ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

ডেসকোর কাছে আইএসও সনদ হস্তান্তর

প্রকাশিত: ০৪:১৬, ১১ নভেম্বর ২০১৬

ডেসকোর কাছে আইএসও সনদ হস্তান্তর

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশে বিদ্যুত পেতে গড়ে এক জন গ্রাহককে ৪০০ দিন অপেক্ষা করতে হয়। যেখানে উন্নত দেশে এই সময়সীমা মাত্র এক দিন। গ্রাহক সেবার মান উন্নত করে ঢাকা ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কোম্পানির (ডেসকো) আইএসও ৯০০১: ২০০৮ সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে খোদ বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রী এবং বিদ্যুত বিভাগের সচিব এই অভিযোগ করেছেন। অনুষ্ঠানে গ্রাহককে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিদ্যুত সরবরাহ করার পন্থা নির্ধারণ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিদ্যুত ভবনের এক অনুষ্ঠানে ডেসকোর কাছে আইএসও সনদ হস্তান্তর করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে ডেসকো দাবি করে তাদের সকল কর্মকা- এখন আইএসও নির্ধারিত মানে চলছে। এতেকরে গ্রাহক সেবা এবং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা উন্নত হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, আমাদের দেশে একজন গ্রাহককে বিদ্যুত পেতে গড়ে ৪০০ দিন সময় প্রয়োজন হয়। তিনি বলেন, আমি ডেসকোর ওয়েবসাইটে এই মাত্র দেখলাম বিদ্যুত সংযোগ পেতে এক গাদা কাগজপত্র লাগে। যা দেখে আমিই ঘাবড়ে যাচ্ছি। তিনি বলেন এমন কোন পন্থা বের করতে হবে যাতে গ্রাহক অনলাইনে আবেদন করার সাত দিনের মধ্যে বিদ্যুত সংযোগ পেয়ে যায়। তিনি ডেসকোর গ্রাহক সেবার মান উন্নয়নে মোবাইল এ্যাপ্স তৈরী করার নির্দেশ দেন। গ্রাহক সেবার মান কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও তা সন্তোসজনক নয় উল্লেখ করে বলেন, গ্রাহকদের সন্তোষ্টি কিভাবে অর্জন করা যায় তা আপনাদের বের করতে হবে। ডেসকোর ভান্ডারে অপ্রয়োজনীয় তার, ট্রান্সফরমার ক্রয় করে রাখা হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, সেখানে গেলে মনে হবে একেবারে যা তা। অতিরিক্ত ক্রয় বন্ধ করার নির্দেশ দেন তিনি। সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহীদ সারোয়ার বলেন, ডেসকোর সামগ্রিক কর্মকা- আন্তর্জাতিক মান অর্জন করেছে। গ্রাহকের জন্য বিতরণ ব্যবস্থাকে আরও আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। সব ধরনের বিদ্যুত সংযোগ ভূগর্ভে নিয়ে যাওয়া হবে। এডিবির অর্থায়নে এজন্য কয়েকটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডেসকোর চেয়ারম্যান অতিরিক্ত সচিব মাহাবুব উল আলম। এসময় ডেসকোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের এএমএম খায়রুল বাশার এবং তৌফিকুল আরিফ বক্তব্য রাখেন।
×