ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পুলিশের আইজির ছদ্মবেশে স্টিং অপারেশন ভারতীয় সাংবাদিকের

সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কথা স্বীকার পাকি পুলিশ কর্মকর্তার

প্রকাশিত: ০৭:০০, ৭ অক্টোবর ২০১৬

সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কথা স্বীকার পাকি পুলিশ কর্মকর্তার

পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে ভারত সার্জিক্যাল হামলা চালিয়েছিল বলে স্বীকার করেছে এক পাকিস্তানী পুলিশ কর্মকর্তা। এই অভিযানে পাঁচ পাকিস্তানী সৈন্য ও বেশ কিছু সন্ত্রাসী নিহত হয়। যদিও ইসলামাবাদ এই হামলার কথা অস্বীকার করেছে। কাশ্মীরের মিরপুর রেঞ্জের এসপি (স্পেশাল ব্রাঞ্চ) গোলাম আকবর ভারতের সংবাদ চ্যানেল সিএনএন নিউজ ১৮কে এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার। আকবর ওই সংবাদ চ্যানেলকে বলেছেন, ২৯ সেপ্টেম্বর ভোররাতে বিভিন্ন সেক্টরে হামলা চালানো হয়। বুধবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, চ্যানেলের এক সাংবাদিক মনোজ গুপ্ত পাকিস্তান পুলিশের আইজি মোস্তাক সেজে টেলিফোনে আকবরের সঙ্গে কথা বলেন। আকবর বলেন, এই হামলার বিষয়ে তিনি ব্যক্তিগতভাবে জানেন। পাক কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলওসি) সীমান্ত সেক্টর ভিমবারের সামানা, পুঞ্চের হাজিরা, নিলমের দুধনিয়াল, হাথিয়ান বালার কায়ানিতে ভারতীয় সেনাবাহিনী অভিযান চালায়। হামলার পর পাকিস্তানী সেনাবাহিনী দ্রুত পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে। তিনি ফোনে বলেন, স্যার... ওই হামলা তিন-চার ঘণ্টা ধরে চলে। গত সপ্তাহে বুধবার রাতে ২টা থেকে ৪ বা ৫টার মধ্যে অপারেশন চালায় ভারতীয় সেনা। বিভিন্ন স্থানে ওই অভিযান চলে এবং ভারতীয় সেনারা প্রতিরোধেরও সম্মুখীন হয়। তিনি আরও খোলসা করে বলেছেন যে, এমন ঘটনা ঘটতে পারে তা পাকিস্তানী সেনারা কল্পনাও করতে পারেনি। ভারতের হামলায় পাঁচ সৈন্য নিহত হয়েছে। চ্যানেলটি জানিয়েছে, তাদের কাছে নিহত ওই সৈন্যদের নাম আছে, তবে তারা তা প্রকাশ করেনি। এসপি গুলাম আকবর আরও দাবি করেন, হামলায় বহু জঙ্গীও মারা গেছে এবং এ্যাম্বুলেন্সে করে পাকিস্তানী সেনারা জঙ্গীদের লাশ তাড়াতাড়ি সরিয়ে ফেলে। অনেকের লাশ গ্রামগুলোতে দাফন করা হয়েছে। আকবর আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রকাশ করেছেন যে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী ওই এলাকায় সন্ত্রাসীদের চলাচলে সুবিধা দিয়ে থাকে এবং সীমান্ত পার হয়ে পাকিস্তানে প্রবেশেরও ব্যবস্থা করে দেয়। তিনি আরও বলেন, স্যার... সেনারা তাদের এখানে এনেছে এবং সবকিছু তাদের হাতেই। হামলায় কত সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে তা তিনি সঠিক জানেন না, কারণ পাক সেনাবাহিনী স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও পুলিশকে জঙ্গীদের স্থাপনায় প্রবেশ করতে দেয় না। পাকিস্তান বার বারই এই হামলার কথা অস্বীকার করে আসছে। এমনকি তারা ওই এলাকায় স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সাংবাদিকদের নিয়ে গিয়েছিলেন এটি প্রমাণ করতে যে, সেখানে কোন সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হয়নি।
×