ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

এবার লক্ষ্মীপুরে ডিগ্রী পরীক্ষার্থীকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ৯ অক্টোবর ২০১৬

এবার লক্ষ্মীপুরে ডিগ্রী পরীক্ষার্থীকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা

নিজস্ব সংবাদদাতা, লক্ষ্মীপুর, ৮ অক্টোবর ॥ সিলেটের খাদিজার পর এবার লক্ষ্মীপুরে উন্মুক্ত বিশ^বিদ্যালয়ের অধীনে ডিগ্রী পরীক্ষার্থী ফারহানা আক্তারকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে সন্ত্রাসীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে পুলিশ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এর আগে রাত ৯টার দিকে শহরের শাখারীপাড়া এলাকায় এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় সন্ত্রাসীরা তার সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন, নগদ দু’হাজার টাকা এবং পরীক্ষার প্রবেশপত্রসহ ভ্যানিটি ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে ও হাসপাতালে ছুটে যান পৌর চেয়ারম্যান আবু তাহের ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নুরুজ্জামান। আহত ফারহানা পাবনা জেলার ভাঙ্গুরা উপজেলার আদাবাড়িয়া গ্রামের আবদুর রহমান খানের মেয়ে। স্থানীয়রা জানান, ফারহানা শহরের শাখারীপাড়া ছোটপুল এলাকায় সবিতা রাণী নামে এক ভিজিটরের বাসায় থেকে লক্ষ্মীপুর সরকারী কলেজে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ডিগ্রী পরীক্ষা দিচ্ছেন। তিনি ইতোপূর্বে লক্ষ্মীপুর মাতৃমঙ্গল হাসপাতালে সেইভ দ্য চিলড্রেনের মা-মণি প্রকল্পের কর্মী হিসেবে কাজ করেন। শুক্রবার বিকেলে পরীক্ষার পর ফারহানা সবিতার বাসা থেকে পাবনা যাওয়ার উদ্দেশে বের হন। বাস কাউন্টারে টিকিট না পেয়ে পুনরায় বাসায় ফেরার পথে শাখারীপাড়া এলাকায় সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে আহত করে। শনিবার দুপুরে লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ জিল্লুর রহমান চৌধুরী ফারহানাকে দেখতে সদর হাসপাতালে যান। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেনÑ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাজ্জাদুল হাসান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুজ্জামান। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারহানা সাংবাদিকদের বলেন, লক্ষ্মীপুরে কর্মরত অবস্থায় লক্ষ্মীপুর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আশফাকুর রহমান মামুনের সঙ্গে আমার সু-সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত বছর ২৭ ডিসেম্বর ৩০ লাখ টাকা দেনমোহরে সিলেট এলাকার সুরমা ভ্যালি রেস্ট হাউসে ডাঃ ইমামুলের মধ্যস্থতায় ডাঃ আশফাকুর রহমান মামুনের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তার স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দেয়া নিয়ে তার সঙ্গে আমার দূরত্ব সৃষ্টি হয়। আমি মোবাইল ফোনে তার কথাবার্তা ও বিয়ে সংক্রান্ত সবকিছু রেকর্ডিং করি। পরে মোবাইল ফোনে ডাঃ আশফাকুর রহমান মামুন আমাকে প্রাণে হত্যার হুমকি দেয় এবং লক্ষ্মীপুরে না আসতে বলে। তার ভয়ে আমি গত ২৩ তারিখে লক্ষ্মীপুরে পরীক্ষা দিতে আসিনি। তিনি অভিযোগ করেন, আমি শুক্রবারের পরীক্ষা দিতে লক্ষ্মীপুর আসায় ডাঃ আশফাকুর রহমান মামুন আমাকে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে তার ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে আমার ওপর হামলা চালায়। এদিকে এ বিষয়ে জেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের উপ-পরিচালক ডাঃ আশফাকুর রহমান মামুন জনকণ্ঠকে জানান, এটি একটি গভীর ষড়যন্ত্র। আমার সম্মান খ্যাতি নষ্ট করার জন্য এটি একটি চক্রের কাজ। তিনি বলেন, ফারহানার আরও দুটি বিয়ে হয়েছে। তার সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক নেই।
×