ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সংহতি দিবসে আলোচনা

ফিলিস্তিনের জনগণের অধিকার রক্ষায় পাশে থাকবে বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৪:২৭, ৩০ নভেম্বর ২০১৬

ফিলিস্তিনের জনগণের অধিকার রক্ষায় পাশে থাকবে বাংলাদেশ

কূটনৈতিক রিপোর্টার ॥ ফিলিস্তিনের নিপীড়িত জনগণের অধিকার রক্ষায় পাশে থাকবে বাংলাদেশ। ফিলিস্তিনে ইসরাইলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণ সবসময় সোচ্চার ছিল। এখনও সোচ্চার রয়েছে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামেও বাংলাদেশ ফিলিস্তিনীদের সমর্থন করে আসছে। মঙ্গলবার রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে ফিলিস্তিনী সংহতি দিবস উপলক্ষে এক আলোচনাসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ জাতিসংঘ সমিতি (ইউএনএবি) আয়োজিত এই আলোচনাসভার সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি বিচারপতি কাজী এবাদুল হক। এতে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. আকমল হোসেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মাসুদুর রহমান, ঢাকার ফিলিস্তিন দূতাবাসের জনসংযোগ বিভাগের প্রধান ইফতেখার আমিন, জাতিসংঘ তথ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম মনিরুজ্জামান ও ইউএনএবির সাধারণ সম্পাদক ড. সৈয়দ মোহাম্মাদ শাহেদ। আলোচনা সভায় অধ্যাপক ড. আকমল হোসেন বলেন, ফিলিস্তিনীদের উচ্ছেদে ইসরাইলের ইহুদীবাদীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। কখনও কখনও তারা উগ্রপন্থা বেছে নিচ্ছেন। নিরপরাধ ফিলিস্তিনীদের হত্যা করছে। আর এই উগ্রগোষ্ঠীকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে ইসরাইল। এমনকি অতীতে ইসরাইলের একজন প্রধানমন্ত্রী সরাসরি ইহুদীবাদী উগ্রগোষ্ঠীকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনীদের অধিকার রক্ষায় সেখানকার জনগণ যে আন্দোলন করছেন, আমরা তার পাশে রয়েছি। অতীতে যেমন থেকেছি, ভবিষ্যতেও থাকব। তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্ব। মাসুদুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ সরকার সবসময় ফিলিস্তিনীদের পাশে ছিল, এখনও রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ফিলিস্তিনী জনগণের সঙ্গে সহমর্মিতা জানিয়ে আসছেন। নীতিগতভাবেই বাংলাদেশ ফিলিস্তিনের পাশে রয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামেও বাংলাদেশ ফিলিস্তিনীদের অধিকার রক্ষায় সমর্থন ও সহযোগিতা করে আসছে বলে জানান তিনি। মাসুদুর রহমান বলেন, ফিলিস্তিনের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার জন্যও বাংলাদেশ ভূমিকা রেখে আসছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজে ফিলিস্তিনের শিক্ষার্থীর পড়াশোনার সুযোগ পাচ্ছেন। অনুষ্ঠানে ঢাকার ফিলিস্তিন দূতাবাসের চার্জ দ্যা এ্যাফের্য়াস ইউসুফ এস রামাদানের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন জনসংযোগ বিভাগের প্রধান ইফতেখার আমিন। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনী জনগণ দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চালিয়ে আসছে। বাংলাদেশ সরকার ও জনগণ সব সময় ফিলিস্তিনীদের পক্ষে অবস্থান করছে। সে জন্য ফিলিস্তিন সরকার সব সময় কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আসছে। উল্লেখ্য, প্রতিবছর ফিলিস্তিনী সংহতি দিবস পালিত হয়ে থাকে। ১৯৮৭ সালের ২৯ নবেম্বর ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ‘ইউনাইটেড নেশনস পার্টিশন প্ল্যান ফর প্যালেস্টাইন’ প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। এরপর থেকে এ দিনটি আন্তর্জাতিক ফিলিস্তিনী সংহতি দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। জাতিসংঘ প্রস্তাব অনুযায়ী ইসরাইল ও ফিলিস্তিন-আলাদা দুটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত তা হয়নি। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতিসংঘ সমিতি এই আলোচনার সভার আয়োজন করে।
×