ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

গাইবান্ধার চরাঞ্চলে সরিষার চাষ

প্রকাশিত: ০৪:৩৪, ৯ ডিসেম্বর ২০১৬

গাইবান্ধার চরাঞ্চলে সরিষার চাষ

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা ॥ তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদী তীরবর্তী এলাকার গাইবান্ধার ফুলছড়ি, সাঘাটা, সুন্দরগঞ্জ ও সদর উপজেলার চরাঞ্চলগুলোতে নদীবাহিত পলি পড়া বেলে-দোআঁশ মাটিতে এবার ব্যাপকভাবে সরিষা চাষ হয়েছে। এখন আবহাওয়া অনুকূলে এবং কুয়াশার প্রবণতা কম থাকায় চরাঞ্চলের উর্বর জমিতেই এ বছর আশানুরূপ সরিষা উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ফলে মঙ্গাপ্রবণ এসব এলাকার দরিদ্র কৃষকরা রবি মৌসুমে সরিষা চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার প্রত্যাশা করছে। জানা গেছে, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, দহবন্দ, বেলকা হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর, কাপাসিয়া, সাঘাটা উপজেলার সাঘাটা, হলদিয়া, জুমারবাড়ি, কামালেরপাড়া, ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর, এরেন্ডাবাড়ি, কঞ্চিবাড়ি, উড়িয়া, সদর উপজেলার কামারজানি, মোল্লারচরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী এলাকায় জেগে ওঠা চরে এ বছর কৃষকরা কৃষি বিভাগের পরামর্শে সরিষা চাষ শুরু করে। প্রতিটি জমিতেই তরতাজা সবুজ সরিষা গাছগুলোতে হলুদ ফুলে ফুলে ভরে ওঠায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটতে শুরু করেছে। সরেজমিন এ সমস্ত এলাকা পরিদর্শনে দেখা গেছে, ইতোমধ্যে সরিষা ফুল ঝড়তে শুরু করে গাছগুলোতে সরিষার দানা বাঁধতে শুরু করেছে। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর ব্যাপক সরিষা চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে চরাঞ্চলই বেশির ভাগ জমিতে চাষ হয়েছে উন্নত ফলন জাতের সরিষা। এবার আবহাওয়া ভাল থাকায় জমিতে সরিষার ফলন ভাল হবে বলে আশা করছেন কৃষকরা। চরাঞ্চলে গত বছর যে সমস্ত জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছিল সেই জমিতেই এবার অত্যন্ত কম খরচে সরিষা চাষ করা হয়েছে। সরিষার বাড়ন্ত ফুলে ভরা গাছগুলো দেখে এবার কৃষকরা বেশি ফলনের আশায় আশান্বিত হচ্ছেন। জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে আরও জানা গেছে, উঁচু এলাকাগুলোর চাইতে চরাঞ্চলের নদীবাহিত পলি সমৃদ্ধ বেলে-দোআঁশ মাটিতে সরিষাসহ বিভিন্ন ফসলের আবাদ ভাল হচ্ছে। কারণ চরাঞ্চলের জমিগুলো অত্যন্ত উর্বর। অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশ পাঠিয়েছে রেকিট বেনকিজার অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বিনিয়োগকারীদের ব্যাংক হিসাবে অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশ পাঠিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি রেকিট বেনকিজার (বাংলাদেশ) লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, কোম্পানি অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশ বাংলাদেশ ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার নেটওয়ার্ক সিস্টেমের মাধ্যমে ব্যাংক হিসাবে পাঠিয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে রেকিট বেনকিজার তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ৪০০ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশ প্রদান করেছিল।
×