ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বেঙ্গল থিয়েটারের ‘জলপুত্র’ নাটকের উদ্বোধনী মঞ্চায়ন আজ

প্রকাশিত: ০৩:৫৮, ২৯ জানুয়ারি ২০১৭

বেঙ্গল থিয়েটারের ‘জলপুত্র’ নাটকের উদ্বোধনী মঞ্চায়ন আজ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বেঙ্গল থিয়েটারের ‘জলপুত্র’ নাটকের উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হবে আজ। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার স্টুডিও থিয়েটার হলে নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হতে যাচ্ছে। কথাসাহিত্যিক হরিশংকর জলদাসের জলপুত্র উপন্যাসের নাট্যরূপ দিয়েছেন রুমা মোদক। আর নির্দেশনা দিয়েছেন তরুণ নাট্যনির্দেশক ও বেঙ্গল থিয়েটারের অন্যতম পরিচালক হাসান রেজাউল। নাটকটির কোরিওগ্রাফির কাজ করছেন মনি-মুক্তা। প্রযোজনা ব্যবস্থাপনায় রবিন দত্ত। সার্বিক তত্ত্বাধানে আছেন শ্যামা রনি। ‘জলপুত্র’ নাটকে অভিনয় করবেন- তাহমিনা, সিনথিয়া, প্রিয়ন্তী, রাসেল, হাবিব, আকাশ, রাজীব, সজিব, উজ্জ্বল, তোফায়েল, সাবিব, অর্থী, রকি, খাদিজা, রাশেদুল, প্রতিভা, জিসান, রবিন, শাহিন, জিয়া, রেজাউল প্রমুখ। জানা যায় উপন্যাস্যের বর্ণনার মতোই সমুদ্রভিত্তিক জেলে সম্প্রদায়ের চাল-চলন, অপ্রাপ্তির বেদনা, প্রাপ্তির উল্লাস, শোষণের হাহাকার, অশিক্ষার অন্ধকার এই নাটকটিতে স্থান পেয়েছে। এ নাটকে একজন জেলেনারীর সংগ্রামশীল নারীর জীবনের ইতিহাসের পাশাপাশি জেলেপুত্রদের অধিকার সচেতন হয়ে উঠার চিত্র তুলে ধরেছেন নির্দেশক। নির্দেশক হাসান রেজাউল বলেন- জেলেরা প্রান্তজন। তাদের নিয়ে আমরা কাজ করতে পারছি এটাই আনন্দের। প্রান্তজনদের পাশে সব সময় থাকতে চাই। এই নাটকটিতে একজন নারীর সংগ্রামশীল জীবন কথনের পাশাপাশি শোষণের হাত থেকে বাঁচার জন্য জলপুত্রদের প্রতিবাদী হয়ে ওঠার চিত্র তুলে ধরেছি। নতুন দল হিসেবে আমরা চেষ্টা করছি নতুন কিছু করার। আশা করি নাটকটি দর্শকদের ভাল লাগবে। জানা যায় ‘জলপুত্র’ উপন্যাসটি হরিশংকর জলদাসের প্রথম উপন্যাস। যা তিনি ৫৪ বছর বয়সে রচনা করেন। এ প্রসঙ্গে হরিশংকর জলদাস বলেন-‘জলপুত্র’ আমারই সম্প্রদায়ের ভূগোল-ইতিহাস যেন। জেলেদের প্রাপ্তি-হাহাকার, আনন্দ-বিলাপ, মৃত্যু আর জেগে ওঠার চালচিত্র এটি। আমার পিতামহ, আমার ঠাকুরমা, জেঠা, কাকা, মামা-এঁরা ‘জলপুত্র’ উপন্যাসের কুশীলব হয়েছে। ওদেরই মধ্যদিয়ে আমি একটি আওয়াজ তুলতে চেয়েছি-অধিকার বোধের আওয়াজ, বেঁচে থাকতে পারার আওয়াজ। ‘জলপুত্র’ পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে। ফলে আমি পরবর্তী উপন্যাসগুলো লেখার প্রেরণা পেয়েছি। ‘জলপুত্র’ জলের উপন্যাসও বলা যেতে পারে। জলের মতোই সহজ এবং জটিল এই উপন্যাসটি। এ নাটকে একজন জেলেনারীর সংগ্রামশীল জীবনের ইতিহাসের পাশাপাশি জেলেপুত্রদের অধিকার সচেতন হয়ে উঠার চিত্র তুলে ধরেছেন নির্দেশক। নাট্যকার রুমা মোদক বলেন- ‘জলপুত্র’কে নাট্যরূপ দেয়া কঠিন ছিল এ কারণে যে, সে জীবন এবং যাপন, যুদ্ধ এবং সংগ্রাম লেখকের যতটা চেনা আমার ততটা অচেনা। উপন্যাসের প্রধান অপ্রধান বিচিত্র চরিত্র, বিচিত্র ঘটনাপ্রবাহ. উপঘটনা, কাহিনীর উত্থান পতন বিন্যাস, বিশালায়তন জীবনধারাকে মঞ্চের সীমিত সাধ্যে তুলে আনার দুঃসাহস করেছি টেক্সটের প্রতি বিশ্বস্ত থেকেই। সাহিত্যকর্মের নাট্যায়নে আমি অতীতেও মূল সাহিত্যেও টেক্সটের প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছি। কেননা সৃজনশীলতায় লেখকমাত্রই স্বাতন্ত্র্য। এ উপন্যাসে সে স্বাতন্ত্র্যতাস্পর্শ করার প্রচেষ্টা অব্যাহত ছিল।
×