমের প্রার্থীরা দুই-তৃতীয়াংশের বেশি আসনে জয়ী হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রথম দফার ফল ও জনমত জরিপের-ভিত্তিতে এমন ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। প্রথম দফার ভোটে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে সরাসরি বিজয়ী হয়েছেন মাত্র ৪ জন প্রার্থী। তাই ন্যাশনাল এ্যাসেম্বলির বাকি আসনগুলোর বিজয়ী ঠিক হবে দ্বিতীয় দফার ভোটে। প্রথম দফার নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া প্রথম দুই জন এবং নিবন্ধিত ভোটারদের অন্তত সাড়ে ১২ শতাংশের ভোট পেয়েছেন এমন প্রার্থীদের মধ্যে দ্বিতীয় দফার ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রথম দফায় রিপাবলিক অন দ্য মুভ ও মোডেম ৩২ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট পেয়েছে; তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী মধ্য ডানপন্থী রিপাবলিকান পার্টি পেয়েছে ২১ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট। ম্যাক্রোঁর সঙ্গে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা মেরি লো পেনের উগ্র ডানপন্থী দল ন্যাশনাল ফ্রন্ট পেয়েছে মাত্র ১৩ দশমিক ২ শতাংশ ভোট। কট্টর বামপন্থী ফ্রান্স আনবোউডের বাক্সে গেছে ১১ শতাংশ। দীর্ঘদিন ফ্রান্সের ক্ষমতায় থাকা সোশ্যালিস্টরা পেয়েছে মাত্র সাড়ে ৯ শতাংশ ভোট।
কোন দল ২৮৯ আসন পেলেই ৫৭৭ আসনের ন্যাশনাল এ্যাসেম্বলি তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। সেখানে এলআরইএম চারশরও বেশি আসন পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ব্যাপক এই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার জোরালো সম্ভবনার মুখে ম্যাক্রোঁ আশা করছেন, নির্বাচনের পর কাঙ্খিত সংস্কার কার্যক্রম বাধাহীনভাবে এগিয়ে নিতে পারবেন। ৩৯ বছর বয়সী ম্যাক্রোঁর এলআরইএম দলের বয়স মাত্র এক বছর। পার্লামেন্ট নির্বাচনে দলটির প্রার্থীদের অর্ধেকেরও বেশির রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা নেই বললেই চলে। দলটির প্রার্থী তালিকায় একজন বুলফাইটার, রুয়ান্ডার এক শরণার্থী ও একজন গণিতবিদও আছেন বলে জানা গেছে।
