ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধু সেতুর পাশে রেল সেতু নির্মাণে পরামর্শক নিয়োগ

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

বঙ্গবন্ধু সেতুর পাশে রেল সেতু নির্মাণে পরামর্শক নিয়োগ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতুর পাশে সমান্তরাল রেলসেতু নির্মাণে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দিয়েছে সরকার। প্রকল্পটির ডিজাইন, দরপত্র সহায়তা ও সুপারভিশন কাজের জন্য এই পরামর্শক নিয়োগ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। জাপানী কোম্পানি ওরিয়েন্টাল কনসালটেন্ট গ্লোবাল কোম্পানি লিমিটেডের নেতৃত্বে আরও কয়েকটি ছোট কোম্পানি এ কাজে অংশগ্রহণ করবে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৯৪ কোটি ৬৭ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। আগামী ২০২৩ সালে সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ করা হবে। বুধবার সরকারী ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান এ তথ্য জানান। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিতে বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের সভাকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে অতিরিক্ত সচিব সাংবাদিকদের আরও জানান, জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) সহায়তায় এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। বঙ্গবন্ধু সেতুর পাশেই দেশের সবচেয়ে বড় এ রেল সেতু নির্মাণ করা হবে। জাইকার সহায়তায় নির্মিতব্য এই প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠানগুলো পাবে ৭৯৪ কোটি ৬৭ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। গত ডিসেম্বরে একনেকের প্রাক্কলন অনুসারে এই প্রকল্পে মোট ব্যয় হবে ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা। অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান জানান, জাপানী এ কোম্পানিকে কাজ দেয়ার প্রস্তাবে সরকারী ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি সম্মতি দিয়েছে। ওরিয়েন্টালের সঙ্গে আরও কাজ করবে জাপানের চোডাই কোম্পানি লিমিটেড এবং বাংলাদেশের দুই কোম্পানি ডেভেলপমেন্ট ডিজাইন কনসালটেন্টস লিমিটেড ও সাব কনসালটেন্ট এসিই কনসালটেন্টস লিমিটেড। সাগরের ১২ নং ব্লকে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান করবে কোরিয়ান কোম্পানি ॥ গভীর সমুদ্রের ১২ নম্বর ব্লকে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের কাজ পাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি কোম্পানি। পোসকো দাইয়ু কর্পোরেশন নামে এই কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের একটি প্রস্তাবে বুধবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি সম্মতি দিয়েছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে সচিবালয়ে এই সভা হয়। সভায় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এই প্রস্তাবটি উত্থাপন করে। বিদ্যুত ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন-২০১০ এর আওতায় এই প্রস্তাব আনা হয়। আলোচনার পর ওই কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়। সরকারী ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে বাপেক্সের বিষয়ে তিনটি প্রস্তাব পাস হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান। যার মধ্যে রয়েছে, প্রকিউরমেন্ট অব ওয়ান ড্রিলিং এ্যান্ড ওয়ান ওয়ার্কওভার রিগ উইথ সাপোর্টিং ইকুইপমেন্ট ফর বাপেক্স শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় একটি ৬০০-৬৫০ এইচপি ম্যাকানিক্যাল ওয়ার্ডওভার রিগ ও রিগ সাপোর্টিং ইকুইপমেন্ট ক্রয় প্রস্তাব। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭১ কোটি ৬৯ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। চীনের একটি কোম্পানি এই কাজ পেয়েছে। এছাড়া রূপকল্প-৪ নামে অন্য একটি প্রকল্পের আওতাধীন শাহবাজপুর ১ ও ২ ওয়ার্কওভার কাজ সংশ্লিষ্ট মালামালের ক্রয়ে প্রস্তাবেও সম্মতি দিয়েছে কমিটি। রূপকল্প-৪ প্রস্তাবের আওতাধীন ভোলা জেলায় অবস্থিত নর্থ-১ ও শাহবাজপুর ইস্ট ১ অনুসন্ধান কূপ ২টি খননের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট পূর্ত নির্মাণ কাজের প্রস্তাবেও সম্মতি দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি। এই কাজ পেয়েছে প্রিয়ন্তি কন্সট্রাকশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান। ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের পল্লী বিদ্যুতায়ন সম্প্রসারণের মাধ্যমে ১৫ লাখ গ্রাহক সংযোগ প্রকল্পের আওতায় ডিসট্রিবিউন ট্রান্সফর্মার ক্রয়ের কাজ পেয়েছে মেসার্স টিএস ট্রান্সফর্মার লিমিটেড। তারা ২৩ হাজার ৮৯৩টি ট্রান্সফর্মার সরবরাহ করবে। যার জন্য ব্যয় হবে ১৮০ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। একই প্রকল্পের আওতায় ৫৯ হাজার ৩৮০টি বিদ্যুতের খুঁটি (এসপিসি পোল) ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। দাম ধরা হয়েছে ১১৯ কোটি ১২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। এই কাজ পেয়েছে মেসার্স চরকা এসপিসি পোল লিমিটেড।
×